অলস্পোর্ট ডেস্ক: শুক্রবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (MCG) অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিনও আলোচনায় থাকলেন বিরাট কোহলি। যদিও প্রথম দিন ও দ্বিতীয় দিনের কারণ ভিন্ন। প্রথম দিন ছিল অস্ট্রেলিয়ার ১৯ বছরের ব্যাটার স্যাম কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা, যা নিয়ে বিস্তর সমালোচনাও হচ্ছে। তুলনা হচ্ছে একজন অভিজ্ঞ সিনিয়র ক্রিকেটার এবং সদ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া ক্রিকেটারের ব্যবহারের মধ্যেও। এবার সেই ঘটনাকে আরও একবার উসকে দিল দ্বিতীয় দিনের ঘটনা। কাঠগড়ায় বিরাট কোহলি।
ব্যাটসম্যান যশস্বী জয়সওয়াল এবং বিরাট কোহলি ব্যাট করছিলেন। ততক্ষণে দুই উইকেট পড়ে গিয়েছে ভারতের। ওপেন করতে নেমে দারুণ ছন্দে রয়েছেন ভারতের কনিষ্ঠতম ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল। তখন ৮২ রানে ব্যাট করছেন তিনি। ধারাভাষ্যকররা তাঁর সেঞ্চুরির অপেক্ষায় কথা বলছেন। প্রসঙ্গ উঠে আসছে তাঁর প্রথম টেস্টে ১৬১ রানের ইনিংসের। উল্টোদিকে তখন বিরাট কোহলি। ঠিক তখনই রান আউট হয়ে ফিরতে হল জয়সওয়ালকে। এই আউটের পিছনে বিরাট কোহলির ভূমিকা থেকেই যাবে, সে যতই জয়সওয়াল বলুন তাঁর দোষ।
জয়সওয়াল আউট হওয়ার আগে এই জুটি তৃতীয় উইকেটে ১০২ রানের পার্টনারশিপ করে। স্কট বোল্যান্ডের করা ৪১তম ওভারের শেষ বলে রান আউট হয়ে যান জয়সওয়াল। রানের জন্য কল করেছিলেন জয়সওয়ালই। প্রথমে সাড়া দিয়েও থমকে যান বিরাট। ততক্ষণে অবশ্য অনেক দূর পৌঁছে গিয়েছেন যশস্বী, সেখান থেকে আর ফেরা সম্ভব ছিল না। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কেন সেঞ্চুরির মুখে থাকা ব্যাটারের জন্য ঝুঁকি নিলেন না বিরাট? পরে অবশ্য তিনিও ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকে থাকেননি।
কোহলি শুরু করেই পিছন ফিরে তাকান দেখেন কাছেই রয়েছেন ফিল্ডার। তাঁর কাছে বল। দাঁড়িয়ে পড়েন বিরাট। জয়সওয়াল ততক্ষণে উল্টোদিকে পৌঁছে গিয়েছেন। দুই ব্যাটারের মধ্যে যোগাযোগের সমস্যা তো বটেই এটি। প্যাট কামিন্স বল ছুড়ে দেন স্ট্রাইকারের প্রান্তের দিকে এবং বাকিটা করেন অ্যালেক্স ক্যারি।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারত ১৬৪-৫। স্টিভ স্মিথের ১৪০ রানের ইনিংসের সাহায্যে লাঞ্চের পর অস্ট্রেলিয়া ৪৭৪ রানে অলআউট হওয়ার পরে দিনের শেষে ভারত ৩১০ রান পিছিয়ে।
ঋষভ পন্থ ৬ এবং রবীন্দ্র জাডেজা ৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন। শেষ আধঘণ্টাতে তিন উইকেট নিয়ে তারা ১৫৩-২ থেকে ভারতকে ১৬৪-৫-এ নিয়ে যায়।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার