অলস্পোর্ট ডেস্ক: জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি২০ জিতে সিরিজে এগিয়ে যাওয়াই ছিল লক্ষ্য শুভমান গিলের ভারতীয় দলের। সেই লক্ষ্যে জোড়া পরিবর্তন এনেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। সদ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে টি২০ বিশ্বকাপ দলের সদস্য থাকলেও যাঁরা দলে সুযোগই পাননি এমন দু্’জনকে এদিন দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। যশস্বী জয়সওয়াল ও সঞ্জু স্যামসনকে রেখেই দল সাজিয়েছিল ভারত। দলে জায়গা পেলেন শিবম দুবেও। এই তিনজন প্রথম দুই ম্যাচে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি কারণ বিশ্বকাপ খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে দেশে সঠিক সময়ে দল ফিরতে না পারায়। দলে জায়গা করে নিলেন খলিল আহমেদও। তিনিও ছিলেন বিশ্বকাপের রিজার্ভ দলে। এই চারজনকে জায়গা করে দিতে প্রথম দুই ম্যাচের দল থেকে বাদ দেওয়া হল রিয়ান পরাগ, ধ্রুব জুড়েল, মুকেশ কুমার ও সাই সুদর্ষণকে।
সিরিজের প্রথম টি২০-তে হারের পর দ্বিতীয় টি২০ দারুণভাবে জিতে নিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। যাঁরা এই ভারতীয় ক্রিকেটের বর্তমান প্রজন্ম, তাঁদেরকে নিয়েই তৈরি হয়েছে এই সফরের দল। তৃতীয় টি২০তে তাঁরা সেই জয় ধরে রাখতে চাইবে। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শুভমান গিল। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তোলে ভারত। জয়ূর লক্ষ্যে নেমে ২৩ রান আগেই থামতে হয় আয়োজক দেশকে।
আইপিএল-এর পর আবার পেশাদার ক্রিকেটে খেলতে দেখা গেল যশস্বীকে। এদিন শুভমানের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন তিনি। ওপেনিং জুটিতে ৬৭ রান তুলে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে আউট হলেন যশস্বী। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে এদিন মাত্র ১০ রান কের ফিরে গেলেন গত ম্যাচের সেঞ্চুরি ম্যান অভিষেক শর্মা। এর পর শুভমানের সঙ্গে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের হাল ধরলেন রুতুরাজ গায়কোয়ার। শুভমান যখন প্যাভেলিয়নে ফিরলেন ততক্ষণে ১৫০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে ভারত।
৪৯ বলে সাতটি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৬৬ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। প্রথম ম্যাচে রান পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে রান পাননি তিনি। তবে এক ম্যাচ পরই ঘুরে দাঁড়ালেন ব্যাট হাতে। যদিও অধিনায়ক হিসেবে ইতিমধ্যেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন শুভমান। সে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি দলই হোক বা ভারতীয় দল। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত রুতুরাজের। ২৮ বলে চারটি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৪৯ রান করলেন। অল্পের জন্য হাতছাড়া করলেন হাফসেঞ্চুরি। সঞ্জু স্যামসন ১২ ও রিঙ্কু সিং ১ রানে অপরাজিত থাকলেন। ২০ ওভারে ভারত থামল ১৮২-৪-এ।
জিম্বাবোয়ের হয়ে দুটো করে উইকেট নিলেন ব্লেসিং মুজারাবানি ও সিকান্দর রাজা। ১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় জিম্বাবোয়ে। প্রথম তিন উইকেট চলে যায় মাত্র ১৯ রানে। এখান থেকেই খেলার হাল ধরেন ডিয়ন মেয়ার্স। শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান তিনি। তবে যোগ্য সঙ্গের অভাবে জয়ের কাছে নিয়ে যেতে পারেনি দলকে। ৪৯ বলে ৬৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। সাত নম্বরে নামা ক্লাইভ মাদান্দে ৩৭ রান করে আউট হন। ২০ ওভারে ১৫৯-৬-এ শেষ হয় জিম্বাবোয়ের ইনিংস। ভারতের হয়ে তিন উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর, দুই উইকেট নেন আভেশ খান ও এক উইকেট খলিল আহমেদের। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে ২-১-এ এগিয়ে থাকল ভারত।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার