অলস্পোর্ট ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট যে পুরো পাঁচ দিন খেলা হবে না তার ইঙ্গিত প্রথম দিন থেকেই পাওয়া গিয়েছিল। যত দিন গড়িয়েছে তত সেই ইঙ্গিত নিশ্চতায় পৌঁছেছে। আর চতুর্থ দিনের শুরুতেই খেলা শেষ করে একদিন বাড়তি বিশ্রামের ব্যবস্থা করে নিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। এই বাংলাদেশই কিছুদিন আগে পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করে এসেছিল। তাই তাদের নিয়ে রীতিমতো চিন্তা-ভাবনা করতে হয়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। কিন্তুপ্রথম ইনিংস থেকেই ভারতের ব্যাটার, বোলাররা বিষয়টি সহজ করে দেন। এবং বাংলাদেশকে প্রথম টেস্টে ২৮০ রানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল।
তৃতীয় দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮৭-৪-এ ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। ততক্ষণে ভারতের হয়ে জোড়া সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন ঋষভ পন্থ ও শুভমান গিল। তৃতীয় দিনের শেষ ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ থামে ১৫৮-৪-এ। সেই সময় ক্রিজে ছিলেন অধিনায়ক লাজমূল হোসেন শান্ত। তিনি তখন ৫১ রানে ব্যাট করছিলেন। সঙ্গে ছিলেন ৫ রানে শাকিব আল হাসান। শাকিব ৫ থেকে ২৫-এ পৌঁছন কিন্তু শান্ত শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেন। তবে ৮২ রানে তাঁকে ফেরান জাডেজা।
এছাড়া আর কেউই রান করতে পারেননি ভারতীয় বোলারদের দাপটে। লিটন দাস ১, মেহেদি হাসান ৮, তাসকিন আহমেদ ৫ ও হাসান মাহমুদ ৭ রানে আউট হন। তৃতীয় দিন খারাপ আলোর জন্য সময়ের আগেই খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২৩৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ভারতের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ২১ ওভার বল করে মাত্র ৮৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিন উইকেট নেন রবীন্দ্র জাডেজা। এক উইকেট নেন যশপ্রীত বুমরাহ।
ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারত থামে ৩৭৬ রানে। অশ্বিন ১১৩ ও জাডেজা ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের হাসান মাহমুদ পাঁচ উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে শেষ হয়ে যায়। ভারতের হয়ে চার উইকেট নেন যশপ্রীত বুমরাহ। এর পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত ২৮৭-৪-এ ইনিংস ঘোষণা করে দেয়। ভারতের হয়ে শুভমান গিল অপরাজিত ১১৯ ও ঋষভ পন্থ ১০৯ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে দুই উইকেট নেন মেহেদি হাসান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ২৩৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। ৮২ রান করেন নাজমূল হোসেন শান্ত। ভারতের হয়ে ছয় উইকেট নেন অশ্বিন। ম্যাচের সেরা অশ্বিন।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার