অলস্পোর্ট ডেস্ক: কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ম্যাচ শুরুর অনেক আগে থেকেই দেওয়াল লিখনটা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। বুধবারের আইপিএল ২০২৫-এ কলকাতা বনাম চেন্নাই ম্যাচের হিরো এমএস ধোনি। ৪২ হাজারের গ্যালারির ৯০ শতাংশই ছিল ধোনি সমর্থকদের দখলে। ট্রেলার অবশ্য দেখিয়ে দিয়েছিল, “ধোনি অ্যাট ইডেন” ছবি হিট। শেষটাও লেখা হল তাঁরই হাতে। শেষ বলে যখন জিততে হলে চেন্নাইয়ের দরকার ৮ রান তখন প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে জয়ের রাস্তাটা পরিষ্কার করে দিলেন তিনিই। তার পরের বলে এক রান নিতে পারতেন কিন্তু নিলেন না। তৃতীয বলে এক রান নিয়ে আনশুল কাম্বোজকে দিলেন। ততক্ষণে ম্যাচ সমানে সমানে জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। আর এক রান নিলেই জয়। না হলে সুপার ওভার। কিন্তু সময় নষ্ট করলেন না কাম্বোজ। চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হঁকিয়েই জয়ের রান তুলে নিলেন তিনি। কলকাতারর প্লে-অফের স্বপ্ন হয়তো এবার অধরাই থেকে যাবে।
গ্যালারিতে হতাশ দেখাচ্ছিল জুহি চাওলার মুখটা। এদিন টস জিতে ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেকেআর অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। প্রথমে ব্যাট করে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান আসে অধিনায়কের ব্যাট থেকেই। পুরো মরসুমে অজিঙ্কর ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও জায়গা নেই। তবে দল ব্যর্থ হলে অধিনায়কের দিকে আঙুল তো উঠবেই। এদিন দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১১ ও সুনীল নারিন ২৬ রানে আউট হওয়ার পর তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। অজিঙ্ক রাহানে। ৪৮ রান করে আউট হন তিনি। এর পর চার নম্বর নেমে ১ রান করে আউট হন অঙ্গকৃশ রঘুবংশী।
১০৩ রানে চার উইকেট থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের রানকে এগিয়ে নিয়ে যান মণীশ পান্ডে ও আন্দ্রে রাসেল। ৩৮ রানে রাসেল আউট হয়ে গেলেও ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন মণীশ। এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ রিঙ্কু সিংও। তবে ফিল্ডিংয়ে পুষিয়ে দেন তিনি। ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন রমনদীপ সিং। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিযে ১৭৯ রান করে কলকাতা। চেন্নাইয়ের হয়ে চার উইকেট নেন নুর আহমেদ। একটি করে উইকেট নেন আনশুল কাম্বোজ ও রবীন্দ্র জাডেজা।
১৮০ রানের লক্ষ্যে নেমে চেন্নাই সুপার কিংসের শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি। দুই ওপেনার আয়ুশ মাত্রে ও ডেভন কনওয়ে রানের খাতাই খুলতে পারেননি। নিয়মিত ব্যবধান উইকেট হারাতে শুরু করে চেন্নাই। যা দেখে ধরেই নেওয়া হয়েছিল এই ম্যাচ জিতে আশা বাঁচিয়ে রাখবে কলকাতা। দলগত শূন্য রানে এক উইকেটের পর ২৫, ৩৭, ৫৬, ৬০ রানে পাঁচ উইকেট চলে যায় চেন্নাইয়ের। উরভিল প্যাটেল ৩১, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৮, রবীন্দ্র জাডেজা ১৯ রান করে আউট হন। এখান থেকে চেন্নাই ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন দিওয়াল্দ ব্রেভিস ও শিভম দুবে।
ব্রেভিসের হাফ সেঞ্চুরি (৫২) আর শিভম দুবের ৪৫ রান চেন্নাইকে আবার লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনে। দু’জনে মিলে ৬০ থেকে দলের রানকে ১২৭-এ নিয়ে যান। এর পর বাকি কাজটি করে দেন এমএস ধোনি। শেষ মুহূর্তের টানটান উত্তেজনা পরিকল্পনা করেই সামলে দেন ঠান্ডা মাথায়। মাঝে ২ রান করে নূ আহমেদ ফিরে যান। ধোনি ১৭ ও কাম্বোজ ৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৯।৪ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান তুলে নেয় সিএসকে। দুই বল বাকি থাকতে ২ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় চেন্নাই।
কলকাতার হয়ে তিন উইকেট নেন বৈভব অরোরা। দুটো করে উইকেট নেন হর্ষিত রানা ও বরুণ চক্রবর্তী। এক উইকেট নেন মঈন আলি। ম্যাচের সেরা হয়েছেন চেন্নাইয়ের নূর আহমেদ।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার