অলস্পোর্ট ডেস্কঃ বুধবার শুরু হতে চলা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আসরে কিছুটা হলেও এগিয়ে ভারত। এই দুই দলের প্রাক্তন এবং এখনকার দলে থাকা ক্রিকেটারেরা নানা বিষয়ে কথা বলছেন। কেউ সম্ভাব্য একাদশ বেছে নিচ্ছেন। কেউ আবার বিচার করছেন কোন দল এগিয়ে রয়েছে। কোন ক্রিকেটার না থাকার জন্য ভারতের চাপ হতে পারে সেটা নিয়ে কথা বলেছেন রবি শাস্ত্রী। ডেভিড ওয়ার্নার মুখিয়ে রয়েছেন মাঠে নামার জন্য। বিরাট কোহলি মনে করেন এখন আর ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে আগের মতো অশান্তি হয় না। অস্ট্রেলিয়া বোর্ড আবার এর মাঝে বেছে নিয়েছে টেস্টের বিশ্ব একাদশ। সেখানে জায়গা হয়নি রোহিত শর্মা, বিরাটদের।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণকে এগিয়ে রাখলেন রবি শাস্ত্রী। তাঁর মতে যশপ্রীত বুমরা না থাকায় ভারতীয় দলের পেসাররা একটু পিছিয়ে থাকবেন প্যাট কামিন্সদের থেকে। এরপরে সবথেকে বড় প্রশ্ন ফাইনালে শ্রীকর ভরত খেলবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। ভারতীয় দলে ঈশান কিষাণও রয়েছেন। কোন উইকেটরক্ষককে নেওয়া হবে তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি ভারত। যদিও ভরত জানালেন তিনি তৈরি। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির থেকে শিক্ষা নিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন ভরত। তাই তাঁর আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গিয়েছে।
আবার শুভমান গিলের ওপর ভরসা রাখছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। বিরাট কোহলি বা রোহিত শর্মা নয়, ম্যাচের আগে দ্রাবিড়ের মুখে শুধু শুভমনেরই প্রশংসা শোনা গিয়েছে। ভারতীয় দলের কোচের মতে, আগামী দিনে ভারতের একজন নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার হয়ে উঠতে চলেছেন শুভমন। গ্রীষ্মের শুরুতে ম্যাচ তাই আবহাওয়া এবং পিচ নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। অশ্বিন এবং শার্দূলের মধ্যে কাকে নেওয়া হবে সেটাও তর্কের বিষয়।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এই ম্যাচ খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। তার আগে নিজেকে উজাড় করে দিতে চান তিনি। ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার জন্যও মুখিয়ে রয়েছেন ওয়ার্নার। ডিউক বলে ম্যাচ এবং ছন্দে থাকা দুই দলের খেলা হওয়া নিয়ে তিনি বেশ উত্তেজিত। এক সময় ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটীয় দ্বৈরথ এবং শত্রুতা নিয়ে প্রচুর চর্চা হত। সিরিজ় শুরুর আগে থেকেই তৈরি হত অশান্তির বাতাবরণ। কিন্তু বিদেশের মাটিতে ভারত দাপট দেখানোর পর থেকে তা অনেকটাই কমে গিয়েছে।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার