অলস্পোর্ট ডেস্ক: তিনি যেন ১৯৯৬-এ লর্ডস টেস্টের সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিষেকেই ব্যাট হাতে হাঁকিয়েছিলেন সেঞ্চুরি। কিছুটা অপ্রত্যাশিতই ছিল বটে। এদিন যেন সেই ক্রিকেটের ময়দানকে রাজনীতির ময়দানে ফিরিয়ে আনলেন তিনি সৌরভের বাংলায়। তিনি বিগ হিটার বলেই খ্যাত। ক্রিকেটের ময়দান থেকে রাজনীতির ময়দানে এসেও অভিষেকেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে জানিয়ে দিলেন টিকে থাকতেই এই পথে পা বাড়িয়েছেন তিনি। তিনি ইউসুফ পাঠান। অন্যজন ভারতের সেই ক্রিকেট দলের সদস্য যারা দেশকে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ দিয়েছিলেন। সেখান থেকে রাজনীতির ময়দানে অবশ্য তিনি নতুন নন। বরং দল বদলেই এই বাংলায় পা রাখা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লোকসভা নির্বাচনের ২২ গজে নেমে পড়া। তিনি কীর্তি আজাদ।
ভিনরাজ্যের দুই ক্রিকেটারকে দিয়ে এমন দুটো ম্যাচ জিতে নিল তৃণমূল কংগ্রেস যা হয়তো অতি বড় সমর্থকও ভাবেননি। কিন্তু চমকটাও রাজনীতিরই অংশ। ঠিক যেভাবে সবাইকে চমকে দিয়ে এমন দুই হেভিওয়েট প্রতিপক্ষকে হারালেন তাঁরা তাতে এই লড়াইয়ে এই দুই মুখ কোচের মাস্টার স্ট্রোক হিসেবে গন্য হবে। কীর্তি আজাদ, যিনি হারিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ’কে। অন্যদিকে ইউসুফ পাঠান মাত দিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। দুই দুদে রাজনীতিককে হারিয়ে বাংলার রাজনীতিতে পথ চলা শুরু করলেন দুই ক্রিকেটার।
একটা সময় বিজেপি’র সদস্য ছিলেন কীর্তি আজাদ। সেই কীর্তি বিজেপি প্রার্থী দিলীপকে ১,৩৭,৫৬৪ ভোটে হারিয়ে দিলেন। ২০১৪ সালে বিজেপির প্রার্থী হয়ে বিহারের দ্বারভাঙা আসন থেকে সংসদে গিয়েছিলেন কীর্তি। কিন্তু পরবর্তী কালে বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। এরপর কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০২১ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসেন কপিল দেবের আমলে বিশ্বকাপ জেতা প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। অন্য দিকে, অধীর চৌধুরী’কে হারিয়ে কার্যত সকলকে চমকে দিয়েছেন ইউসুফ পাঠান। অধীরের থেকে ৮০ হাজারেরও বেশি ভোটে বহরমপুর থেকে জিতেছেন তিনি। যা বিপুল জয় হিসেবেই চিহ্নিত হবে।
অধীর’কে হারানোর পর ইউসুফ বলেন, “এই জয় শুধু আমার জয় নয়। এখানকার সকল কর্মীর জয়। সবাইকে ধন্যবাদ।” তিনি আরও বলেন, “রেকর্ড তৈরি হয় ভাঙার জন্য। অধীরজি সিনিয়র লিডার। ওঁকে সম্মান করি। সেই সম্মান অটুট থাকবে।”
সাংসদ হিসাবে মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন বলে জানান তৃণমূল প্রার্থী। তিনি বলেন, “ছোটদের জন্য স্পোর্টিং অ্যাকাডেমি করব। শিল্পের জন্য চেষ্টা করব।” গুজরাত থেকে বাংলায় এসে অধীরের মতো প্রতিপক্ষকে হারিয়েছেন। তাই পশ্চিমবঙ্গ’কেই নিজের তৃতীয় বাড়ি মনে করছেন ইউসুফ। এই নিয়ে তিনি বলেছেন, “আমার বাড়ি গুজরাতে। কাজের সূত্রে দিল্লি যেতে হবে। তবে সময় পেলে এখানেই আসব। এটা আমার তৃতীয় বাড়ি। এখানে আমি আরও একটা পরিবার পেয়েছি।”
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার