নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ঘরের মাঠেও জিততে পারল না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। প্রথম ব্যাট করে ২ উইকেটে ২১২ রান তুলেও বিরাট কোহলিরা হারলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে। জবাবে লোকেশ রাহুলরা তুললেন ৯ উইকেটে ২১৩ রান।
জয়ের জন্য ২১৩ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় লখনউ। মাত্র ২৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যান রাহুলরা। তাও জয় এল মার্কাস স্টোইনিস এবং নিকোলাস পুরানের অনবদ্য ইনিংসের সুবাদে। লখনউয়ের ওপেনার কাইল মেয়ার্সকে (শূন্য) শুরুতেই আউট করেন মহম্মদ সিরাজ। দ্রুত সাজঘরে ফিরলেন দীপক হুডা (৯) এবং ক্রুণাল পাণ্ড্যও (শূন্য)। তাঁদের আউট করলেন ওয়েন পার্নেল। এর পর দলের ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক রাহুল এবং স্টোইনিস। রাহুল উইকেটের এক দিক ধরে রেখেছিলেন। আগ্রাসী মেজাজে রান তুললে শুরু করেন স্টোইনিস। তাঁদের চেষ্টাও অবশ্য বিশেষ কাজে এল না। স্টোইনিস আউট হওয়ার পর সাজঘরে ফিরলেন রাহুলও। অসি অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে এল ৩০ বলে ৬৫ রানের ইনিংস। ৬টি চার এবং ৫টি ছক্কা দিয়ে সাজালেন নিজের ইনিংস। রাহুল আউট হলেন ২০ বলে ১৮ রান করে। মারলেন ১টি চার। লখনউ অধিনায়কের ইনিংস টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পক্ষে বড়ই বেমানান। তবু লখনউ ম্যাচ জিতল পুরানের দাপুটে ব্যাটিংয়ে। মাত্র ১৫ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন তিনি। এ বারের আইপিএলে এটাই দ্রুততম অর্ধশতরান। শেষ পর্যন্ত তিনি করলেন ১৯ বলে ৬২ রান। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৪টি চার এবং ৭টি ছয়। তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ সময় আউট করে সিরাজ বেঙ্গালুরুর আশা জাগালেও লাভ হল না। পুরানের সঙ্গে দলকে ভরসা দিলেন আযুষ বাদোনিও।
স্টোইনিসের পর লখনউয়ের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের পুরান। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন আয়োজকদের শিবিরে। যে চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে পারলেন না কোহলিরা। বাদোনি আউট হয়ে গেলেন মাত্র ৭ রান বাকি থাকতে। তিনি করলেন ২৪ বলে ৩০ রান। ৪টি চার এল তাঁর ব্যাচ থেকে। পার্নেলকে ছয় মেরেও হিট উইকেট হলেন। শেষ পর্যন্ত আবেশ খান, জয়দেব উনাদকাটদের মরিয়া লড়াই রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দিল লখনউকে।
রাহুলদের বিরুদ্ধে প্রথম উইকেটের জুটিতে বেঙ্গালুরু তুলল ৯৬ রান। কোহলি আউট হওয়ার পর আগ্রাসী মেজাজে দেখা গেল ডুপ্লেসিকেও। ততক্ষণে ১২ ওভার হয়ে যাওয়ায় এবং হাতে উইকেট থাকায় দলের রান দ্রুত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাঁর সঙ্গে মানানসই ছিলেন ম্যাক্সওয়েলও। শেষ পাঁচ ওভারে কার্যত রানের বন্যা বইয়ে দিলেন দু’জনে। তাঁদের দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে উঠল ১১৫ রান। বেঙ্গালুরু অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ৪৬ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলে। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৫টি করে চার এবং ছয়। অজি অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে এল ২৯ বলে ৫৯ রানের ইনিংস। মারলেন ৩টি চার এবং ৬টি ছয়।