Thursday, February 13, 2025
No menu items!
Google search engine
Homeদাবাসূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনবোধ বদলে দিয়েছে দাবা

সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনবোধ বদলে দিয়েছে দাবা

সুচরিতা সেন চৌধুরী: লড়াইটা তাঁরও সহজ ছিল না। ছোটবেলাটা কী ভাবে কেটেছে সেটা নিয়ে কখনওই কথা বলতে চান না। তবুও তাঁর জীবনের স্ট্রাগল এবং সেখান থেকে উঠে এসে এই বিপুল সাফল্য— পরবর্তী প্রজন্মের কাছে শিক্ষনীয় তো বটেই। সেই লড়াই সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়কে অনেক কিছু শিখিয়েছে। সঙ্গে তাঁর জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে দাবা। সেই পাঁচ বছর বয়স থেকে নিজের অজান্তেই দাবায় ডুব দিয়েছিলেন। এখনও সেখানেই ডুবে রয়েছেন। প্রতি দিন নতুন করে বাঁচেন। নতুন করে শেখেন, যা তিনি রেখে যেতে চান পরের প্রজন্মের জন্য। নিজের মেয়ের জন্য। তাঁর সঙ্গে আড্ডায় দাবার পাশাপাশি উঠে এল জীবনবোধের অনেক কথা।

প্রশ্ন: দাবা কী ভাবে এল জীবনে?
সূর্যশেখর:
আমি যখন দাবায় আসি তখন আমার বয়স মাত্র পাঁচ। এটা স্পষ্ট, ওই বয়সে আমি নিজে এই সিদ্ধান্ত নিইনি। বাবা-মা আমাকে দাবা শিখিয়েছিল আমাকে শান্ত করার জন্য। সেই সময় রামায়ণ হত। ওটা দেখে তির-ধনুক দিয়ে লোকের চোখে-মুখে মারতাম। তবে আমি প্রথমে তাস খেলা শিখেছিলাম। মাত্র সাড়ে চার বছরে আমি ব্রিজ খেলতে পারতাম। আমার জেঠু ব্রিজ খেলত। ব্রিজ দিয়েই আমার ইন্ডোর গেম্‌সে হাতেখড়ি। আমি, মা, বাবা আর আমার দাদু (মায়ের বাবা)— চার জন মিলে ব্রিজ খেলতাম। সেই সময় বাবার এক বন্ধু আমাকে তিন তাস খেলা শিখিয়ে দেয়। তার পর আমি বাড়ির সবাইকে যখন সেটা শেখাতে যাই তখনই আমার তাস খেলার ইতি হয়ে যায়। আর দাবা শুরু হয়।

প্রশ্ন: দাবাকে নিয়েই বাকি জীবনটা এগোবেন, এটা কবে থেকে ভাবলেন?
সূর্যশেখর:
আমি যত দিনে বুঝেছি যে প্রফেশনালের মানে কী বা ওই শব্দের বানানটা কী— তত দিনে আমি প্রফেশনাল প্লেয়ার হয়ে গিয়েছি। এমনটা নয় যে, আমাকে বাধ্য করা হয়েছে। আমি সেই সময় নিয়মিত রাস্তায় ফুটবল, ক্রিকেট খেলে বড় হয়েছি। ওই সময় যদি আমি বিকেল ৪ থেকে ৬টা বাড়িতে থাকতাম, তা হলে আমাকে কেউ বাড়িতে আটকে রাখতে পারত না। ওটা আমার ক্রিকেট, ফুটবলের সময়। কিন্তু দাবার প্রতি ভালবাসাটা ছিলই।

প্রশ্ন: ছোটবেলা থেকেই পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয়েছে। সেখানে দাবা একটা বড় ভূমিকা নিয়েছিল বলেই আমরা জানি, সেটা কেমন?
সূর্যশেখর:
দুটো দিক রয়েছে। একটা তো পেশাদার জীবন। আমার জীবনের সব রোজগার এই দাবা থেকেই এসেছে। এই স্কিল থেকেই এসেছে। আমার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পরিস্থিতি কেমন ছিল, সেই সময় যাঁরা আমাকে দেখেছেন তাঁরা জানেন। এটা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আসলে কলকাতার প্রায় কোনও গ্র্যান্ডমাস্টারই সোনার চামচ মুখে নিয়ে বড় হয়নি। সবাইকেই খুব স্ট্রাগল করতে হয়েছে। বাড়িতে খাবার পয়সা নেই, এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনে দাবা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।

প্রশ্ন: জীবনের জন্য কেন দাবা প্রয়োজন?
সূর্যশেখর:
শুধু দাবা নয়। আমার মনে হয় জীবনের জন্য যে কোনও খেলাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি দাবাও। মানসিক ভাবে একটা মানুষকে তৈরি হতে সাহায্য করে দাবা। খেলা থেকে আমার প্রথম শিক্ষা— হার-জিত জীবনের একটা অংশ। এটা আমি খুব ছোটবেলায় বুঝে গিয়েছিলাম। পরবর্তী সময়ে আমি তার ফল পেয়েছি। এখান থেকে শিখেছি, জীবনে যদি কোনও হার আসে তা হলে সেটা যেন স্বাভাবিক ভাবে নেওয়া যায়। দৈনন্দিন জীবনে সবাই কখনও হারছে, কখনও জিতছে। আর দ্বিতীয় হচ্ছে, ছোটবেলা থেকে শুনেছি, দাবা আর লুডোর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে— একটায় চেলে ভাবতে হয়। অন্যটায় ভেবে চালতে হয়। দাবা খেলতে গিয়ে শিখেছি, যে কোনও কিছু করার আগে ভাবনা প্রয়োজন। এটা একটা ব্রেন জিম। সেটা জীবনের যে কোনও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কাজে লাগে। সংযত থাকতে সাহায্য করে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন: একটা উদাহরণ দেবেন?
সূর্যশেখর:
সব থেকে বড় উদাহরণ তো হাতের কাছেই রয়েছে। সেটা হল কোভিডের সময়। একমাত্র দাবা প্লেয়াররা হতাশ হয়ে পড়েননি। বরং তাঁরা আরও বেশি করে নিজেদের উন্নত করেছেন। এটা ঠিক যে, দাবা প্লেয়ারদের কোভিডের সময় ঘরে বসে থাকতে হলেও খেলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে হয়নি। অনলাইনে খেলাটা সেই সময় থেকেই অনেক বেড়ে গিয়েছে। তবে অন্যান্য খেলার ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব ছিল না। এক জন কুস্তিগিরের পক্ষে অনলাইনে কুস্তি করা সম্ভব ছিল না। এখানেই অনেকটা পার্থক্য হয়ে গিয়েছিল।

প্রশ্ন: জীবনের কথা তো অনেক হল এ বার আসি আপনার কেরিয়ারের কথায়। টানা জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর হঠাৎ করে সেখানে খেলাটা বন্ধ করে দিলেন। কেন?
সূর্যশেখর:
সেই সময় আমি খুব সহজেই চ্যাম্পিয়ন হচ্ছিলাম। আমার ভাল লাগছিল না। মনে হচ্ছিল কোনও চ্যালেঞ্জ নেই। আমি রেকর্ড করব বলে দাবা খেলি না। আমার কাছে সব সময় বড় চ্যালেঞ্জের অপেক্ষা থাকে। আর তখন এটা নিশ্চিত ছিলাম— যদি খেলি, আমিই চ্যাম্পিয়ন হব। সেটা চাইনি। এখন যদি আমি খেলি তা হলে আমি কিন্তু নিশ্চিত নই চ্যাম্পিয়ন হব কি না! কারণ এখন প্রচুর নতুন ট্যালেন্ট উঠে এসেছে। এ বার আমি ভাবছিলাম, ন্যাশনাল খেলার কথা। এ বার আমাকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।

প্রশ্ন: তা হলে দেশের মধ্যে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কে কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেন সূর্যশেখরকে?
সূর্যশেখর:
অনেকে। প্রচুর রয়েছেন। একটা দেশের খেলা উন্নতি করছে কি না, সেটা প্রমাণ হয় সেই খেলায় যুব প্রতিভারা উঠে আসছেন কি না। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে আমাদের দেশে এই মুহূর্তে প্রচুর নতুন প্রতিভা। গুকেশ, নিহাল, অর্জুন, কাকে ছেড়ে কার নাম বলব। প্রচুর নতুন প্রতিভা রয়েছে। আর এই মুহূর্তে দাবায় আমরা বিশ্বে দ্বিতীয় দেশ। আমরা রাশিয়ার উপরে রয়েছি। বিশেষ করে লকডাউনের পর পুরো বিষয়টাই বদলে গিয়েছে। আর এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমি যদি ন্যাশনাল খেলি তা হলে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত আমি ফেভারিট নই।

প্রশ্ন: ভারত দাবায় উন্নতি করছে ঠিকই কিন্তু সেটা একটা অংশে। গোটা দেশে নয়। কিন্তু কিছুটা দক্ষিণ ভারত দাবাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আপনার কী মত?
সূর্যশেখর:
এটা সত্যি, দক্ষিণ ভারতে সাফল্য বেশি। তার কারণ, প্রচুর নতুন প্লেয়ার কোচিং করাচ্ছেন। এবং ফুলটাইম কোচিং করাচ্ছেন। যেমন রমেশ, শ্রীনাথ, বিষ্ণু। রমেশের ছাত্র অরবিন্দ প্রয়াগ, বিষ্ণুর ছাত্র গুকেশ, শ্রীনাথের ছাত্র নিহাল। প্রচুর গ্র্যান্ডমাস্টার সেখানে ফুলটাইম কোচিংয়ে চলে এসেছে। এবং গত ১০ বছর ধরে তাঁরা সেটা করছেন। কলকাতাতে সেটা একদমই নেই। একমাত্র দিব্যেন্দু বড়ুয়ার অ্যাকাডেমি আছে। তবে বিশেষজ্ঞ কোচ যদি বলেন— সেটা নেই। আমি অনলাইনে কোচিং করাই মাঝে মাঝে। কিন্তু অ্যাকাডেমি করার করার সময় এখনও আমার নেই। তবে আমাদের প্রজন্ম পুরোপুরি কোচিংয়ে চলে এলে আর এখানকার প্লেয়ারদের বাইরের উপর নির্ভর করতে হবে না। আরও একটা বিষয় হল অভিজ্ঞতা।

প্রশ্ন: আনন্দের সেকেন্ড হওয়াটা একটা বড় প্রাপ্তি। আপনি আনন্দের সেই টিমে ছিলেন, যে বার আনন্দ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতাটা যদি বলেন?
সূর্যশেখর:
আনন্দের সঙ্গে আমি তিনটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ছিলাম। এবং তিনটেতেই আনন্দ জিতেছিলেন। কার্লসনের সঙ্গে ট্রেনিং পার্টে ছিলাম। ওঁর সঙ্গে কাজ করলে বোঝা যায় উনি বাকিদের থেকে কোথায় আলাদা। ওঁর ব্যবহার, ওঁর ডেডিকেশন, ওঁর জীবনবোধ— সবই। যিনি যত উপরে যান, তত তিনি ভাল জানেন— তিনি কতটা জানেন বা জানেন না। ওঁর মধ্যে সব সময় খুব শেখার ইচ্ছে থাকে। ওঁর সঙ্গে কাজ করার সময় মনে হত না, এক জন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বসে আছেম! মনে হত, এক জন ছাত্র বসে রয়েছে। ওঁর মধ্যে অনেক প্রশ্ন থাকত। কারণ উনি জানতেন, আমি বিষয়টি নিয়ে কাজ করে এসেছি। উনি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন। ওঁর মধ্যে সব সময় একটা ছাত্রসুলভ ব্যাপার আছে। সমস্যা তখনই হয়, যখন কেউ ভাবেন ‘আমি সব জানি’! ‘আমি জানি না’ এটা বলতে পারেন না। সেটা ঢাকতে গিয়ে ব্যবহার খারাপ হয়ে যায়।

প্রশ্ন: আনন্দের কাছ থেকে আর কী কী শিখেছেন একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে?
সূর্যশেখর:
নিয়মানুবর্তিতা ভীষণ ভাবে শিখেছি। সময়ের গুরুত্ব ভীষণ ভাবে শিখেছি। একটা ছোট্ট ঘটনা বলি। এক বার আমাদের সবার আনন্দের সঙ্গে কাজে বসার কথা সকাল সাড়ে ১০টায়। আমি ঢুকেছি ১০.৩২ থেকে ৩৩-এর মধ্যে। আমাকে দেখে আনন্দ জিজ্ঞেস করছেন, যে আমি ঠিক আছি কি না! আমার শরীর সুস্থ আছে কি না! আমি ভাবছি, কেন এই সব জিজ্ঞেস করছেন। তখন উনি বলছেন যে, আমার ঢুকতে দেরি হয়েছে। আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি, আড়াই মিনিট লেট। সেটাই আমার প্রথম দিন লেট। সেটা শেষ দিনও ছিল। এটাই শিক্ষনীয়।

প্রশ্ন: দাবা কী দিয়েছে আপনাকে?
সূর্যশেখর:
দাবা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। তার মধ্যে যেটা আমি চাই আমার মেয়েকেও দিয়ে যেতে। প্রচুর দেশ, বিদেশ ঘুরতে পেরেছি। প্রচুর মানুষের সঙ্গে মিশেছি। কথা বলেছি। যার ফলে অনেক বড় একটা মানসিকতা তৈরি হয়ে যায়। যার ফলে আমরা এটা বুঝতে শিখি যে, সব কিছুতে ‘আমিই ঠিক’ এমনটা নয়। অনেক খোলামেলা মানসিকতা তৈরি হয়। খেলা মানুষের আসল ব্যক্তিত্বকে তৈরি করে। একটা সাক্ষাৎকার নিয়ে আমাকে কেউ বুঝতে পারবে না। আমরা অনেক লেয়ার পরে থাকি। আমরা যে ভাবে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলি সে ভাবে ভাইবোনদের সঙ্গে বলি না। সবার জন্য আলাদা আলাদা একটা ‘আমি’ থাকে। কিন্তু তুমি যখন খেলছ, তখন কিছু লুকোনোর থাকে না। প্রতি মুহূর্তে বদলাতে থাকে খেলার পরিস্থিতি। অনিশ্চয়তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা শেখায় খেলা।

প্রশ্ন: দাবা আপনাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আপনি কী ফিরিয়ে দিতে চান দাবাকে?
সূর্যশেখর:
কোচিং আমার খুবই ভাল লাগে। আমার এটা খুব ভাবায় যে, সেই সময় সারা বছরে একটাই টুর্নামেন্ট হত, যেখানে গ্র্যান্ডমাস্টাররা আসতেন। তার বাইরে কোনও গ্র্যান্ডমাস্টারের কাছে পৌঁছনোর কোনও সম্ভাবনাই ছিল না। কোচিং তো দূরঅস্ত্‌। এক ঘণ্টার জন্য কোচিং নেওয়ার কথা ভাবাই যেত না। আমি সেটাকে সম্ভব করতে চাই। যাতে সহজে গ্র্যান্ডমাস্টার কোচিং নেওয়া যায়। আমার যে অনলাইন প্ল্যাটফর্মটা আছে, সেটা আমাকে রমেশ বলেছিল করতে। আমরা পাঁচ মাস ধরে শুধু পরিকল্পনাই করেছিলাম। সেখানে আমরা সবাই এক মত হই, যেখানে সবাই সহজে কোচিং পেতে পারে। বিদেশের কোচদের এক ঘণ্টার যে কোচিং ফিজ্ সেটা আমাদের এখানে মাসিক চার্জ হবে। এখন আমি ফুলটাইম পারছি না। তবে এটা নিশ্চিত, যে দিন আমি খেলা ছাড়ব, সে দিন পুরোপুরি কোচিংয়েই আসব।

প্রশ্ন: ভারতীয় দাবায় এত উন্নতির কথা বলছিলেন। কিন্তু আনন্দ ছাড়া আর একটাও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এখনও পেলাম না কেন?
সূর্যশেখর:
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারে এ রকম প্রচুর প্লেয়ার অনেক রয়েছে ভারতে। সেটা গুকেশ, অর্জুন, প্রয়াগ, নিহাল— যে কেউ হতে পারে বা পরের প্রজন্ম। আমার কোনও সন্দেহই নেই যে ভারত এক নম্বর হবে। এটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। এখন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে খেলা, প্ল্যাটফর্ম অনেক বেশি। অনলাইনে অনেক সুযোগ ট্রেনিংয়ের। এখানে যখন দিব্যেন্দু বড়ুয়া খেলা শুরু করেছিলেন, তখন আরও অনেক বেশি কঠিন ছিল, আমার সময় হয়তো সেটা একটু কম। আবার দীপ্তায়নের সময় আরও সুযোগ বেড়েছে। তবে আমার বিশ্বাস দ্রুত আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাব। কে হবে আমি জানি না, তবে অবশ্যই হবে।

সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে আড্ডার শেষে একটা কথা তো স্পষ্ট, মানুষের জীবন সে দিন অনেক সুস্থ হয়ে যাবে যে দিন মানুষ এটা মানতে শিখবে যে, কেউ সব জানতে পারে না। না-জানা প্রত্যেকেরই অনেক কিছু থেকে যায়। একটা জীবনে সব জানা সম্ভব নয়। তাই সারা জীবন ছাত্র হয়ে থাকার মতো ভাল আর কিছু হতে পারে না। আর এই জীবনবোধ তিনি পেয়েছেন আনন্দের থেকে। ভারতবর্ষের একমাত্র বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। তিনিও এ রকম নানা জীবনবোধ গড়ে তুলেছেন নিজের আশপাশে। যা সত্যিই প্রেরণা দিয়ে যায়।

খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com

অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments