Tuesday, January 21, 2025
No menu items!
Google search engine
Homeদাবাপ্রিমিয়ার চেস লিগ-এ জোন-ডি-র সফল মুখ দীয়া, শৌর্য, সৌরত

প্রিমিয়ার চেস লিগ-এ জোন-ডি-র সফল মুখ দীয়া, শৌর্য, সৌরত

অলস্পোর্ট ডেস্ক: প্রিমিয়ার চেস লিগ বেঙ্গল চ্যাপ্টারের সাফল্য যে দিন দিন বেড়ে চলেছে তা আরও একবার প্রমাণ হল উত্তর ২৪ পরগনা-নদিয়াকে নিয়ে জোন ডি-র ইভেন্টে। আগরপাড়ার নারুলা ইনস্টিটিউটে বসেছিল উত্তর ২৪ পরগনা জোনের খেলার আসর। সেখানে অংশ নিয়েছিল ছোট-বড় মিলে ১৫০-র উপর প্রতিযোগী। দু’দিন ধরে চলা এই বিশাল ইভেন্টে রীতিমতো জমজমাট হয়ে উঠেছিল কলেজ চত্তর। দাবাড়ুদের সঙ্গে হাজির ছিলেন তাঁদের অভিভাবকরাও। সব মিলে প্রিমিয়ার চেস লিগের উত্তাপ যে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছে জেলায় জেলায় তা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই।

২৩টি জেলাকে ছ’টি ভাগে ভাগ করে তৈরি হয়েছে জোন। দু’টি জোনের খেলা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে বাকি রয়েছে আরও চারটি জোনের খেলা। ইভেন্টজ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ও সারা বাংলা দাবা সংস্থার উদ্যোগে এই লিগ থেকে ভবিষ্যতের তারকা তুলে আনাই লক্ষ্য আয়োজকদের। সদ্য শেষ হওয়া জোনে ব্লিৎজ-এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন শৌর্য পাল, র‍্যাপিডে সেরা সৌরভ বিশ্বাস এবং মেয়েদের মধ্যে সেরা হয়েছে দীয়া চৌধুরী।

সকলেরই স্বপ্ন পড়াশোনার পাশাপাশি দাবাকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। সকলেরই আইডল ম্যাগনাস কার্লসন। তাঁর খেলা, তাঁর সবকিছুই মুগ্ধ করে এই প্রজন্মকে। সকলেই স্বপ্ন দেখেন একদিন গ্র্যান্ডমাস্টার হবেন। চেস লিগের সাফল্য তাদের সেই দিকে আরও একটা স্টেপ এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। সামনে থেকে যখন তাঁদের উৎসাহ দিচ্ছে বাংলার দাবার অন্যতম মুখ দিব্যেন্দু বড়ুয়া তখন যেন সেই স্বপ্ন উড়ান ভরছে দ্রুত। ১২-১৩ অগস্ট কলকাতায় ফাইনাল।

দীয়া দাবার পাশাপাশি বিবিএ পড়ছেন। তিনি বলছিলেন, ‘‘কলেজে দাবার অল ইন্ডিয়া টিম রয়েছে সেখানে নিয়মিত খেলি। কলেজও খুব সাপোর্ট করে। ভবিষ্যতে দাবাকে নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে। কার্লসনের আক্রমণাত্মক খেলা আমাকে উদ্বুদ্ধ করে। এছাড়া সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়, দিব্যেন্দু বড়ুয়ার খেলা দেখি। সব দাবাড়ুর মতো আমিও গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার স্বপ্ন দেখি।’’

শৌর্য পাল প্রথম হয়েছেন ব্লিৎজে। পড়েন দশমশ্রেণিতে। হাসতে হাসতে বলছিলেন, ‘‘কাল থেকেই পরীক্ষা কিন্তু খেলাটা ছাড়তে পারলাম না। খেলতে ভাল লাগে। তবে আপাতত খেলা, পড়াশোনা দুটোই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কার্লসনের খেলা ভাললাগে। যখন স্টেট চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম তখন সপ্তর্ষী রায় চৌধুরীর কাছে ট্রেনিং নিয়েছিলাম।’’ র‍্যাপিডে প্রথম হয়েছেন সৌরত বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘পড়াশোনা আর দাবা দুটো নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। গ্র্যান্ডমাস্টার হতে তো চাই সঙ্গে অঙ্ক নিয়েও পড়তে চাই। ভাল লাগে কার্লসনের খেলা আর বাংলায় আরণ্যকদার খেলা দেখি, ভাল লাগে।’’

খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com

অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments