অলস্পোর্ট ডেস্ক: বাংলার ক্রীড়ায় তিনিও একটা নাম। তিনিও তারকা ক্রিকেটার। আজও বাংলা থেকে বিশ্বের দরবারে প্রতিনিধিত্ব করা ক্রিকেটারের নাম করতে হলে তাঁকে রাখতেই হবে তালিকায়। বাংলার তালিকাটা সত্যিই খুব ছোট তবু সেখানে জায়গা করে নিয়েছেন শিলিগুড়ি থেকে উঠে আসা ঋদ্ধিমান সাহা। অবসর পরবর্তী সময়েও তাঁর গলায় আবার শোনা গেল ২৮ বছর আগের দিনগুলো, যখন তিনি উত্তরবঙ্গে বসে ভারতের জার্সি পরার স্বপ্ন দেখেছিলেন। শুধু স্বপ্ন দেখেই থামেননি তাঁকে বাস্তবায়িত করেছেন। বার বার ধাক্কা খেয়েছেন আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি যে প্রচন্ড ঠান্ডা মাথার মানুষ, যা বার বার বলছিলেন ঋদ্ধিমানের স্ত্রী দেবারতি।
কয়েকদিন আগেই বাংলার হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে অবসর ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার কলকাতা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবের তরফে ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সফল উইকেট কিপারকে সংবর্ধিত করা হল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী কন্যা। ছিলেন আইপিএল কমিটির সদস্য অভিষেক ডালমিয়া। তবে এদিনের পুরো বিষয়টাই ছিল মৃদুভাষী উইকেট কিপারকে নিয়ে। তাঁর সম্মানে সেজে উঠেছিল ক্লাব তাঁবু। ফুলের তোড়া, কসমেটিক সেট, মিষ্টি থেকে চকোলেট, কী ছিল না উপহারের তালিকায়। সিএসজেসির তরফে ঋদ্ধিমান ও তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল ‘পারফেক্ট ফ্যামিলি পিকচার ‘।
এর পর ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। সেখানেও অকপট তিনি। মৃদুভাষী হলেও স্পষ্ট বক্তা তিনি। বিতর্ককে ভয় পান না। যা মনে করেন সেটাই সোজাসাপ্টা বলে দেন। যার জন্য কম বিতর্ক হয়নি। তবে সব উড়িয়ে দিয়েছেন ঠান্ডা মাথায়। দল থেকে বাদ পড়া, বার বার, সিএবির সঙ্গে মান অভিমানের পালা সব ছক্কা হাঁকিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়েছেন। আবার ফিরেছেন স্বমহিমায়। ক্রিকেট খেলাকে বিদায় জানিয়েছেন তবে ক্রিকেটকে নয়। ভবিষ্যতে কোচিং করাবেন তবে নিজেকে আরও একটু অভিজ্ঞ করে নিয়ে।

বলছিলেন, “এটা ঠিক কেকেআর থেকে সহকারী কোচের দায়িত্ব নেওয়ার অফার ছিল। কিন্তু এখনও সেই দায়িত্ব নেওয়ার জায়গায় আমি যাইনি। আইপিএল খেলা আর সেখানে কোচিং করানোর মধ্যে পার্থক্য আছে। তাই আর একটু সময় চাই। যখন সেটা করার মতো জায়গায় পৌছাবো তখন যদি অফার আসে তাহলে ভেবে দেখব।” তবে মাঠ ছাড়ছেন না ঋদ্ধিমান। স্ত্রী দেবারতিও চান না তিনি মাঠ ছাড়ুক।
দেবারতি বলছিলেন, “আমি চাই মাঠের মানুষ মাঠেই থাকুক। ওর অবসরে ওর থেকে বেশি সমস্যা মনে হয় আমার হচ্ছে। তবে এটাও ঠিক এবার একটু পরিবারকে সময় দিতে পারবে।” স্বয়ং ঋদ্ধিমানও আপাতত সেটাই চান। যা এত বছরে খেলার জন্য পারেননি তা এখন করতে চান তিনি। সঙ্গে তুলে আনতে চান আরও ঋদ্ধিমান। ভোলেননি বাংলার সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাতেও। আর প্রশাসন বা রাজনীতিতে যাওয়ার প্রসঙ্গে আপাতত উত্তরহীন ঋদ্ধিমান সাহা। তবে তাঁকে প্রশাসনে দেখতে চান স্বয়ং অভিষেক ডালমিয়া।
তবে বিয়োপিকের যুগে তাঁর জীবন নিয়ে সিনেমা হবে, এমনটা নিজেই ভাবতে পারছেন না তিনি। তাঁর এক কথায় উত্তর, “আমার মতো বোরিং লোককে নিয়ে কে সিনেমা বানাবেন? কেউ বানাবে না।”
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার