Saturday, December 14, 2024
No menu items!
Google search engine
Homeদাবাসপ্তর্ষি রায়চৌধুরী-কে আনন্দ দেয় তাঁর ছাত্রদের সাফল্য

সপ্তর্ষি রায়চৌধুরী-কে আনন্দ দেয় তাঁর ছাত্রদের সাফল্য

সুচরিতা সেন চৌধুরী: খেলতে খেলতেই দাবায় চলে আসা। তার মধ্যে ছিল বিদেশ ঘোরার স্বপ্নও। তা বলে সপ্তর্ষি রায়চৌধুরী-র দাবা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া থেমে যায়নি। খেলার ছলেই হয়ে গিয়েছেন গ্র্যান্ডমাস্টার। ভাল লাগাটাই তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে এই পর্যায়ে। আর এখন হাত দিয়েছেন নতুন প্রজন্মকে তৈরি করার কাজে। সেটা বাড়তি তৃপ্তি দেয় তাঁকে। তাই নিজেকে দেখার থেকে ৬৪ ঘরের লড়াইয়ে ছাত্রছাত্রীদেরই বেশি দেখতে চান তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁর হাত থেকে বেরিয়েছেন দু’জন গ্র্যান্ডমাস্টার। ভবিষ্যতে আরও অনেক প্রতিভা তুলে আনতে চান তিনি। সপ্তর্ষির সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে এল তাঁর দাবা-জীবনের নানা কাহিনি।

প্র: দাবায় কী ভাবে আসা?
সপ্তর্ষি:
দাবায় আসা মামার জন্য। ছোটবেলায় খুব দুরন্ত ছিলাম। শান্ত করার জন্য মা একটা দাবার বোর্ড কিনে দিয়েছিল। সেটা নিয়েই মামাবাড়ি গিয়ে মামার সঙ্গে খেলতাম। মামাই আমাকে খেলাটা শেখায়। সেখান থেকেই আগ্রহটা তৈরি হয়।

প্র: তার পর সিরিয়াসলি শেখা শুরু কবে থেকে?
সপ্তর্ষি:
সেই সময় অ্যালেখাইন চেস ক্লাবেই সবাই শিখত। ওটাই মেন ক্লাব ছিল। ১৯৮৯-এ ওখানে ভর্তি হই। তার পর ১৯৯০ সালে প্রথম ন্যাশনাল খেলি। অনূর্ধ্ব ৮-এ সে বার দ্বিতীয় হই। পুরস্কার প্রেরণা দেয়। আমার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছিল।

প্র: পেশাদার ভাবে দাবাকে নেওয়ার পরিকল্পনা কবে করলেন?
সপ্তর্ষি:
সেটা অনেক পরে নিই। কারণ মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের সময় দীর্ঘ দিন দাবা খেলা হয়নি। উচ্চ মাধ্যমিকের পর তিন মাসের একটা সময় পেয়েছিলাম। কারণ, তখন পরীক্ষার ফল বেরোতে এই সময়টা লাগত। সেই সময় আমি একটা টুর্নামেন্ট খেলি সালেমে। অনেক দিন পর খেললেও ভাল খেলি। আর ন্যাশনালের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে যাই। সেই সময় দুটো ন্যাশনাল হত। একটা ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ। সেটা থেকে যোগ্যতা অর্জন করলে ন্যাশনাল-এ। সেটায় ১০-১২ জনের মধ্যে আমিও যোগ্যতা অর্জন করে যাই। সেটার পর নতুন করে দাবা নিয়ে ভাবতে শুরু করি। সেই সময় যাদবপুরে অঙ্ক নিয়ে স্নাতকস্তরে ভর্তি হই। আর দাবাটাও পেশাদার ভাবে খেলতে শুরু করি।

প্র: এর পর গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন কবে? কোন কোন টুর্নামেন্ট সেটা হতে সাহায্য করল?
সপ্তর্ষি: গ্র্যান্ডমাস্টার নর্ম প্রথম পাই ২০০৮ সালে, গ্রিসে। দ্বিতীয়টি পাই ২০০৯ সালে, বাহরাইনে। আর শেষেরটা পাই ২০১০ সালে, ঢাকায়।

প্র: নর্ম ২০১০-এ পেয়ে যাওয়ার পরেও গ্র্যান্সমাস্টার হতে বেশ খানিকটা সময় লেগে গেল, কেন?
সপ্তর্ষি:
মুশকিল হচ্ছিল রেটিং নিয়ে। সেই সময় দেশে অনেক টুর্নামেন্ট হত না, যেটা খেলে রেটিং বাড়ানো যাবে। বিদেশে গিয়েই খেলতে হত। সেই কারণে খেলা কম হত আর কিছুতেই ২৫০০টা হচ্ছিল না। একটা সময় ২৪৮৪ থেকে ২৩৯০-তে নেমে গিয়েছিলাম। তার ছ’মাসের মধ্যেই অবশ্য আমি ২৫০০ লক্ষ্যে পৌঁছে যাই।

প্র: আজ দাঁড়িয়ে পিছন ফিরে তাকালে কী মনে হচ্ছে, সেই সময় আর এই সময়, কতটা বদলেছে ভারতের দাবা?
সপ্তর্ষি:
অনেক বদলেছে। এখন বছরে কোথাও না কোথাও একটা গ্র্যান্ডমাস্টার টুর্নামেন্ট হয়। এখন তো ভারতকেই কার্যত বিশ্বের এক নম্বর দাবা খেলিয়ে দেশ হিসাবে ধরা হয়। আগে যেটা ছিল রাশিয়া। এর কারণ, প্রচুর নতুন প্রজন্মের দাবাড়ু গোটা বিশ্বে দাপিয়ে খেলছে। অর্জুন এরিগেসি, গুকেশ, প্রজ্ঞানন্দা-সহ প্রচুর নতুন প্রজন্ম খেলছে। ওদের থেকে পরের স্তরের এমন অনেকেই রয়েছে যারা যে কোনও সময় ২৭০০ রেটিং ক্রস করে যেতে পারে। ভারতে একটা ‘চেস বুম’ হয়েছে। তারই প্রভাব এই মুহূর্তে চলছে।

প্র: বিশ্বের সেরা দাবা খেলিয়ে দেশ হওয়া স্বত্ত্বেও দ্বিতীয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আমরা কেন পাচ্ছি না?
সপ্তর্ষি:
কবে পাব সেটা এখনই বলা মুশকিল। তবে আমাদের দেশে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো প্রতিভা রয়েছে অনেক। অর্জুন, নিহাল, গুকেশ, প্রজ্ঞানন্দারা যে কোনও সময় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। এখনই না হলেও আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তো সম্ভাবনা রয়েছেই।

প্র: বার বার যে নামগুলি উঠে আসছে তা কিন্তু বিশেষ কয়েকটি জোনের। আমাদের রাজ্য থেকে এমন নাম কেন পাওয়া যাচ্ছে না?
সপ্তর্ষি:
বাংলার সব থেকে বড় সমস্যা— স্পনসর। এমন অনেক প্রতিভা ছিল যারা হয়তো গ্র্যান্ডমাস্টার হতে পারত, কিন্তু টাকার অভাবে খেলা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। টাকার অভাবে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারছে না যে, পড়াশোনাকে বেশি প্রাধান্য দেবে না দাবাকে! তামিলনাড়ুর মতো জায়গায় এই সমস্যাটাই নেই। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী দাবায় খুব আগ্রহী। যাঁদের প্রতিভা রয়েছে তাঁদের তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। অলিম্পিয়াড করবেন। আমাদের রাজ্যে এটা হলে এখান থেকেও প্রতিভা উঠে আসবে।

প্র: একটা সময় পর পর অনেক নাম উঠে এসেছিল। সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়, নীলোৎপল দাস, সন্দীপন, আপনি, তার পরেও সেই ধারাটা চলছিল। এখনও যুব পর্যায়ে বেশ কিছু নাম রয়েছে কিন্তু সবাই গ্র্যান্ডমাস্টারেই আটকে যাচ্ছে। কেন?
সপ্তর্ষি:
আমাদের সমসাময়িক সকলেই গ্র্যান্ডমাস্টার। শুধু রাজ্যে নয়, দেশের মধ্যেও সকলে প্রায় ওই সময় গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছেন। কিন্তু গ্র্যান্ডমাস্টার হয়ে যাওয়ার পর কোচিং পাওয়াটা প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। তার পর কোচিং নিতে গেলে প্রচুর টাকার ব্যাপার। সেটা অনেকেই পারে না। আর এই সমস্যা মিটতে পারে স্পনসরশিপ পেলে। ওই একটা জায়গায় আটকে রয়েছে। ওটা এলেই কোচিং, পরিকাঠামো সব ঠিক হয়ে যাবে।

প্র: অনলাইন কোচিং এখন একটা বড় জায়গা নিয়েছে দাবা বিশ্বে, সেটার ভাল দিক বা খারাপ দিকগুলো কী কী?
সপ্তর্ষি:
কোভিডের সময় থেকে এই অনলাইন ক্লাসের চাহিদা বেড়েছে। এর অনেকগুলো ভাল দিক রয়েছে। যাতায়াতের সময় বাঁচে। ঘরে বসে গোটা বিশ্বকে ট্রেনিং দেওয়া যায় বা নেওয়া যায়। তবে আমি ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ে বিশ্বাসী। সামনাসামনি যে ভাবে শেখা যায়, সে ভাবে অনলাইনে সম্ভব নয়। সমস্যার সমাধান সামনে থেকে অনেক বেশি ভাল করে বোঝানো যায়।

প্র: আপনি কোন ফরম্যাটে বেশি কোচিং করান?
সপ্তর্ষি:
আমি দু’ভাবেই কোচিং করাই। তবে অফলাইন বেশি করাই। তার পর ফলোআপ করি অনলাইনে। কোভিডের সময় অবশ্য পুরোটাই অনলাইনে হয়েছে। কিন্তু এখন আবার অফলাইনের উপরই বেশি জোর দিচ্ছি। আর অফলাইনের সুবিধে, টানা অনেক ক্ষণ সেশনটা চালানো যায়। কখনও কখনও সেটা ৭-৮ ঘণ্টায় পৌঁছে যায়। যেটা অনলাইনে হওয়া কঠিন। স্ক্রিনের দিকে দীর্ঘ ক্ষণ তাকিয়ে থাকাটা কঠিন।

প্র: আপনি নিজে গ্র্যান্ডমাস্টার। আপনার হাত থেকে গ্র্যান্ডমাস্টারও বেরিয়েছে। তবে সেটা বাংলা থেকে নয়, কেন?
সপ্তর্ষি:
আমার দু’জন ছাত্র গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছে। আরিয়ান চোপড়া ও পৃথু গুপ্তা। বাংলায় তেমন ভাবে কোচিং করাইনি। সবই প্রায় বাইরে। কলকাতায় গ্রুপ ক্লাস নিয়েছি দিব্যেন্দু বড়ুয়া চেস অ্যাকাডেমিতে কৌস্তভ, মিত্রাভ, অর্পিতাদের কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে কোচিং আমি দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো জায়গাতেই বেশি করাই। ওখানে কাজের সুযোগ বেশি। আর কলকাতার প্লেয়াররা কারও না কারও সঙ্গে যুক্ত।

প্র: প্লেয়ার হিসেবে আপনার পরবর্তী লক্ষ্য কী?
সপ্তর্ষি:
এই মুহূর্তে কোচিংটাই আমার মূল লক্ষ্য। ওটা আমি উপভোগ করি। আর একটা বয়সের পর রিফ্লেক্স কমে যায়। তাই নিজের খেলার থেকে বেশি খেলা শেখানোটাই আমার কাছে এখন গুরুত্বপূর্ণ। পারিবারিক কারণের জন্য ২০১৬-র পর আর তেমন ভাবে খেলিনি। কারণ, খেলতে হলে অনেক বেশি বাইরে যেতে হয় সেই সময় সেটা সম্ভব ছিল না। তখন থেকেই কোচিংয়ে মন দিই।

প্র: আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) দাবার উপর কতটা প্রভাব ফেলেছে?
সপ্তর্ষি:
অনেকটাই প্রভাব ফেলেছে। এআইয়ের মাধ্যমে দাবা খেলাটা একটা সময়ের পর বোরিং হয়ে যায়। কারণ ওরা সারা বছর ধরে একই ধরনের প্লেয়ারের সঙ্গে খেলতে থাকে। উন্নত মানের ইঞ্জিন রয়েছে, যার মধ্যে সব কিছু অ্যানালাইজ করা থাকে। যে কারণে ম্যাগনাস কার্লসেন ক্লাসিক্যাল চেস ছেড়ে দিচ্ছেন।

প্র: বিদেশেও কোচিং করিয়েছেন আপনি, দাবা খেলে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সুযোগ পাওয়া যায় যে কারণে অনেকেই দাবা খেলেন আজকাল, বিষয়টা ঠিক কী?
সপ্তর্ষি:
বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে গেলে যে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয় তার মধ্যে দাবাও রয়েছে। চেসে একটা জায়গায় পৌঁছে গেলে সেখান থেকে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডালাসের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সুযোগ রয়েছে। আমেরিকার প্রায় সব জায়গাতেই এই সুযোগ রয়েছে। প্রথমে একটা এন্ট্রান্স টেস্ট দিতে হয়। সেটা পাশ করে গেলে এক্সট্রা কালিকুলারের উপর ভিত্তি করে সুযোগ পাওয়া যায়। তাতে দাবা একটা বড় ভূমিকা পালন করে। ওখানে পড়ার পাশাপাশি খেলাটাও চালানো যায়।

প্র: পরিমার্জন নেগিকে নিয়ে আপনি বলছিলেন, বিদেশে গিয়ে খেলা ছেড়ে এখন বই লিখছেন, সেটা কেন বলে মনে হয়?
সপ্তর্ষি:
পরিমার্জন নেগি খুবই ট্যালেন্টেড প্লেয়ার ছিল। আনন্দের পর ওই। ২৬৭০-৮০ রেটিং ছিল। তিন-চার বছর এর মধ্যেই ঘোরাফেরা করছিল। তার পরেই স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে সুযোগ পেয়ে গেল। আর খেলা থেকে একদমই সরে দাঁড়াল। এর পর ও দাবার উপর বইও লিখেছে। যে বই খুবই পপুলার। বড় বড় গ্র্যান্ডমাস্টাররা ওর বই পড়ে। পরিমার্জন নেগিই দাবার প্রথম বেসিকের উপর বই লিখেছিলেন। এখন অনেকেই এই পথে হাঁটছেন।

প্র: তার মানে দাবার বইয়ের একটা চাহিদা রয়েছে। আমাদের দেশ থেকে আর কে কে লিখছেন বা আপনার তেমন কোনও ইচ্ছে আছে?
সপ্তর্ষি:
আমাদের এখান থেকে সূর্য (সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়) বই লিখেছে। কলকাতা থেকে ওই লিখেছে। ভারতের অনেকেই লিখছেন। বই লেখাটা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। অনেক সময় দিতে হয়। আমার তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই এখনই।

প্র: আপনি দাবা নিয়ে ঠিক কতটা সিরিয়াস ছিলেন? অন্য রকম ভাবে বলতে গেলে দাবাকে নিয়ে যা যা স্বপ্ন দেখেছিলেন সেগুলো কি পূর্ণ হয়েছে?
সপ্তর্ষি:
আমি সে রকম কিছু ভাবিইনি। আমি একদমই সিরিয়াস ছিলাম না। শুধু খেলতে ভাল লাগত। ভাল লাগাটাই ছিল মোটিভেশন। তাতেই প্রথমে ন্যাশনাল জিতলাম। তার পর এক এক করে বাকিগুলো হয়ে গেল। সবাই বিদেশে যায় নর্ম পেতে, আমি যেতাম ঘুরতে। সেই হতে হতেই গ্র্যান্ডমাস্টার হয়ে গেলাম।

প্র: সকলেই কঠিন প্রতিপক্ষ। আর মনে রাখার মতো জয় কোনটা ছিল?
সপ্তর্ষি:
সব থেকে কঠিন প্রতিপক্ষ অবশ্যই লেভন অ্যারোনিয়ান। আর আমার সেরা জয় অ্যালেজান্ডার মোইসেঙ্কোকে হারিয়ে কানাডিয়ান ওপেনে যুগ্ম জয়ী হওয়া। সেটা ২০০৫ হবে। তখন আমি সবে আইএম হয়েছি। সে বার আমার গ্র্যান্ডমাস্টার নর্মের পারফরম্যান্স ছিল কিন্তু বেশ কিছু বিষয়ের জন্য আটকে গিয়েছিল।

প্র: বিশেষ কারও বিরুদ্ধে বা বড় নামের বিরুদ্ধে খেলার জন্য কী প্রস্তুতি থাকে?
সপ্তর্ষি:
সবার জন্যই আলাদা আলাদা প্রস্তুতি থাকে। সেটা বড় হোক বা ছোট। খেলতে নামার আগে সবার জন্য ডেটাবেস তৈরি করতে হয়। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে, বড় নামের বিরুদ্ধে খেলতে হলে আলাদা একটা মানসিক প্রস্তুতি থাকে।

প্র: দাবা খেলা মানুষের জীবনে কী প্রভাব ফেলতে পারে, কেন দাবাকে বেছে নেওয়া হয়?
সপ্তর্ষি:
দাবা জীবনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। আসল হল সিদ্ধান্ত নেওয়া। দাবায় যেমন প্রতি পদে সিদ্ধান্ত নিতে হয় তেমনই জীবনেও নিতে হয়। দাবা খেলাটা সেটায় সাহায্য করে। ধৈর্য্য বাড়ায়। দীর্ঘ ক্ষণ একটা বিষয় নিয়ে বসে থাকাটা পারতে শেখায়। পড়াশোনায় সাহায্য করে। অনেক সময় বলে ‘চেস ইস লাইফ’। জীবনের মতই বিভিন্ন ওঠাপড়া রয়েছে চেসে। তাই দাবা খেলাটা সাহায্য তো করেই।

খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com

অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments