Thursday, February 13, 2025
No menu items!
Google search engine
Homeআইপিএলআইপিএল-এ ধোনি যুগের ১৬ বছরে এসে একটাই প্রশ্ন, ‘এটাই কি শেষ মরসুম’

আইপিএল-এ ধোনি যুগের ১৬ বছরে এসে একটাই প্রশ্ন, ‘এটাই কি শেষ মরসুম’

মাহিকা ভট্টাচার্য: শুরু ২০০৮ সাল। আইপিএল-এর প্রথম মরসুম থেকেই খেলছেন তিনি। তখন থেকেই চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক। দেখতে দেখতে ১৬ ‌বছর কেটে গেল। এর মধ্যে ১৬ হাজার বার শুনতে হয়েছে অবসরের কথা। কিন্তু তিনি তো তিনিই, তিনি আসলে ধোনি। ইতিমধ্যেই নিয়মের অনেক পরিবর্তন এসেছে। সময়ের ফেরে বাকি দলের অধিনায়ক বদল হয়েছে একাধিকবার। অনেকেই অবসর নিয়েছেন। কিন্তু তিনি ঢাল হয়ে চেন্নাইয়ের সঙ্গে ছিলেন এবং আছেন। মাঝে দল পরিবর্তন যে হয়নি তা নয় তবে সেটা বাধ্য হয়েই। এই ১৬ বছরে আর কী কী প্রাপ্তি হল তাঁর, কিই বা হারালেন? ফিরে দেখা যাক আইপিএলের সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির আইপিএল কেরিয়ার।

আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার নজির গড়া ধোনির আইপিএল কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ঠিক ১৬ বছর আগে। ১৯ ফেব্রুয়ারি ধোনিকে ৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে নিলামে কিনেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। তাঁর ন্যূনতম দাম ছিল তিন কোটি টাকা। সে বার তিনিই ছিলেন চেন্নাইয়ের কেনা সব থেকে দামি ক্রিকেটার। অথচ আইপিএলের প্রথম নিলামে ধোনিকে নেওয়ার পরিকল্পনাই ছিল না চেন্নাই কর্তৃপক্ষের। প্রাক্তন ক্রিকেটার ভিবি চন্দ্রশেখর এক বার সেই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘২০০৮ সালে নিলামের আগে এন শ্রীনিবাসন আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, আমি নিলামে কাকে চা‌ই? তখন ধোনির নাম বলেছিলাম। শুনে শ্রীনিবাসন প্রশ্ন করেছিলেন, বীরেন্দ্র সেহবাগের জন্য কেন চেষ্টা করবেন না?’’

শেষ পর্যন্ত আইপিএলের প্রথম নিলামে ধোনিকেই ৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে নেয় চেন্নাই কর্তৃপক্ষ। সেই শুরু আইপিএল-এ ধোনি যুগের। তার পর থেকে ১৪ বছর চেন্নাই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন ধোনি। ধোনির নেতৃত্বাধীন চেন্নাই আইপিএলের অন্যতম সেরা দল। এখনও পর্যন্ত পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। ১৪ বারের মধ্যে ১২ বার প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে।

১৯ এপ্রি‌ল চেন্নাই আইপিএলের প্রথম বছর প্রথম ম্যাচ খেলে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে। সে বার ফাইনালে উঠলেও রাজস্থানের কাছে হেরে যায় চেন্নাই। সেই মরসুমেই ধোনি ১৬টি ম্যাচের মধ্যে ১৪টি ইনিংসে ব্যাট করে মোট রান করেছিলেন ৪১৪। গড় ৪১.৪০ এবং স্ট্রাইক রেট ১৩৩.৫৪। তাঁর সর্বোচ্চ রান ছিল ৬৫। ছিল দু’টি অর্ধশত রান।
২০০৯ সালেও তাঁকে ৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকায়ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় চেন্নাই ফ্র্যাঞ্চাইজি। ফাইনালে না উঠলেও প্লে-অফে উঠেছিল তারা। ওই মরসুমে ১৪টি ম্যাচের মধ্যে ১৩টি ইনিংসে ব্যাট করেছিলেন ধোনি। মোট রান করেছিলেন ৩৩২। গড় ৪১.৫০ এবং স্ট্রাইক রেট ১২৭.২০। তাঁর সর্বোচ্চ রান ছিল অপরাজিত ৫৮। ঝুলিতে দু’টি অর্ধশত রান।

২০১০ সালে আইপিএলে প্রথমে হোঁচট খেতে হয়েছিল চেন্নাইকে। টানা চারটে ম্যাচ হেরেছিল তারা। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থা থেকে প্রত্যাবর্তন করেছিল দল। সে বার প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয় চেন্নাই। ফাইনালে ধোনির দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে পরাজিত করে যার নেতৃত্বে ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। ওই মরসুমে ১১ ইনিংসে ব্যাট করে মোট ২৮৭ রান করেছিলেন ধোনি। গড় ৩১.৮৮ এবং স্ট্রাইক রেট ১৩৬.৬৬। তাঁর সর্বোচ্চ রান ছিল অপরাজিত ৬৬। ঝুলিতে দু’টি অর্ধশত রান।

পর পর দু’বার আইপিএল জিতেছে চেন্নাই। ২০১১ সালের ফাইনালে রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে নজির গড়েছিল চেন্নাই। ওই একই বছরে ধোনির নেতৃত্বে ভারত ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ জিতেছিল। তার পরেই শুরু হয় আইপিএল। সে বার ১৩টি ইনিংসে ব্যাট করে মোট ৩৯২ রান করেছিলেন ধোনি। গড় ৪৩.৫৫ এবং স্ট্রাইক রেট ১৫৮.৭০। তাঁর সর্বোচ্চ রান ছিল অপরাজিত ৭০। ঝুলিতে দু’টি অর্ধশত রান।

২০১২ সালে বদলে গেল পরিস্থিতি। ট্রফি জয়ের হ্যাটট্রিকের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। সে বার ফাইনালে চেন্নাইকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এক দিকে কলকাতার ভক্তরা যখন উচ্ছ্বসিত, তখন গোটা চেন্নাই শহর অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল। ফাইনালটি হয়েছিল চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে। ফাইনালে অধিনায়ক ধোনির ব্যাট থেকে এসেছিল ৯ বলে ১৪ রান। ছিলেন অপরাজিত। সুরেশ রায়না করেছিলেন ৩৮ ‌বলে ৭৩ রান। লক্ষ ছিল ১৯০ রা‌ন। কলকাতা ১৯২ রান করে প্রথমবারের মতো আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়। সে বার ১৭টি ইনিংসে ব্যাট করে মোট ৩৫৮ রান করেছিলেন ধোনি। গড় ২৯.৮৩ এবং স্ট্রাইক রেট ১২৮.৭৭। তাঁর সর্বোচ্চ রান ছিল অপরাজিত ৫১। ঝুলিতে ছিল একটি অর্ধশত রান।

২০১৩ সাল থেকে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে একটিও ফাইনাল জিততে পারেনি চেন্নাই। সে বার ১৬টি ইনিংসে ব্যাট করে মোট ৪৬১ রান করেছিলেন ধোনি। গড় ৪১.৯০ এবং স্ট্রাইক রেট ১৬২.৯০। তাঁর সর্বোচ্চ রান ছিল ৬৭। ঝুলিতে চারটি অর্ধশত রান।

২০১৪ সালে প্লে অফে উঠেছিল চেন্নাই। তবে ফাইনালে তাদের আর পৌঁছনো হয়নি। সে বার ১৬টি ম্যাচের মধ্যে ১৫টি ইনিংসে ব্যাট করে মোট ৩৭১ রান করেছিলেন ধোনি। গড় ৭৪.২০ এবং স্ট্রাইক রেট ১৪৮.৪০। তাঁর সর্বোচ্চ রান ছিল ৫৭। ঝুলিতে ছিল একটি অর্ধশত রান।

ঝড় উঠল ২০১৫ সালে। ম্যাচ গড়পেটা নিয়ে তোলপাড় তখন ভারতীয় ক্রিকেট। সেই তালিকা থেকে বাদ গেল না ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসও। সে বারও চেন্নাই ফাইনালে উঠলে জিততে পারেনি মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। সাময়িক থামতে হল তাদের। এর পর স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে থাকার অপরাধে দু’বছর নির্বাসিত হল চেন্নাই সুপার কিংস। এই ঘটনা নিয়ে ২০১৮ সালে ‘রোর অব দ্য লায়ন’ নামে একটি তথ্যচিত্র তৈরি হয়েছিল। সেই তথ্যচিত্রে অন্ধকার সময়ের শোনা গিয়েছিল ধোনির মুখেও।

সিএসকে-র দু’বছরের নির্বাসন নিয়ে ধোনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয় না, আমার জীবনে এর চেয়ে কঠিন সময় কিছু আসবে।’’ অভিযোগটা অবাক করেছিল ধোনিকে। মনে প্রশ্ন আসত, আমরা কী ভুল করেছি?’’ এই ঘটনায় ধোনির বিরুদ্ধেও না না অভিযোগ ওঠে। এই প্রসঙ্গে ধোনি বলেছিলেন, ‘‘আমি যদি কোনও ভাবে ম্যাচ গড়াপেটায় যুক্ত থাকতাম, তা হলে তার প্রভাবটা মারাত্মক হত।’’ সেবার ১৫টি ইনিংসে ব্যাট করে ধোনি মোট রান করেছিলেন ৩৭২। গড় ৩১.০০ এবং স্ট্রাইক রেট ১২১.৯৬। তাঁর সর্বোচ্চ রান ছিল ৫৩। ঝুলিতে একটি অর্ধশত রান।

২০১৬ এবং ২০১৭ আইপিএলে চেন্নাই এবং রাজস্থান রয়্যাল্স নির্বাসিত থাকায় খেলতে পারেনি। তাদের বদলে ছিল রাইজিং পুণে সুপারজায়েন্ট ও গুজরাত লায়ন্স। ওই দুই বছর রাইজিং পুণে সুপারজায়েন্টের হয়ে খেলেছিলেন ধোনি। তবে সেই সাফল্য আসেনি। প্রথমবার তাঁর নেতৃত্বে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় সপ্তম স্থানে ছিল পুণে। সে বার ১২টি ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল মোট ২৮৪ রান। গড় ৪০.৫৭ এবং স্ট্রাইক রেট ১৩৫.২৩। তাঁর সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৪। ঝুলিতে ছিল একটি অর্ধশত রান। পরের বছর অধিনায়কত্ব থেকেও সরে যেতে হয়েছিল তাঁকে। সে বার বেন স্টোক্সের নেতৃত্বে ফাইনালে উঠলেও জয় আসেনি পুণের ঘরে। ওই মরসুমে ১৫টি ইনিংসে ব্যাট করে ২৯০ রান করেছিলেন তিনি। গড় ২৬.৩৬ এবং স্ট্রাইক রেট ১১৬.০০। অর্ধশত রান একটি এবং সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬১।

২০১৮ সাল। অপেক্ষার অবসন। ঘরের ছেলেরা ঘরে ফিরল। সেবার নতুন করে দলকে সাজানো হয়েছিল। অধিনায়ক কিন্তু সেই ধোনি। দু’বছর পর প্রত্যাবর্তন এবং ছ’বছর পরে আবার চ্য়াম্পিয়ন। দলে তখন বেশির ভাগেরই বয়স তিরিশের ওপর। অনেকেই তাঁদের বলছিলেন ‘ড্যাডি-দের দল’। সেই মন্তব্যকে ভুল প্রমাণিত করেই বাজিমাত ফিরে আসা চেন্নাইয়ের। সে বার ধোনি ১৫টি ইনিংসে ব্যাট করে ৪৫৫ রান করেছিলেন। গড় ছিল ৭৫.৮৩ এবং স্ট্রাইক রেট ১৫০.৬৬। করেছিলেন তিনটি অর্ধশত রান। তাঁর সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭৯।
২০১৯ সালে আবারও ফাইনালে পৌঁছে মুম্বইয়ের কাছে হারতে হল। ওই মরসুমে ধোনি ১২টি ইনিংসে ব্যাট করে ৪১৬ রান করেছিলেন। গড় ছিল ৮৩.২০ এবং স্ট্রাইক রেট ১৩৪.৬২। করেছিলেন তিনটি অর্ধশত রান। তাঁর সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৮৪।

এর পর এল অতিমারি। এর ফলে ২০২০ সালের আইপিএল পিছিয়ে সেপ্টেম্বরে হল, দুবাইতে। সেখানে পৌঁছনোর পরই একের পর এক ধাক্কায় সাময়িকভাবে বেসামাল হয়ে পড়েছিল চেন্নাই শিবির। ব্যক্তিগত কারণে দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিজ্ঞ সুরেশ রায়না। তার পরই এক সঙ্গে ১৪জন সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। সে বার চেন্নাই আইপিএল শেষ করে সপ্তম স্থানে। সেবার ১২টি ইনিংসে ব্যাট করে ধোনি করেছিলেন ২০০ রান। গড় ২৫.০০ এবং স্ট্রাইক রেট ১১৬.২৭। ওই মরশুমে তাঁর সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪৭ রান।
আবার ২০২১ সালে চেনা ছন্দে ফিরে এলেন ধোনি সঙ্গে তাঁর দলও। সে বার নীচের দিকে ব্যাট করতে নামতেন তিনি। সেই অবস্থায় ১১টি ইনিংসে ব্যাট করে ধোনি রান করেছিলেন ১১৪। তাঁর সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৮। গড় ১৬.২৮ এবং স্ট্রাইক রেট ১০৬.৫৪।

২০২২-এর আইপিএল-এ অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই প্রথম অধিনায়ক বদল হল চেন্নাই দলের। দায়িত্ব ওঠে রবীন্দ্র জাডেজার কাঁধে কিন্তু নতুন দায়িত্ব বেশিদিন সামলাতে পারেননি তিনি। মাঝ পথে আবার ধোনি নেতৃত্বে ফিরে আসতে বাধ্য হন। সে বার আইপিএলে ১০টি দল ছিল। নবম স্থানে শেষ করে তারা। ধোনি ১৩টি ইনিংসে ২৩২ রান করেন। গড় ৩৩.১৪ এবং স্ট্রাইক রেট ১২৩.৪০। তাঁর সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৫০।

চেন্নাই আবার ঘুরে দাঁড়ায় ২০২৩-এ। ফাইনাল জেতার পরে সোজা জাদেজাকে কোলে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। আনন্দে আত্মহারা হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যিনি হারলেও কেঁদে ভাসান না। জিতলেও নিজেকে আবেগে আত্মহারা হয়ে পড়েন না। ধোনি ঠিক এতটাই শান্ত। তবে সে বার অন্য এক ধোনিকে দেখা গিয়েছিল। সেবার তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ১০৪ রান। গড় ২৬.০০ এবং স্ট্রাইক রেট ১৮২.৪৫। সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৩২।
আর হাতে বাকি মাত্র ক’টা দিন। ৪২ বছরের অধিনায়ককে আবার দেখা যাবে মাঠে। উইকেটের পিছনে আবারও তিনি ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন। তবে একটা প্রশ্ন বার বার ঘুরপাক খাচ্ছে ধোনির পর দলে কাকে ভাবা হচ্ছে অধিনায়ক হিসাবে? যদিও এই প্রশ্নের উত্তর ফ্লেমিং আগেই দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমরা ১০ বছর ধরে ধোনির উত্তরসূরির পরিকল্পনা করছি। এখন সত্যিই এটা নিয়ে আলোচনা করার সময় এসেছে। কিন্তু দল নিয়ে ধোনির উৎসাহ, আবেগ, সক্রিয়তা একই রয়ে গিয়েছে।’’ তাই হয়তো ধোনিতেই আস্থা রাখতে চায় দল।

এই ১৬ বছরে ভুল বোঝাবুঝি, মান অভিমান, হাসি-কান্না, দুঃখ আনন্দ সব অভিজ্ঞতাই আছে তাঁর ঝুলিতে। মাঠে খারাপ খেললে নিজের মেয়ে, পরিবারকে নিয়েও কম বাজে কথা সমাজমাধ্যমে শুনতে হয়নি তাঁকে। কম ঝড় ওঠেনি তাঁর জীবনে। তবু সে আজ সফল অধিনায়ক। নিজের পরিশ্রম, সারল্য দিয়েই জয় করেছেন ভক্তদের মন। তবুও একদিন সবাইকে থামতে হয়। ধোনিও ব্যতিক্রম নন। সেই সময় কি তাহলে এসেই গেল? এটাই কি শেষ মরসুম খেলোয়াড় ধোনির? প্রশ্নটা থাকছেই, যার উত্তর সময়ই দেবে।

খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com

অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments