অলস্পোর্ট ডেস্ক: এশিয়া কাপ ২০২৩ সুপার ফোরের ম্যা্চ তো ছিল পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে কিন্তু এই ম্যাচ ঘিরে অনেকবেশি আগ্রহ ছিল ভারতীয়দের। কারণ এই ম্যাচের ফলের উপরই নির্ভর করছিল কে হবে ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ। শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলল। বৃষ্টির জন্য ৫০ ওভারের ম্যাচ কমে এসেছিল ৪২ ওভারে। আর সেখান থেকেই পাওয়া এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট। কারণ এই দুই দলকে হারিয়ে আগেই ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল ভারত। এদিন প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কার সামনে ২৫৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল পাকিস্তান। দারুণ ব্যাট করে জয়ের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু নিজেরাই তা কঠিন করে ফেলে সঙ্গে শেষবেলায় পাকিস্তানের দুরন্ত বোলিংয়ে হোম টিমের বিদায় ঘণ্টা বেজে যায়।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। যদিও খেলার শুরুটাই দেড়িতে হয়। কিন্তু ভাগ্যের বিষয় হল বৃষ্টি আর মাঝ পথে এসে তেমনভাবে ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি। এদিন পাকিস্তানের হয়ে শুরুটা ভালই করে দিয়েছিলেন আবদুল্লা শফিক। ওপেন করতে নেমে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। যদিও আর এক ওপেনার ফখর জামান হতাশ করলেন। মাত্র ৪ রান করে ফিরে গেলেন তিনি। তিন নম্বরে নেমে ২৯ রান করে ফিরে যান স্বয়ং অধিনায়ক বাবর।
এখান থেকেই পাকিস্তান ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন মহম্মদ রিজওয়ান। মহম্মদ হ্যারি ৩ ও মহম্মদ নওয়াজ ১২ রানে ফিরে যাওয়ার পর রিজওয়ানকে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে যান ইফতিখার আহমেদ। ৭৩ বলে ছ’টি বাউন্ডারি ও দু’টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৮৬ রান করে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। ৪৭ রান করে আউট হন ইফতিখার। শাদাব খান করেন মাত্র ৩ রান। ৪২ ওভারে পাকিস্তান থামে ২৫২-৭-এ। শ্রীলঙ্কার হয়ে তিন উইকেট নেন মাথিশা পাথিরানা। দুই উইকেট নেন প্রমোদ মাদুশান। একটি করে উইকেট নেন মহেশ থিকসানা ও দুনিথ ওয়েলালাগে।
৪২ ওভারের ২৫৩ রানের লক্ষ্যমাত্রাটা খুব সহজ ছিল না শ্রীলঙ্কার জন্য। এক তো ঘরের মাঠে খেলা। সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ রয়েছেই সঙ্গে গত এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবেও তাদের ঘিরে প্রত্যাশা রয়েছে। তার মধ্যেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা যদিও ভাল হয়নি শ্রীলঙ্কার। দুই ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ২৯ ও কুসল পেরেরা ১৭ রান করে আউট হয়ে যান। শুরুতেই ধাক্কা খেয়েও ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কা। তিন নম্বরে নামা কুসল মেন্ডিস আর সাদিরা সামারাবিক্রমার ইনিংস শ্রীলঙ্কাকে লড়াই দিতে সাহায্য করে।
৮৭ বল ৯১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন মেন্ডিস। কিন্তু কঠিন সময়ে আউট হয়ে যান তিনি। সঙ্গে হাত ছাড়া হয় সেঞ্চুরিও। তবে তাঁর আউটের পুরো কৃতিত্বটাই মহম্মদ হ্যারিসের দুরন্ত ক্যাচের। তিনি যখন আউট হন তখন ৪২ বলে জিততে হলে শ্রীলঙ্কার দরকার ৪১ রান। তার আগেই অবশ্য ৪৮ রান করে আউট হয়ে গিয়েছেন সাদিরা। এই দুই ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর চরিথ আসালাঙ্কা ও অধিনায়ক দাসুন শানাকার উপর অনেকটাই নির্ভর করছিল দলের জয়। কিন্তু মাত্র ২ রান করে ফিরে যান ক্যাপ্টেন। ৫ রানে আউট হন ধনঞ্জয় ডিসিলভা। কোনও রান না করেই ফেরেন দুনিথ। পর পর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন শাহিন আফ্রিদি। ১ রানে আউট হন প্রমোদ মাদুসান। শেষ পর্যন্ত লড়াই এসে দাঁড়ায় ১ বলে ২ রানের। এবং শেষ বলে ২ রান নিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল শ্রীলঙ্কা। ৪৯ রানে অপরাজিত থাকলেন চরিথ আসালাঙ্কা। পাকিস্তানের হয়ে তিন উইকেট নেন ইফতিখার আহমেদ, দুই উইকেট নেন আফ্রিদি। ও এক উইকেট নেন শাদাব খান।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার