অলস্পোর্ট ডেস্ক: কলকাতায় এখন তারকার হাঁট। দেশ, বিদেশের সেরা দাবাড়ুরা হাজির এই খেলার শহরে। যে শহর সব সময় মেতে থাকে ফুটবল আর ক্রিকেটে। তবে বদলাচ্ছে সমাজ। বদলাচ্ছে দেশের খেলার চিত্রটাও। সে কারণেই হয়তো ক্রমশ উন্নত হচ্ছে ভারতের দাবা। বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে থাকার পাশাপাশি ইতিমধ্যেই দেশে ৮৩ জন গ্র্যান্ডমাস্টার রয়েছে। দাবা যুগ শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতে। তিনিও তারই ফসল। তিনি জানেন অল্প বয়সে সাফল্য পেতে কী লাগে কারণ বুধবার বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ মহিলা জিএম কোনেরু হাম্পি বলেন যে বিশ্বকাপে তরুণ ভারতীয়দের সাম্প্রতিক সাফল্য বিশ্বনাথন আনন্দের উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর প্রজ্ঞানন্ধা ১৮ বছর বয়সে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় যিনি গত সপ্তাহে বিশ্বকাপের রানার্সআপ হয়েছেন। যোগ্যতা অর্জন করেছেন ফিডে ক্যান্ডিডেটসের।
সামনে যখন কোনেরু হাম্পির মতো বিখ্যাত দাবাড়ু তখন সদ্য তারকা হয়ে ওঠা প্রজ্ঞানন্ধা প্রসঙ্গ যে আসবে তা তো স্বাভাবিক। তিনি বলেন, “অবশ্যই, সে (প্রজ্ঞানন্দ) বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে, এবং আমরা তার সমস্ত পারফর্ম্যান্স দেখেছি। এছাড়াও, অর্জুন এবং নিহাল (সারিন), গুকেশ ভাল করছে। এরা সবাই খুব প্রতিভাবান একটা গ্রুপ। প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা প্রতিভা রয়েছে যার তুলনা করা যায় না।”
মাত্র ১৫ বছর বয়েছে মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছিলেন হাম্পি। দু’বারের এশিয়ান গেমসের স্বর্ণপদক বিজয়ী, যিনি গত বছর বিশ্ব ব্লিৎজে ভারতের প্রথম রুপো জিতেছিলেন, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া টাটা স্টিল চেস ইন্ডিয়াতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এই মুহূর্তে শহরে রয়েছেন তিনি৷ তিনি মনে করেন, ভারত দ্রুত ১০০ গ্র্যান্ডমাস্টারের তালিকা তৈরি করে ফেলবে।
ভারতের দাবা ল্যান্ডস্কেপ পরিবর্তিত হতে দেখে উচ্ছ্বসিত হাম্পি বলছেন, ‘‘এটি খুব ইতিবাচক এবং উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো বিষয়। ভারত শীঘ্রই ১০০ গ্র্যান্ডমাস্টারে পৌঁছে যাবে।’’ ভারত তার ৮৩তম গ্র্যান্ডমাস্টার হিসেবে গত জুলাইয়ে আদিত্য সামন্তকে পেয়েছে।
হাম্পি বলেন, “সবাই সবসময় বিশ্বাস করত যে ভারত ক্রিকেটের জন্য বেশি জনপ্রিয়, কিন্তু আমরা সেটার পরিবর্তন করছি। দাবাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। সবার মুখে মুখে ঘুরছে সেরা দাবাড়ুদের নাম। ঘরে ঘের তাঁদের নাম ছড়িয়ে পড়েছে। যা বড় পার্থক্য গড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।”
“দাবা খেলার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে, আমি বলব। আগে, আমি কোনও দর্শককে খেলা দেখতে দেখতাম না… এখন আমি দেখছি অনেক কর্পোরেট খেলায় আসছে, প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের সমর্থন করছে, এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি আন্তর্জাতিক খেলার ক্ষেত্রে ফ্যানদের উত্তেজনা বা গ্র্যান্ডমাস্টার টুর্নামেন্ট ঘিরে মানুষের আগ্রহ,’’ বলেন হাম্পি।
“আমরা সবার মধ্যে অনেক উৎসাহ দেখতে পাচ্ছি। এটি ১০ বছর আগে ছিল না। এটি দাবার জন্য একেবারেই নতুন। এটি খুবই ইতিবাচক এবং আনন্দের,” তিনি বলেন। হাম্পি জানান, তিনি টাটা স্টিল চেস ইন্ডিয়া র্যাপিড অ্যান্ড ব্লিৎজ, দুটোতেই অংশ নেবেন।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার