অলস্পোর্ট ডেস্ক: ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের অভিযোগের কারণে সোমবার কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং গুজরাট টাইটান্সের মধ্যে আইপিএল ম্যাচ থেকে তাঁকে দূরে রাখা হয়েছিল, এই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন বিশিষ্ট ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে কলকাতায় কেবল দু’টি ম্যাচের জন্য তাঁকে প্যানেলে রাখা হয়েছিল, যা শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রায় ১০ দিন আগে বিসিসিআইকে পাঠানো সিএবির চিঠি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার একদিন পরই তার স্পষ্টীকরণ এলো। চিঠিতে, সিএবির কলকাতার ম্যাচগুলির জন্য ধারাভাষ্য প্যানেল থেকে ভোগলে এবং নিউজিল্যান্ডের সাইমন ডুলকে অপসারণের জন্য অনুরোধ করেছিল, কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছিল যে ইডেন গার্ডেন্সের পিচ স্থানীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্সকে সাহায্য করছে না এই অভিযোগকে সামনে রেখে এই দুই ধারাভাষ্যকার কেকেআরকে হোম গ্রাউন্ড পরিবর্তনের উপদেশ দিয়েছিলেন।
“গতকালের কলকাতার খেলায় আমি কেন ছিলাম না সে সম্পর্কে কিছু অনুপযুক্ত তথ্য উঠে আসছে। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি আমার খেলার তালিকায় ছিল না!” ভোগলে ‘এক্স’-এ পোস্ট করেছেন।
“আমাকে জিজ্ঞাসা করলেই সমস্যা সমাধান হয়ে যেত। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই তালিকা তৈরি করা হয়। কলকাতায় দু’টি খেলার জন্য আমাকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। আমি প্রথম ম্যাচে সেখানে ছিলাম এবং পরিবারের অসুস্থতার কারণে আমি দ্বিতীয় স্থানে থাকতে পারিনি,” তিনি খেলার নাম উল্লেখ না করে যোগ করেন।
সোমবার ইডেন গার্ডেনে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে কেকেআর ৩৯ রানে হেরে যায়। পর পর হারে রীতিমতো বিধ্বস্ত কলকাতা দল। প্রথম থেকেই পিচের দিকে আঙুল তুলেছেন দলের অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। তার জবাবও কড়া ভাষায় দিয়েছিলেন ইডেনের পিচ কিউরেটর।
কেকেআর অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে এবং প্রধান কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত উভয়েই ভেন্যুতে আরও স্পিন-বান্ধব ট্র্যাক দাবি করেছেন এবং বরুণ চক্রবর্থী, সুনীল নাইন এবং মঈন আলির সমন্বয়ে তাদের আক্রমণের জন্য উপযুক্ত ট্র্যাক না দেওয়ায় তাদের হতাশা প্রকাশ করেছেন বার বার। কিন্তু ইডেনের পিচ একই থেকে গিয়েছে। পরিবর্তন করা হবে এমন কথাও বলেনি কর্তৃপক্ষ।
দুই ধারাভাষ্যকার কেকেআর-এর হোম অ্যাডভান্টেজের প্রসঙ্গ তুলে ভেন্যু পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন। যা মোটেও পছন্দ হয়নি সিএবি অফিশিয়ালদের। আর তা নিয়েই যত জটিলতা।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার
