অলস্পোর্ট ডেস্ক: এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (ACC) সম্ভাব্য রাজস্ব ক্ষতির বিষয়ে মিডিয়া স্বত্ত্ব এবং স্পনসরদের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)-কে এশিয়া কাপের সময়সূচী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চূড়ান্ত করার জন্য চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছে।
এশিয়া কাপের সময়সূচী নিয়ে অনিশ্চয়তা স্পনসর এবং মিডিয়া স্বত্মবাধিকারীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। স্পনসর এবং এসিসি উভয়ই বিসিসিআইকে এই সপ্তাহের শেষের মধ্যে সময়সূচী চূড়ান্ত করার জন্য অনুরোধ করছে।
ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুযায়ী এসিসির ইমেলে লেখা হয়েছে, “যে চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হচ্ছে তা তুলে ধরার পাশাপাশি, মিডিয়া অধিকার অংশীদার ২০২৫ টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার ৬০ থেকে ৯০ দিন আগে থেকে শুরু হওয়া চুক্তির অধীনে বাধ্যবাধকতার কথাও উল্লেখ করেছে।”
“আমাদের স্পনসরশিপ রাইটস পার্টনার, টিসিএম, উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যিক উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছে, বিশেষ করে কার্যকর নগদীকরণ এবং সক্রিয়করণ পরিকল্পনার জন্য প্রয়োজনীয় সময়সীমা সম্পর্কে।”
“এছাড়াও, একই সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় আইসিসি এবং আন্তর্জাতিক ইভেন্ট নির্ধারিত হওয়ার কারণে, সনি এবং টিসিএম উভয়ই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে আরও বিলম্বের ফলে বাণিজ্যিক সুযোগগুলি হাতছাড়া হতে পারে – সময়সূচীর সীমাবদ্ধতা এবং সীমিত লিড টাইমের কারণে ক্ষতি যা অপূরণীয় হতে পারে।”
“এই পরিস্থিতিতে অন্যান্য বড় টুর্নামেন্টের সূচি ইতিমধ্যেই নিশ্চিত হয়ে গেছে, তাঁর উপর বিবেচনা করে আমরা এই সপ্তাহের মধ্যে এশিয়া কাপের সময়সূচী চূড়ান্ত করে আমাদের অধিকারধারীদের উদ্বেগ দূর করতে আগ্রহী। এই বিষয়টি এসিসি-এর জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ পুরুষদের এশিয়া কাপ তাদের আয়ের প্রধান উৎস।”
“আমরা বিশ্বাস করি যে আরও বিলম্ব আমাদের অংশীদারদের কাছ থেকে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগের সম্মুখীন হতে পারে, যারা ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে বা ছাড়ের জন্য অনুরোধ করতে পারে।”
এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন হচ্ছে ভারত কি এশিয়া কাপে খেলবে?
মাস খানেক আগে এক সূত্র জানিয়েছিল যে পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে ভারতের ২০২৫ সালের এশিয়া কাপে খেলার বা আয়োজনের সম্ভাবনা কম। এই অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও, সনি পিকচার্স নেটওয়ার্কস ইন্ডিয়া (SPNI) – যা আট বছর ধরে ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে ২০২৪ সালে এশিয়া কাপ ইভেন্টের মিডিয়া স্বত্ব অর্জন করেছিল – সম্প্রতি ভারতের সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে একটি প্রচারমূলক ভিডিও প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের নাজমুল হোসেন শান্ত এবং শ্রীলঙ্কার চারিথ আসালঙ্কাও প্রোমোতে রয়েছেন।
যদি ভারত শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট থেকে সরে যায়, তাহলে এশিয়া কাপ হওয়ার সম্ভাবনা হয়তো সম্পূর্ণ বাতিল করা হবে। মহসিন নকভি বর্তমানে এসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, এই ধরনের বাতিলের আর্থিক প্রভাব তাঁর নেতৃত্বেই পড়বে।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার





