অলস্পোর্ট ডেস্ক: এই ম্যাচ দুই দলের জন্যই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ভারত চার ম্যাচের টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচ ভারতজিতে নিলেও দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। যে কারণে তৃতীয় ম্যাচ এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। কারণ দুই দলই চাইছিল এই ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে যেতে। যা শেষ ম্যাচে অনেকটা আত্মবিশ্বাস দেবে। যে কারণে প্রথম থেকেই সেঞ্চুরিয়নে ছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তার মধ্যেই সাময়িক বাধ সাধল ‘ফ্লাইং অ্যান্ট’। তবে সেই বিরতি খুব একটা দীর্ঘায়িত হয়নি। এদিন টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন অধিনায়ক আইদেন মারক্রাম। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ২১৯-৬-এ থামে ভারত। লক্ষ্যে নেমে দুরন্ত লড়াই দেয় আয়োজক দেশ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ১১ রানে জিতে সিররিজে ২-১-এ এগিয়ে গেল ভারত।
দ্বিতীয় ম্যাচ বাদ দিলে বাকি দুই ম্যাচে দুটো সেঞ্চুরি এসেছে ভারতের ঝুলিতে। এদিন তো একটি হাফ সেঞ্চুরিও এল। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ওপেনার সঞ্জু স্যামসন এদিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি। কিন্তু আর এক ওপেনার অভিষেক শর্মা শেষপর্যন্ত রান পেলেন। তাঁর ব্যাট থেকে এল ২৪৫ বলে তিনটি বাউন্ডারি ও পাঁচটি ওভার বাউন্ডারিসহ ৫০ রান। তিন নম্বরে নেমে কাজের কাজটি করে গেলেন তিলক ভর্মা। আন্তর্জাতিক টি২০-তে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরিটি লিখে ফেললেত তাঁর পরিসংখ্যানের খাতায়।৫৬ বলে আটি বাউন্ডারি ও সাতটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১০৭ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি।
বাকিদের মধ্যে সূর্যকুমার যাদব ১, হার্দিক পাণ্ড্যে ১৮, রিঙ্কু সিং ৮, এদিন অভিষেক হওয়া রমনদপ সিং ১৫ রন করে আউট হলেন। ১ রানে অপরাজিত থাকলেন অক্ষর প্যাটেল।শূন্য রানে ১ উইকেট থেকে ভারতের রানকে ১০৭-এ পৌঁছে দিয়েছিল অভিষেক-তিলক জুটি। এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুটো করে উইকেট নিলেন আন্দিল সিমেলানে ও কেশব মহারাজ। এক উইকেট মাকো জানসেনের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুা ভালই করে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার রিয়ান রিকলটন ও রেজা হেনরিকস। এদিন দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিংয়ের শুরুতেই পোকার দাপটে সাময়িক খেলা বন্ধ হয়ে যায়. প্রথম ওভারটাই হয়েছিল কোনওরকমে। কিন্তু দ্বিতীয় ওভার শুরুর আগেই আম্পায়ার খেলা বন্ধ করে দেন। মাঠ থেকে সেই পোকার দাপট কমলে আবার খেলা শুরু হয়। ২০ রানে রিয়ান ও ২১ রানে রেজা ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। এর পর মারক্রাম ২৯, ত্রিস্তান সস্তাবস ১২, ডেভিড মিলার ১৮ এনরিচ ক্লাসেন ৪১, মার্কো জানসেন ৫৪ রানে আউট হন।
ক্লাসেনের পর শেষ মুহূর্তে নেমে বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন মার্কো জানসেন। ১৬ বলে করে ফেলেন হাফসেঞ্চুরি। একটি করে উইকেট নেন হার্দিক পাণ্ড্যে ও অক্ষর প্যাটেল। তিন উইকেট নেন অর্শদীপ। দুই উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্থী। এদিন বরুণকে পর পর তিন বলে তিনটি ছক্কা হাঁকান এনরিচ ক্লাসেন। সেই ওভারেই ক্লাসেনের নিশ্চিত ক্যাচ ফেলেন স্বয়ং সূর্যকুমার। তার আগেই নিশ্চিত ক্যাচ ফেলেছিলেন অক্ষর প্যাটেলও। কিন্তু শুধরে নিলেন অসাধারণ একটি ক্যাচ নিয়েই। হার্দিকের বলে ডেভিড মিলারের ক্যাচ বাউন্ডারিতে দাঁড়িয়ে যেভাবে হাওয়ায় লাফিয়ে ধরলেন তা না হলে নিশ্চিত ওভারবাউন্ডারি ছিল সেই শট।
একটা সময় দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে টার্গেট এসে দাঁড়ায় ৪ বলে ১৮। যা কঠিন ছিল না বিধ্বংসী হয়ে ওঠা দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। ঠিক তখনই মার্কো জানসেনকে রেফারেল নিয়ে ফেরান অর্শদীপ। যা আয়োজক দেশের জন্য ছিল বড় ধাক্কা। শেষ বলে দরকার ছিল ১৩ রান। যা প্রায় অসম্ভব ছিল। পারেওনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০ ওভারে ২০৮-৭-এ থামে দক্ষিণ আফ্রিকা। জেরাল্ড কোয়েতজে ২ ও আন্দিল সিমেলানে ৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার