Thursday, February 13, 2025
No menu items!
Google search engine
Homeদাবাপ্রতিভা রয়েছে, পরিকাঠামো নেই বাংলায়: নীলোৎপল দাস

প্রতিভা রয়েছে, পরিকাঠামো নেই বাংলায়: নীলোৎপল দাস

সুচরিতা সেন চৌধুরী: পেশাদার দাবায় একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ করেছেন তিনি। যে ‘অ্যালেখাইন চেজ ক্লাব’-এ হাতেখড়ি, সেই ক্লাবেই এখন তিনি কোচ। নিজের ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা নীলোৎপল দাস তাই ছড়িয়ে দিতে চান আগামী প্রজন্মের মধ্যে। তবু কোথাও যেন ধাক্কা খায় সেই সব উদ্যোগ। গোটা দেশ দাবায় উন্নতি করছে, শুধু পিছিয়ে বাংলা! নীলোৎপলের মতে, এ রাজ্যে প্রতিভা রয়েছে। দরকার শুধুই পরিকাঠামোর। নিজের বেড়ে ওঠা থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম— সব কিছুই উঠে এল এই আড্ডায়।

প্র: বাংলার অন্যতম গ্র্যান্ডমাস্টার নিলোৎপল দাসের উত্থানের প্রথম ধাপটা কী ছিল?
নীলোৎপল:
শুরুটা কিন্তু কোনও পরিকল্পনামাফিক নয়, বরং খুব স্বাভাবিক ভাবেই হয়েছিল। বাড়িতে বাবা আর কাকা খেলতেন। খুব ছোটবেলা থেকেই দেখেছি ওঁদের খেলতে। ওই দেখা থেকেই আগ্রহ তৈরি হয়। ওঁদের থেকেই শিখি। খেলতে খেলতে কখনও ওই ছোটবেলাতেই জিতে গিয়েছি। সেটা বাবা-কাকার ভাল লেগেছে। মনে হয়েছে আমাকে দিয়ে কিছু হবে। তখন অ্যালেখাইনে ভর্তি হই। সেখানকার কোচদের কাছ থেকে অনেকটা সাহায্য পাই। কিন্তু এটা তো খুব স্বাভাবিক পদ্ধতিতে এগিয়ে যাওয়া। এর বাইরে একটা অন্য কাহিনিও রয়েছে। শুরুর এক বছরের মধ্যে আমি অনূর্ধ্ব-১০ ন্যাশনাল খেলতে যাই। দ্বিতীয় হয়েছিলাম। ফলে জাতীয় দলে সুযোগ পেলাম। এর পরেই দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে জার্মানি যেতে হল। আর এটাই সেই সময় আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য সব থেকে বড় প্রেরণা ছিল। সেখান থেকেই শুরু।

প্র: পেশাদার হিসাবে দাবার সঙ্গে কেরিয়ারের ২৫ বছর পেরিয়ে এলেন। কী মনে হয়, যেখানে পৌঁছতে চেয়েছিলেন, পৌঁছতে পারলেন?
নীলোৎপল:
কেউ তো পুরো সন্তুষ্ট হয় না! যিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন, তিনিও হন না বোধহয়। তখন তাঁর মনে হয়, আরও কিছু করার বাকি। সে দিক থেকে দেখলে, আমিও যে সবটা পেয়ে গিয়েছি, তেমনটা নয়। তবে অনেক কিছুই পেয়েছি। আবার বাস্তবটাকেও জীবনে অগ্রাহ্য করি না। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমার একটা লক্ষ্য তো রয়েইছে। সেটা হল, এত বছরের যে অভিজ্ঞতা আমার, তা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া। সেই কারণে গত কয়েক বছর কোচিংও শুরু করেছি। আর তাতে আমি আনন্দ পাই। সব সময় নতুন গোল তৈরি করতে থাকি। চ্যালেঞ্জ করতে থাকি নিজেকে।

প্র: অনেকটা সময় পেরিয়ে এসেছেন। সেই সময় আর এই সময়ের দাবার পরিস্থিতিগত তুলনা যদি টানতে বলা হয়, তা হলে কতটা বদল দেখতে পাচ্ছেন?
নীলোৎপল:
গত সাত-আট বছরে দাবা-বিশ্বে একটা বিপুল পরিবর্তন এসেছে। সেটার কারণ, অবশ্যই তথ্যপ্রযুক্তির পরিবর্তন। যার ফলে গোটা বিশ্বে যে সব গেমস্ হচ্ছে, সব ঘরে বসে দেখা যাচ্ছে। কম্পিউটার বিজ্ঞানের অনেক উন্নতি হওয়ায় ট্রেনিংয়ের ক্ষেত্রেও সেটা কাজে লাগছে। আমরা যে সময় খেলতাম বা আমরা যখন তৈরি হচ্ছিলাম, সেই সময়ের সঙ্গে এখন একটা বিপুল পরিবর্তন দেখতে পাই। যার ফলে আমাদের দেশে এই মুহূর্তে আশির উপরে গ্র্যান্ডমাস্টার রয়েছেন। গ্রাফ দেখলে দেখা যাবে, শেষ কয়েক বছরে প্রায় সব রাজ্য থেকেই গ্র্যান্ডমাস্টার উঠে আসছে। সেটা টেকনোলজির পরিবর্তনের জন্যই।

প্র: এ ক্ষেত্রে একটা বড় বিষয়— অর্থনৈতিক দিক। সেটাও কি বদলেছে?
নীলোৎপল:
হ্যাঁ, বদলেছে। আগের থেকে তো অবশ্যই বদলেছে। কম হলেও স্পনসরশিপ আসছে। আমাদের সময় দেশের বাইরে গিয়ে খেলাটা ছিল একটা বড় বিষয়। কারণ, অনেক টাকার ব্যাপার ছিল। যেটা এখন অনেকটাই মিটেছে। আগের থেকে কিছুটা সহজ হয়েছে। যে কারণে, খেলোয়াড়েরা ইউরোপে গিয়ে টুর্নামেন্ট খেলতে পারছে‌ন। এ ছাড়়া আমাদের সময় দেশের মধ্যে টুর্নামেন্টের সংখ্যা কম ছিল। এখন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হচ্ছে। ফিডে রেটিং টুর্নামেন্ট হচ্ছে। গ্র্যান্ডমাস্টার টুর্নামেন্ট হচ্ছে। যার ফলে প্লেয়ারদের রেটিং বাড়ানো বা নর্ম পাওয়া আগের থেকে সহজ হয়েছে।

প্র: এই তথ্যপ্রযুক্তির বাড়বাড়ন্ত কি কোনও ভাবে দাবার নিজস্বতাকে নষ্ট করে দিচ্ছে? না হলে কার্লসনের মতো বিশ্বের সেরা দাবাড়ুও কেন ক্লাসিক্যাল চেজ থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন?
নীলোৎপল:
এটা ঠিক। দাবার যে রোমান্টিসিজ্‌ম ছিল, সেটা কিন্তু এখন আর নেই। দাবা এখন অনেক বেশি মেকানিক্যালি খেলা হয়। গত কয়েক বছর প্রযুক্তির পরিবর্তনের জন্য পেশাদার প্লেয়াররা সেটাকে এমন ভাবে ধাতস্ত করেছে যে, তাতে খেলার মানের অনেক উন্নতি হয়েছে। বিগিনার্স থেকে দেখা পেশাদার পর্যায়— আগের মতো আর নেই। বরং খেলাটা অনেক বেশি কঠিন হয়েছে গিয়েছে। লেভেল অনেক বেড়েছে। আগেরটা আর নেই। সব খেলার ক্ষেত্রেই হয়তো এমনটা হয়েছে। ববি ফিশার থেকে কাসপারভদের সময় পর্যন্তও দাবার রোমান্টিসিজ্‌ম ছিল। ২০০০ সালের পর থেকেই বদলাতে শুরু করে।

প্র: বর্তমান সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে কি দাবার নিয়মেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে?
নীলোৎপল:
হ্যাঁ, বিশ্ব-দাবা নতুন কিছু নিয়ম আনছে। তবে খেলারও বেশ কিছু ভ্যারিয়েন্ট হয়েছে। বিশ্ব দাবা ফেডারেশন থেকেও চেষ্টা করা হচ্ছে যদি খেলাটিকে অন্য ভাবে সামনে আনা যায়। উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি, ‘ফিশার র‍্যানডম’ নামে অন্য ফরম্যাটের একটা টুর্নামেন্ট হয়। যদিও সেটা এখন ট্রায়াল ভার্সনে রয়েছে। এখনও চালু হয়নি। হলে একটা অন্য রকম কিছু হবে।

প্র: আমাদের দেশে অনেক গ্র্যান্ডমাস্টার উঠে এসেছেন। কিন্তু তার পরেরটা আর দেখা যায় না। এর পরেই থেমে যেতে হয়?
নীলোৎপল:
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর পিছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। একটা কারণ অবশ্যই, জিএম-এর পরের যে ধাপটা, সেটা খুব কঠিন। জিএম থেকে এলিট পর্যায়ে যাওয়ার যে মাঝের সময়টা, সেটা সহজ নয়। সারা পৃথিবীতে প্রচুর মানুষ দাবা খেলেন। কিন্তু সেই এলিট জায়গায় হয়তো পৌঁছতে পেরেছেন ২০০-৩০০ প্লেয়ার। ২৬০০ এলো রেটিংকে ছাপিয়ে আরও এগিয়ে যেতে পেরেছে‌ন। কঠিন কাজ। অনেক বছরের ধারাবাহিকতা লাগে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ, ট্রেনিং। গ্র্যান্ডমাস্টারের পরবর্তী পর্যায়ে যেতে যে ট্রেনিং বা টিম লাগে, সেটা সবাই তৈরি করতে পারেন না। আর সেই পর্যায়ের প্রতিযোগিতা ভারতে খুব কমই হয়। তার মানে, সেই পর্যায়ে যেতে গেলে, টানা বিদেশে পড়ে থেকে খেলতে হবে। সেটা অনেক বড় সিদ্ধান্ত। সেটা যাঁরা পেরেছেন, তাঁরা সেই পর্যায়ে পৌঁছেছেন।

প্র: আমাদের দেশে, বিশেষ করে রাজ্যে, এই পর্যায়ে পৌঁছে কোচিং কতটা বড় সমস্যা?
নীলোৎপল:
এটা একটা বড় ইস্যু। ভারতে অনেক পেশাদার প্লেয়ার রয়েছেন, কিন্তু কোচিংয়ের তেমন ব্যবস্থা নেই। তবে আগের থেকে অনেকটাই উন্নতি করেছে। আমরা যখন উঠছিলাম, তখন কোচিংয়ের তেমন ব্যবস্থা ছিল না। এখন সেটা অনেকটাই গুছিয়ে আনা গিয়েছে। আর দাবার সব থেকে বড় সুবিধে, অনলাইনেও শেখা বা খেলা যায়। সেই সুবিধে অনেকেই নেন আজকাল। বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে ট্রেনিং নেওয়া যায়। আর ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ের ক্ষেত্রেও এখন অনেক সুযোগ রয়েছে। আমাদের রাজ্যের ক্ষেত্রে বলব, আরও উন্নতির জায়গা রয়েছে।

প্র: বদলে যাওয়া দাবার মধ্যে দাঁড়িয়ে নিজেকে এক জন দাবাড়ু হিসাবে কোথায় দেখছেন?
নীলোৎপল:
এত দিন খেলার পর, এখন আমি অনেকটাই অভিজ্ঞ। বিভিন্ন বড় ইভেন্টে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখন জাতীয় স্তরের যে সব টুর্নামেন্ট রয়েছে— যেমন ন্যাশনাল র‍্যাপিড, ব্লিৎজ বা ক্লাসিক্যাল যে টুর্নামেন্টগুলি রয়েছে সেখানে আরও ভাল করতে চাই। একবার র‍্যাপিড চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। সেটা আবার হতে চাই। এই বছরই দেশে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে, সেটায় অংশ নেব।

প্র: এই মুহূর্তে বিদেশে খেলতে যাওয়ার কোনও ভাবনাচিন্তা রয়েছে?
নীলোৎপল:
বিদেশের কয়েকটি টুর্নামেন্টে আমন্ত্রণ রয়েছে। বিদেশে মরসুম শুরু হয় সামারে। মানে জুনের শেষ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে। পরিকল্পনা রয়েছে, ওই সময় গিয়ে বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টে অংশ নেব।

প্র: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে অ্যালেখাইন চেজ ক্লাবের উপর। এটা কতটা সত্যি?
নীলোৎপল:
অ্যালেখাইন আমার কাছে আবেগ। ওখান থেকেই আমার দাবার কেরিয়ার শুরু। তাই ওখান থেকে শুরু করে ওখানেই ফিরে গিয়েছি। তবে লকডাউনে অনেকটাই প্রভাব পড়েছে। কোচিংয়ের অনেক কিছুই হয় না। তাঁর সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবও রয়েছে। অনেক কিছু বন্ধ। রাশিয়ান কালচারাল সেন্টার থেকে যে সাপোর্টটা পাওয়া যেত, সেটা হয়তো আবার পাওয়া যাবে, এটাই আশা করছি। আবার আগের মতো দাবা নিয়ে এগিয়ে যাবে অ্যালেখাইন চেজ ক্লাব। গোর্কি সদনকে কলকাতা দাবার হাব বলা হত। আমি চাই সেটা আবার ফিরে আসুক। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হোক।

প্র: বিশ্বনাথন আনন্দের পর কে? কত দিনই বা আর লাগবে সেই জায়গাটায় পৌঁছতে?
নীলোৎপল:
আনন্দের মতো প্লেয়ার রোজ হয় না। যে ভাবে পেলে, মারাদোনা বা সচিন তেন্ডুলকর সবাই হয় না— তেমনই। যেমন, ডন ব্র্যাডম্যানের পর সচিনকে একইই রকম প্রতিভাধর মনে করা হয়। আনন্দের ক্ষেত্রে আমি বলব, আমার জন্য উনি শুধু বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নন। আনন্দের এত ভাল ভাল পারফর্ম্যান্স রয়েছে যে, বলে শেষ করা যাবে না। তবে পজিটিভ দিক দিয়ে দেখলে, নতুন প্রজন্মের যে সব প্লেয়াররা আসছেন, যেমন প্রজ্ঞানন্দার কথা সবাই জানে। ওর বয়সের আরও অনেক প্লেয়ার রয়েছেন, অর্জুন ইরিগেসি, ডি গুকেশ, রৌনক আডবাণী— এঁদের মধ্যে থেকে আমার মনে হয় অবশ্যই এক জনকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দেখব। ভারতীয় দাবা যে ভাবে চলছে আর এই প্লেয়াররা যে স্ট্যান্ডার্ড সেট করেছেন তাতে নিশ্চিত, দ্রুত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাবে ভারত।

প্র: এই যে ভবিষ্যত প্রজন্ম, যাঁদের নিয়ে আপনারা স্বপ্ন দেখছেন বা যে নামগুলি আপনি বললেন, সেখানে কিন্তু কোনও বাঙালি বা বাংলার জিএম নেই, পার্থক্যটা কোথায়?
নীলোৎপল:
এটা ঠিক। কারণ হিসেবে আমার মনে হয়, আমাদের রাজ্যে বড় মাপের টুর্নামেন্ট অনেক দিন হয়নি। আগে কলকাতায় দুটো জিএম টুর্নামেন্ট হত, যা অনেক দিন হল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভারতের অন্য জায়গায় দিল্লি, চেন্নাই, মুম্বই, পুণেতে হচ্ছে। সেখানকার লোকাল প্লেয়াররা সেই সুযোগটা পাচ্ছেন। যে সুযোগটা বাংলার প্লেয়াররা পাচ্ছেন না। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গে যেটা হয় সেটা পুরোপুরি কলকাতা নির্ভর। যে কারণে জেলার প্রতিভারা কোনও সুযোগ পান না। শুরুর ট্রেনিংটাই পাচ্ছেন না তাঁরা। অ্যাকাডেমি, কোচিং— সবটাই কলকাতায়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় পরিকাঠামোর উন্নতি করতে হবে। এখানে প্রতিভা রয়েছে, পরিকাঠামো নেই। সেটাই সব থেকে বড় সমস্যা।

প্র: দাবার বাইরে বেরিয়ে একটা কথা খুব জানতে ইচ্ছে করছে। একটা সময়ের পর অনেক ক্রীড়াবিদকেই দেখা যায় রাজনীতিতে যোগ দিতে। মস্তিষ্কের খেলা হওয়া সত্ত্বেও দাবা প্লেয়াররা কেন রাজনীতি থেকে দূরে?
নীলোৎপল:
আমার মনে হয়, চরিত্রগত ভাবে দাবা খেলোয়াড়রা নিজেদের খেলার মধ্যে এতটাই মজে থাকেন যে বাইরের দুনিয়া নিয়ে ভাবার সুযোগ পান না। সব জায়গার আলাদা আলাদা বিষয় রয়েছে। একটা জায়গায় সাফল্য পাওয়া মানেই অন্য জায়গায় সাফল্য পাবেন সেটাও বলা যায় না। তবে বিশ্বনাথন আনন্দ, যিনি পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তিনি কিন্তু এখন ওয়ার্ল্ড চেজ ফেডারেশন (ফিড)-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট। এটা সরাসরি রাজনীতি না হলেও প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। আরও বেশ কয়েক জন ফিডের প্রশাসনে রয়েছেন ও কাজ করছেন। ভারতীয় দাবার প্রশাসনেও রয়েছেন।

প্র: দাবাড়ুরা বেশি বু্দ্ধিমান বলেই কি মূলস্রোতের রাজনীতিকে এড়িয়ে যা‌ন?
নীলোৎপল:
আমার মতে, দুটোর বুদ্ধি এক দম আলাদা। দুটোতে দু’রকম বুদ্ধি লাগে। সবাই সেটা পারেন না। আবার যাঁরা পারেন, তাঁরা নিজেরাই এগিয়ে যান সে দিকে। আসলে দুটো একসঙ্গে চালানোটা একটা বড় বিষয়।

আসলে দাবাড়ুরা ডুবে থাকতে ভালবাসেন নিজের ওই ছোট্ট বোর্ডটার মধ্যেই। ওটাই আসলে ঘর। চাল পাল্টা-চালের লড়াইটা চলুক না ৬৪ খোপের মধ্যেই। তা দিয়েই বিশ্ব জয় করুক ভারত তথা ভারতের দাবাড়ুরা। ইঙ্গিতে এমনটাই বুঝিয়ে দিলেন নীলোৎপল। তাই হয়তো অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও আশার আলো দেখতে পান এই গ্র্যান্ডমাস্টার। দেখতে পান পরবর্তী বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকেও। স্বপ্ন দেখেন, দ্রুত ভারত থেকে উঠে আসবে আরও এক বিশ্বনাথন আনন্দ।

খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com

অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments