অলস্পোর্ট ডেস্ক: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত বিরাট কোহলির প্রত্যাবর্তন হল। যদিও তাঁর ব্যাট থেকে রান এল না। এক কথায় ফর্মে ফেরা হল না বিরাটের। তবে প্রত্যাবর্তনের দিনই ব্যাটে রান এল অধিনায়ক রোহিল শর্মার। শুধু রান এল না এক্কেবারে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই ঘুরে দাঁড়ালেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় শিবিরের জন্য। রবিবার কটকে সিরিজর দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল দুই দল। সেখানে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে ভারতের সামনে ৩০৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখে ইংল্যান্ড। যে লক্ষ্যে ৩৩ বল বাক থাকতেই পৌঁছে যায় ভারত এবং সিরিজ নিশ্চিত করে। এই নিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টানা ১০টি সিরিজ ঘরের মাঠে জিতে নিল ভারত।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভিতটা তৈরি করে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও বেন ডাকেট। ওপেনিং জুটিতে উঠে ৮ রান। সল্ট ২৬ রানে ফিরে গেলেও ডাকেটের ব্যাট থেকে আসে ৬৫ রান।এর পর সেই রানের ধারা ধরে রাখেন জো রুট। তাঁর ব্যাট থেকেই আসেই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৬৯ রান। এছাড়া হ্যারি ব্রুক ৩১, জোস বাটলার ৩৪, লিয়াম লিভিংস্টোন ৪১, জ্যামি ওভারটন ৬, গাস অ্যাটকিনসন ৩ আদিল রশিদ ১৪ ও মার্ক উড কোনও। রান না করে ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। ৪৯.৫ ওভারে ৩০৪ রানে থামে ইংল্যান্ড।
এদিন ভারতের হয়ে ওডিআই ক্রিকেটে অভিষেকে এক উিককেট তুলে নেন বরুণ চক্রবর্থী। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন মহম্মদ শামি, হর্ষিত রানা ও হার্দিক পাণ্ড্যে। ভারতের হয়ে বল হাতে এদিন সফল ররবীন্দ্র জাডেজা। তাঁর ঝুলিতে আসে তিন উইকেট। এর পর ছিল ব্যাটারদের পালা। যে রাস্তা শুরুতেই তৈরি করে দিয়েছিলেন দলের দুই ওপেনার। ভারতের ওপেনিং জুটিতে এল ১৩৬ রান।
এদিন রোহিতের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন শুভমান গিল। কোহলিকে দলে জায়গা করে দিতে এদিন বাইরে বসতে হয়েছে যশস্বী জয়সওয়ালকে। যে কারণে তিন নম্বর থেকে উঠে এসেছেন শুভমান। প্রথম ম্যাচের পর এদিনও তাঁর ব্যাট থেকে এল হাফ সেঞ্চুরি। ৫২ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। বিরাট তিন নম্বরে নেমে ৫ রান করে ফিরে গেলেন প্যাভেলিয়নে। চার নম্বরে নেমে ভারতের রানক লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন শ্রেয়াস আইয়ার। উল্টোদিকে সেঞ্চুরিয়ন রোহিত তো ছিলেনই। সঙ্গে গত ম্যাচে প্রত্যাবর্তনে দুরন্ত ব্যাট করে ভারতকে খেলায় ফিরিয়েছিলেন শ্রেয়াস। তাই বিরাটের জায়গায় প্রথম ম্যাচে খেলার সুযোগ পেলেও, বিরাট দলে ফিরলে তাঁকে বাদ দেওয়া যায়নি।
৪৭ বলে ৪৪ রান করে ফিরলেন শ্রেয়াস অক্ষরের সঙ্গে রানিং বিটউইন দ্য উইকেটে ভুল বোঝাবুঝির জন্য। আউট হওয়ার পর রীতিমতো হতাশ দেখাচ্ছিল তাঁকে। এভাবে আউট না হলে পর পর দুই ম্যাচে নিশ্চিত হাফ সেঞ্চুরিটা করে ফেলতেন যেভাবে তিনি ব্যাট করছিলেন তাতে। তার আগে সেঞ্চুরি করে ফিরেছেন রোহিত। এদিন শেষ পর্যন্ত রোহিত শর্মা যখন ফিরলেন তখন তাঁর নামের পাশে ৯০ বলে ১১৯ রান লেখা হয়ে গিয়েছে। তাঁর এই ইনিংস সাজানো ছিল ১২টি বাউন্ডারিও সাতটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। এছাড়া কেএল রাহুল ১০, হার্দিক পাণ্ড্যে ১০ রান করে আউট হন।
বাকি কাজটটি করে দেন অক্ষর প্যাটেল ও রবীন্দ্র জাডেজা। ৪১ রানে অক্ষর ও ১১ রানে জাডেজা অপরাজিত থাকলেন এবং ম্যাচ শেষ করলেন। ৪৪.৩ ওভারে। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভারতকে ার উইকেটে জয় এনে দিলেন জাডেজা। ৩০৫-এর লক্ষ্যে ভারত থামল ৩০৮-৬-এ। ম্যাচের সেরা রোহিত শর্মা। ইংল্যান্ডের হয়ে দুই উইকেট নেন জ্যামি ওভারটন। একটি করে উইকেট নেন গাস অ্যাটকিনসন, আদিল রশিদ ও লিয়াম লিভিংস্টোন। এই জয়ের সঙ্গেই। ২-০-তে এগিয়ে গিয়ে তিনি ম্যাচের সিরিজ পকেটে পুড়ল ভারত।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার