অলস্পোর্ট ডেস্ক: ভারতের সামনে লক্ষ্য ছিল পুরো দিন ক্রিজে টিকে থাকা। জিততে হলে লক্ষ্য ছিল ৩৩৯ রান। জয়ের রানের জন্য তাড়া করার থেকেও বেশি জরুরী ছিল ক্রিজে টিকে থেকে ম্যাচ ড্র করা। ৩৩৯ রান একদিনে করার থেকে সেটাই বেশি সহজ ছিল। কিন্তু তাতেও হতাশ করলেন দলের তারকা ব্যাটাররা। কঠিন সময়েও ব্যাট হাতে দলকে বরসা দিতে পারলেন না রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, কেএল রাহুলরা। চতুর্থ দিন ২২৮-৯-এ দিন শেষ করার পর পঞ্চম দিনের শুরুতে আর মাত্র ৬ রানই যোগ করতে পেরেছিল নাথান লিয়ঁ ও স্কট বোল্যান্ড। লিয়ঁ ৪১ রানে আউট হন আর বোল্যান্ড ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। যশপ্রীত বুমরাহ তাঁর পাঁচ উইকেট সম্পূর্ণ করেন। এর পরই ছিল ভারতের সামনে আসল লড়াই। যা ১৮৪ রানে হেরে শেষ করলেন রোহিতরা। টিম গেম এক, দু’জনের উপর ভরসা করে যে জেতা যায় না তাই আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বক্সিং ডে টেস্ট।
প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ঠান্ডা মাথায় ভারতের রানকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। যেখানে রোহিত ৯, রাহুল ০ ও কোহলি ৫ রান করে দায়িত্বজ্ঞ্যানহীনতার পরিচয় দিলেন যা তাঁরা টানা দিয়ে চলেছেন। রোহিত, বিরাট পুরো সিরিজে ব্যর্। সেদিক থেকে দেখতে গেলে রাহুলকেও বড় কিছু কৃতিত্ব দেওয়া যায় না। কারণ একটি টেস্টের এক ইনিংস বড় রান কঠিন সময়ে কিছু করতে না পারার রক্ষাকর্তা হতে পারে না। যখন সেই পিচেই, সেই বোারদের বিরুদ্ধে জয়সওয়াল, রেড্ডিদের মতো জুনিয়ররারান পাচ্ছেন। ভারতের টপ অর্ডার নিয়ে অবশ্যই ভাবার সময় এসেছে টিম ম্যানেজমেন্টের।
তিন তারকা ফিরে যাওয়ার পর যশস্বীর সঙ্গে ব্যাট করতে নামেন ঋষভ পন্থ। একজন অভিজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে তাঁর দায়িত্ব ছিল ক্রিজে টিকে থাকা শেষ পর্যন্ত কিন্তু ধৈর্য্যের অভাব তাঁকে ফিরতে বাধ্য করল। ৩০ রান করে তিনি আউট হলেন। তার পরটা আরও শোচনীয়। রবীন্দ্র জাডেজা ২, নীতীশ কুমার রেড্ডি ১, আকাশ দীপ ৭ রান করে আউট হয়ে গেলেন। ৩৩ রানে তিন উইকেট পড়ার পর ভারত চতুর্থ উইকেট হারায় ১২১ রানে। সেখান তেকে ১৫০ রানে আট উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় ভারত।
যদিও যশস্বী জয়সওয়ালের (৮৪) আউট নিয়ে বিতর্ক থাকবে। মাঠ ছাড়ার সময় খুশি ছিলেন না তিনি। তৃতীয় আম্পায়ারও যে নিশ্চিত ছিলেন না সেটাও তাদের আলোচনায় স্পষ্ট ছিল। রিপ্লে-তে ডিফ্লেকশন দেখেই তাঁক আউট দেওয়া হয়। যশপ্রীত বুমরাহকে সঙ্গে নিয়ে ওয়াশিংটন সুন্দর যে বড় কিছু করতে পারবেন না তা জানাই ছিল। এবং ৮ বল খেলে কোনও রান না করে ফিরে গেলেন বুমরাহ। দলের রান তখন ১৫৫-৯। শেষ আশা ছিলেন মহম্মদ সিরাজ। তিনিও রানের খাতা খুলতে পারলেন না। ১৫৫ রানেই শেষ হয়ে গেল ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন প্যাট কামিন্স ও স্কট বোল্যান্ড। দুই উইকেট নিলেন নাথান লিয়ঁ। একটি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক ও ত্রাভিস হেড। বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির শেষ ম্যাচ সিডনিতে ৩ জানুয়ারি থেকে। এই ম্যাচ জিততে পারলে সিরিজ ড্র রেখে শেষ করতে পারবে ভারত।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার