অলস্পোর্ট ডেস্ক: গ্ৰ্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়ার উদ্যোগেই এক সময় তৈরি হয়েছিল সারা বাংলা দাবা সংস্থার। শহরে দাবার মতো খেলার পসার থাকলেও গ্ৰাম বা শহর থেকে দূরের জেলাগুলোর কাছে এটি ছিল অধরা। তবে সারা বাংলা দাবা সংস্থার উদ্যোগে এখন জেলায় জেলায় পৌঁছে গিয়েছে দাবার প্রচার। গ্ৰামের ছেলে মেয়েরা দাবা খেলছে। হচ্ছে জাতীয় স্তরের দাবা প্রতিযোগিতা। সেই প্রচারকে আরও প্রসারিত করতে এবার নতুন উদ্যোগ নেওয়া হল রাজ্য সংস্থার তরফে। জেলাগুলোকে দেওয়া হল কম্পিউটার।
শুক্রবার কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জেলার প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় কম্পিউটার। অনুষ্ঠানে দিব্যেন্দু বড়ুয়া ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। এই কম্পিউটার প্রদানের নেপথ্যে বড় ভূমিকা রয়েছে তাঁর। তাঁর এমপি ফান্ড থেকে সারা বাংলা দাবা সংস্থার হাতে তিনি তুলে দেন ১৫ লাখ টাকা। যা দিয়ে সব জেলার পরিকাঠামো উন্নতির উদ্দেশ্যে প্রথম পদক্ষেপ নিয়ে ফেলল সংস্থার কর্তারা।
এদিন দিব্যেন্দু বড়ুয়া বলছিলেন, “একটা অনুষ্ঠানে কিছু দিন আগে দেখা হয়েছিল প্রদীপদার সঙ্গে। সেখানেই কথায় কথায় বিষয়টি বলি। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি চেষ্টা করবেন জানান এবং আমাদের আবেদন করতে বলেন। আর আজকে সবার হাতে হাতে পৌঁছে গেল কম্পিউটার।”
তিনি আরও বলেন, “কোভিডের সময় আমি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে গিয়ে দেখেছি, কোনও পরিকাঠামো ছিল না দূরের জেলাগুলোতে। এর পর আস্তে আস্তে সেখানে কাজ করতে শুরু করি আমরা আর এখন গ্ৰাম থেকে ছেলে-মেয়েরা উঠে আসছে।” ২৩টি জেলাকে দেওয়া হল এই কম্পিউটার। যা শুধুই দাবার উন্নতিতে ব্যবহার করতে পারবে জেলাগুলো।
দেশের দাবা প্রচুর উন্নতি করেছে গত কয়েক বছরে। চেস অলিম্পিয়াডে ছেলে ও মেয়ে উভয় দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়া থেকে শুরু করে মুকেশের বিশ্ব চেস চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সংস্থা চায় এর প্রভাব পড়ুক বাংলার দাবাতেও। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ১১ জন গ্ৰ্যান্ডমাস্টার ও দু’জন মহিলা গ্ৰ্যান্ডমাস্টার। দেশের মধ্যে দাবায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা। প্রায় ৮০০-র কাছাকাছি ফিডে রেটেড প্লেয়ার রয়েছে।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার