অলস্পোর্ট ডেস্ক: বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে ডিন লিরেনকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন ভারতের ডি গুকেশ। ১১তম রাউন্ডে এসে শেষ পর্যন্ত আরও একটি ম্যাচের ফলাফল হল। আর এই সময়ে এগিয়ে যাওয়া মানে ম্যাচের রাশ অনেকটাই নিজের দখলে নিয়ে নেওয়া। এবার গুকেশের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ এই ব্যবধান ধরে রাখা। যা সহজ নয়। পিছিয়ে পড়ে আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠবেন গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তা নিশ্চিত। কিন্তু এবারের চ্যাম্পিয়নশিপে তেমনভাবে তাঁকে খুব বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে দেখা যায়নি। যার ফল টানা সাত ম্যাচ ড্রয়ে শেষ হয়। এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত অনেক বিশেষজ্ঞই ধরে নিয়েছিলেন টাইব্রেকারেই হবে খেলার ফাইনাল ফল। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণিত করে দ্বিতীয় জয় তুলে নিলেন গুকেশ।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচেই হারের মুখ দেখতে হয়েছিল ডি গুকেশকে। দ্বিতীয় ম্যাচে ড্রয়ের পর তৃতীয় ম্যাচ জিতে ডিং লিরেনকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন ভারতের ভারতের তারকা দাবাড়ু। তার পর থেকে আর কেউই জয়ের মুখ দেখেননি। বরং বরং পর পর ড্র ম্যাচ খেলতে থাকেন বিশ্ব দাবার দুই সেরা তারকা। শেষ পর্যন্ত রবিবার সেই জয়ের বন্ধ হয়ে যাওয়া দরজা নতুন করে খুললেন ডি গুকেশ। রীতিমতো চাপে ফেলে প্রতিপক্ষকে হারালেন তিনি। চাপে পড়ে ভুল করে বসেন ডিং। আর সেটাকেই নিখুঁতভাবে কাজে লাগান গুকেশ। এই জয়ের সঙ্গে ৬-৫-এ এগিয়ে গেলেন গুকেশ।
হাতে রয়েছে আরও তিনটি ম্যাচ। ডিং সেই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া থাকবেন। গুকেশের সামনে লক্ষ্য বাকি তিন ম্যাচে না হারা, তা হলেই ভারত তথা বিশ্বের কনিষ্ঠতম দাবাড়ু হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ইতিহাস গড়ে ফেলবেন তিনি। এই ম্যাচে সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলেন গুকেশ। গুকেশ তাঁর প্রথম তিনটি চালের জন্য নেন মাত্র ২৫ সেকেন্ড, সেখানে লিরেন দ্বিতীয় চালের জন্য নেন ২২ মিনিট, চতুর্থ চালের জন্য ৩৮ মিনিট, যা চাপে ফেলে দেয় লিরেনকে। গুকেশ তাঁর সময় ধরে রাখেন দারুণভাবে।
প্রাথমিকভাবেই সময়ের চাপে পড়ে যান ডিং লিরেন। প্রথম ১০ চালেই পিছিয়ে পড়েন তিনি। তার উপর ছিল কালো ঘুঁটি, যা তাঁকে আরও বেশি সমস্যায় ফেলে। এর পর শুরুটা দারুণ করেও সময়ের চাপে পড়ে যান ডি গুকেশও। একটি চালে এতটাই বেশি সময় নিয়ে ফেলেন যে অতটা এগিয়ে যাওয়া ক্রমস হাতছাড়া হতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত সময়ের ব্যবধানে দু’জনে একই জায়গায় এসে দাঁড়ান। একটা সময় এগিয়েও যান লিরেন। এবার ছিল গুকেশের জন্য আসল চ্যালেঞ্জ। গুকেশকে ২৬ মিনিটের মধ্যে দিতে হত শেষ ২৫টি চাল। এক্ষেত্রে অনেকটাই অ্যাডভান্টেজে ছিলেন ডিং লিরেন। তাঁর হাতে ছিল ৪০ মিনিট।
এর পর ১৫ মিনিটে গুকেশের ১৫টি চালের সময় লিরেনের ছিল আট মিনিটে ১৬টি চাল। এখানে আবার ধাক্কা খান ভারতের চিনা প্রতিপক্ষ। আর এই সময়ের ঘেরাটোপেই আটকে যান তিনি। যার ফলে ভুল চালও দিয়ে ফেলেন তিনি। আর সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি লিরেন। আর সেটাকে দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় জয় তুলে নিলেন ভারতের ডি গুকেশ, যাঁকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে দাবা বিশ্ব।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার