অলস্পোর্ট ডেস্ক: বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ২০২৪-এর চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিন অস্ট্রেলিয়া থেমেছিল ৩১১-৬-এ। সেই সময় ক্রিজে ছিলেন স্টিভেন স্মিথ ও প্যাট কামিন্স। তার আগে অবশ্য দলের প্রথম তিন ব্যাটার স্যাম কনস্টাস ৬০, উসমান খোয়াজা ৫৭ ও মার্নাস লাবুশেন ৭২ রান করে দলের ভিতটা তৈরি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ত্রাভিস হেড ০, মিচেল মার্শ ৪ ও অ্যালেক্স ক্যারি ৩১ রান করে আউট হয়ে শুরুর লড়াইকে একটা ধাক্কা দিয়েছিলেন। তবে ভরসা ছিলেন স্মিথ। কারণ ৬৮ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছিলেন। তাঁর সহ্গে ৮ রান সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। দু’জনের ব্যাটে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস শেষ করে ৪৭৪ রানে। দিনের শেষে ৩১০ রানে পিছিয়ে ভারত
প্রথম দিনই বড় রানের ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছিলেন স্মিথ। দ্বিতীয় দিন শুরু করে তিনি যখন থামেন তখন তাঁর নামের পাশে ১৪০ রানের বিশাল ইনিংস লেখা হয়ে গিয়েছে। তাঁর এই ইনিংস সাজানো ছিল ১৩টি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। প্যাট কামিন্স এক রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস করেন। তিনি ৪৯ রানে আউট হওয়ার পর আর কেউ বড় কিছু করতে পারেননি। মিচেল স্টার্ক ১৫ ও নাথান লিয়ঁ ১৩ রানে আউট হন। ৬ রানে অপরাজিত থাকেন স্কট বোল্যান্ড।
প্রথম দিনের তিন উইকেটের পর এদিন নিজের ঝুলিতে আরও এক উইকেট যোগ করেন যশপ্রীত বুমরাহ। তিনি চার উইকেট নিয়ে প্রথম ইনিংস শেষ করেন। এছাড়া তিন উইকেট নেন রবীন্দ্র জাডেজা। দুই উইকেট আসে আকাশদীপের ঝুলিতে। এক উইকেট ওয়াশিংটন সুন্দরের। প্রথম ইনিংসে উইকেটের ভাড়ার শূন্য মহম্মদ সিরাজের। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল না হলেও, তৃতীয় উইকেটে যশস্বীর সঙ্গে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন বিরাট কোহলি। যদিও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি ভুল বোঝাবুঝির জন্য।
প্রথম টেস্টে না খেলা রোহিত শর্মা পরের দুই টেস্টে ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সাফল্য পাননি। বক্সিং ডে টেস্টে প্রত্যাশা মতই তিনি আবার ফিরে আসেন ওপেনিংয়ে। কিন্তু আবারও তিনি হতাশ করলেন। মাত্র তিন রান করে ফিরে গেলেন প্যাভেলিয়নে। ওপেনিংয়ে রোহিত পেরায় তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামতে হয়েছিল কেএল রাহুলকে। তিনিও হতাশ করেন ব্যাট হাতে। মাত্র ২৪ রান করে আউট হয়ে যান। এর পর চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন বিরাট কোহলি। তখনও উল্টোদিকে লনাই চালিয়ে যাচ্ছেন ২২ বছর বয়সী যশস্বী জয়সওয়াল।
ব্যাট হাতে যখন দলের সিনিয়ররা হতাশ করছেন তখন তিনিই ভরসা হয়ে উঠেছিলেন ভারতীয় ইনিংসের। প্রথম টেস্টেও তাঁর ব্যাটে ১৬১ রান এসেছিল। তার পরের দুই টেস্ট ভাল যায়নি। কিন্তু এই ম্যাচে আবার গুরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাধ সাধল ভুল বোঝাবুঝি। বা বলা যায় বিরাট কোহলির স্বার্থপরতা। ব্যাট করে কল করেছিলেন জয়সওয়ালই। কল করেই তিনি দৌঁড় শুরু করেন। উল্টোদিকে তখন বিরাট কোহলি বেরিয়েই পিছনে তাকিয়ে দেখেন বল কামিন্সের হাতে। তাই তিনি নিজের জায়গায় ফিরে যান। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেড়ি হয়ে গিয়েছে। উল্টোদিকে প্রায় পৌঁছেই গিয়েছেন জয়সওয়াল। তাঁর আর ফেরার কোনও রাস্তা ছিল না।
সেই সময় কোহলি যদি রান নিতেন তাহলে হয়তো কেউই আউট হতেন না। কারণ কামিন্সের সরাসরি থ্রো উইকেটে লাগেনি। ক্যারি বল ধরে হেঁটে গিয়ে উইকেট ফেলেন। এই অবস্থায় মাত্র ১৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হল যশস্বী জয়সওয়ালের। এদিন যেভাবে ব্যাট করছিলেন তিনি তাতে তাঁর সেঞ্চুরি নিশ্চিত ছিল। যা ভারতের বড় ইনিংসের পথ প্রদর্শক হতে পারত। ১১৮ বলে ১১টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৮২ রান করেন যশস্বী জয়সওয়াল। বিরাট কোহলি ফেরেন ৩৬ রানে। নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নামা আকাশদীপ রানের খাতাই খুলতে পারেননি। দিনের শেষে ৬ রানে ঋষভ পন্থ ও ৪ রানে রবীন্দ্র জাডেজা অপরাজিত রয়েছেন। দিনের শেষে ভারত ১৬৪-৫। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন প্যাট কামিন্স ও স্কট বোল্যান্ড।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার