অলস্পোর্ট ডেস্ক: আড়াই দিনে টেস্ট জয় ভারতের। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিতেই শুরু করেছিল ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে নিল ৭ উইকেটে। যদিও পাঁচদিন তো নয়ই মাত্র আড়াই দিনই হল এই ম্যাচ। কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়াম খেলা শুরুর আগে থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। খেলা শুরুর পর সেই আলোচনা তুঙ্গে পৌঁছয়, স্টেডিয়ামের জল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে। ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই আবহাওয়া খারাপ ছিল। ছিল বৃষ্টির পূর্বাভাসও। যার ফল প্রথম দিনের খেলা শুরু হয় দেড়িতে।
ভারত টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে প্রথম দিনের খেলা ৩৫ ওভারের বেশি করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ ১০৭-৩-এ প্রথম দিনের খেলা শেষ করে। এর পরের দু’দিন আর খেলা শুরু করাই যায়নি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের খেলা একটিও বাতিল হয়ে যায় একটিও বল না খেলেই। কারণ ভিজে আউটফিল্ড। শেষ পর্যন্ত চতুর্থ দিন খেলা শুরু করা সম্ভব হয়। ১০৭-৩ নিয়ে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ২৩৩ রানে অল আউট হয়ে যায়। এর পর একইদিনে ব্যাট করতে নেমে ২৮৫-৯-এ ইনিংস ঘোষণা করে দেয় ভারত। মাত্র ৫২ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করা দিতে সাহস লাগে। যে সাহজ দেখান রোহিত শর্মা।
চতুর্থ দিনই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পড়ে বাংলাদেশ। ওপেনার শাদমান ইসলামের ৫০ রান ছাড়া আর কেউ বড় রান করতে পারেননি। ছয় নম্বরে নেমে মুশফিকুর রহিম ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া আর কেউ ২০ রানের গণ্ডি পার করতে পারেননি। সাত জন ব্যাটার এক অঙ্কের রানেই আটকে যান। মাত্র ৪৭ ওভার খেলে ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
এর পর দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের হয়ে একাই কাজ করে দেন যশস্বী জয়সওয়াল। প্রথম ইনিংসে ৭২ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রান করেন তিনি। রোহিত শর্মা ৮, শুভমান গিল ৬ রান করে আউট হন। বিরাট কোহলি ২৯ ও ঋষভ পন্থ ৪ রানে আউট হন। ১৭.২ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান তুলে নেয় ভারত।
প্রথম ইনিংসে ভারতের হয়ে তিন উইকেট নেন যশপ্রীত বুমরাহ। দু’টি করে উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও আকাশদীপ সিং। এক উইকেট নেন রবীন্দ্র জাডেজা। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন যশপ্রীত বুমরাহ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাডেজা। এক উইকেট নেন আকাশদীপ। ম্যাচের সেরা হয়েছে যশস্বী জয়সওয়াল। সিরিজের সেরা রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার