অলস্পোর্ট ডেস্ক: দ্বিতীয় বছরে পা দিল ‘সতরঞ্জকে হিরো’ যেখানে পুরস্কৃত করা হল বাংলার একদল উদীয়মান দাবা খেলোয়াড়কে। সেই তালিকায় যেমন ছিলেন বাংলার শেষ চারজন গ্র্যান্ডমাস্টার তেমনই ছিলেন বাংলার উদীয়মান দাবা খেলোয়াড়রা। মঙ্গলবার কলকাতার স্যাটার ডে ক্লাব ও সারা বাংলা দাবা সংস্থার উদ্যোগে হয়ে গেল এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এদিন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন হকি খেলোয়াড় গুরবক্স সিং, প্রাক্তন ফুটবলার শ্যাম থাপা, দীপেন্দু বিশ্বাস, সাঁতারু বুলা চৌধুরী, প্রাক্তন ক্রিকেটার সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া দাবার দুনিয়া থেকে ছিলেন সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়, সন্দীপন চন্দ, সপ্তর্ষী রায়, মহিলা ডিএম নিশা মোহতা।
এদিন বাংলার চারজন গ্র্যান্ডমাস্টারকে সম্বর্ধনা দেওয়া হল। সেই তালিকায় ছিলেন বাংলার সপ্তম জিএম দীপ্তায়ন ঘোষ, নবম জিএম মিত্রাভ গুহ, দশম জিএম কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায় ও একাদশতম জিএম সায়ন্তন দাস। দীপ্তায়ন গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছিলেন সব থেকে কম বয়সে। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর। মিত্রাভ ও কৌস্তভ গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছিলেন ২০ বছর বয়সে। সায়ন্তন, বাংলার সর্ব শেষ গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছিলেন ২৬ বছর বয়সে। চারজন গ্র্যান্ডমাস্টার ছাড়াও সম্বর্ধনা দেওয়া হল ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার আরন্যক ঘোষকে। দুটো নর্ম নিয়ে ১২তম গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার দৌঁড়ে বাংলা থেকে এগিয়ে রয়েছেন তিনিই।
এছাড়া সংবর্ধনা দেওয়া হল মহিলা জিএম মেরি অ্যান গোমস। অনূর্ধ্ব-১৫ ও ১৭ ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন ১৬ বছরের মৃত্তিকা মালিক, অনূর্ধ্ব-১৬ ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন স্নেহা হালদার, অনূর্ধ্ব-৭ ওপেন চেস চ্যাম্পিয়ন ৮ বছরের সর্বার্থ মমানি, ১৪ বছরের সাপারিয়া ঘোষ, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। প্লেয়ার ছাড়াও দাবার সঙ্গে বিভিন্নভাবে যুক্ত থাকা আরবিটার থেকে কর্মকর্তা, সবাইকে সংবর্ধিত করা হল।
এই অনুষ্ঠানে সকলেই পুরস্কারের গুরুত্ব নিয়ে কথা বললেন। সকলেই জানালেন , একটা ছোট্ট পুরস্কার কিভাবে একজনকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রেরণা দেয়। সূর্যশেখর থেকে দীপেন্দু বিশ্বাস, শ্যাম থাপা থেকে গুরবক্স সিং, সকলেই এই উদ্যোগের প্রশংসা করলেন।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার