অলস্পোর্ট ডেস্ক: বৃষ্টির ভ্রুকূটি থাকলেও টি২০ বিশ্বকাপ ২০২৪-এর ফাইনালের উপর সদয় ছিল প্রকৃতি। এদিন একবারও ম্যাচের বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি বৃষ্টি। যে কারণে নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়ে নির্ধারিত সময়েই শেষ হল ফাইনাল ম্যাচ। যদিও ফইনালের জন্য একটি রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছিল। তবে তার আর দরকার হল না। শনিবার ব্রিজটাউনে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। পুরো টুর্নামেন্টে ফ্লপ শো-র পর শেষ দিন ফর্মে ফিরলেন দলের ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসা বিরাট কোহলি। এদিন ব্যর্থ রোহিত শর্মা। প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৭৬ রান করে ভারত। যা এই পিচে তাড়া করার জন্য ভাল চ্যালেঞ্জ। যে চ্যালেঞ্জ ছাঁপিয়ে যেতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১ বছর পর আবার আইসিসি ট্রফি এল ভারতের ঘরে।
এদিন পুরো টুর্নামেন্টের মতই ওপেন করতে নেমেছিলেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। পর পর ম্যাচে দলকে ব্যাট হাতে ভরসা দেওয়ার পর এদিন হতাশ করলেন অধিনায়ক রোহিত। মাত্র ৯ রানন করে আউট হয়ে যান তিনি। তিন নম্বরে নেমে সেমিফাইনালের মতই ব্যর্থ ঋষভ পন্থ। রানের খাতাই খুলতে পারলেন না তিনি। ব্যর্থ সূর্যকুমার যাদবও। মাত্র ৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। এর পর বিরাটের সঙ্গে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন অক্ষর প্যাটেল। ৩৪-৩ থেকে ভারতকে ১০৬ রানে নিয়ে যায় এই জুটি।
৩১ বলে চারটি ওভার বাউন্ডারি ও একটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন অক্ষর। তিনি আউট হতে বিরাটকে সাপোর্ট করতে নামেন শিভম দুবে। দ্রুত ২৭ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। ৫৯ বলে ছ’টি বাউন্ডারি দু’টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন বিরাট কোহলি। রবীন্দ্র জাডেজা ফেরেন ২ রানে। টি২০ ০ বিশ্বকাপের পুরোটাই অফফর্মে গেল জাডেজার। ৫ রানে অপরাজিত থাকেন হার্দিক পাণ্ড্যে। ফাইনালের দলে কম করে একটি পরিবর্তনের আশা করা হয়েছিল কিন্তু ভারতীয় টিম ম্যানেজমন্ট এই দলের উপরই ভরসা রেখেছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুটো করে উইকেট নেন কেশব মহারাজ ও এনরিচ নরতজে। একটি করে উইকেট নেন মার্কো জানসেন ও কাগিসো রাবাদা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব ভাল না হলেও পরের দিকে খেলা ধরার চেষ্টা করেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। ওপেনার রেজা হেনরিকস ফেরেন ৪ রানে। তিন নম্বরে নেমে ৪ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক আইদেন মারক্রাম। এর পর ওপেনার কুইন্টন ডে ককের সঙ্গে লড়াই শুরু করেন ত্রিস্তান স্টাবস। ডে কক ৩৯ ও স্টাবস ৩১ রানে আউট হন।
দ্রুত উইকেট তুলে নিলেও শেষ পর্যন্ত চাপে থাকতে হল ভারতকে। রান রেট ধরে রেখে লড়াই দিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশেষ করে এক ওভারে অক্ষরের ২৪ রান দক্ষিণ আফ্রিকার কাজটা সহজ করে দিয়েছিল। এর মধ্যেই হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান হেনরিচ ক্লাসেন। ২৭ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। মার্কো জানসেন ফেরেন ২ রানে। লড়াই দেন ডেভিড মিলার। ভারতের হয়ে জোড়া উইকেট নেন অর্শদীপ সিং যশপ্রীত বুমরাহ, হার্দিক পাণ্ড্যে। একটি করে উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল।
শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার জিততে হলে দরকার ছিল ১৬ রান। শেষ ওভারে বল করতে এসেছিলেন হার্দিক পাণ্ড্যে। প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন তিনি। যদিও তার পুরো কৃতিত্বটাই সূর্যকুমার যাদবের দুরন্ত ক্যচের। মাঠের মধ্যে ক্যাচ ধরলেও শরীরের ভারসাম্য রাখতে পারেননি তিনি। বাউন্ডারির বাইরে চলে যান যদিও তার আগে বলটি ছুঁড়ে দিয়েছিলেন হাওয়ায়। ফিরে এসে সেই বলই আবার মুঠোবন্দি করেন তিনি। ডেভিড মিলার ফেরেন ২১ রানে। এক বল বাকি থাকতে ফেরেন কাগিসো রাবাদা। আবারও সেই হার্দিক-সূর্য কুমার জুটি। শেষ বলে ভারতের দরকার ছিল ৯ রান। যা কোওভাবেই সম্ভব ছিল না। ১৬৯-৮-এ থামে দক্ষিণ আফ্রিকা।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার