অলস্পোর্ট ডেস্ক: এশিয়া কাপ ২০২৩-এর অসাধারণ ফাইনাল ম্যাচের পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের রমরমা এখন চারিদিকে। যেভাবে তাঁরা মাত্র ১৫.২ ওভারে শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করে বাড়ি ফিরিয়ে দিল, তা দেখার মতোন ছিল। কলম্বোতে লঙ্কার বিপক্ষে ভারতের এই জয় দলকে অনেকটা আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে আগামীদিনে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপে আরও ভাল পারফর্ম করার।
যেদিন ভারত শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এশিয়া কাপ জিতে নিল, সেই একই দিনে পাকিস্তান দল বিশ্ব ওডিআই র্যাঙ্কিং-এ শীর্ষস্থান গ্রহণ করেছিল। সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকাও অস্ট্রেলিয়াকে পঞ্চম ওডিআইতে হারায়। যদিও পাকিস্তানের শীর্ষ র্যাঙ্কিংয়ে থাকা স্বল্পস্থায়ী হতে পারে, বরং, ভারত তাদের সেই স্থান দখল করে নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ভারতের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শুরু হতে যাওয়া ওডিআই সিরিজ।
আগামী শুক্রবার থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ভারত। তাঁর আগে ইংল্যান্ড আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে। যদিও, সেই সব ম্যাচগুলির ফলাফল ভারতের র্যাঙ্কিংকে প্রভাবিত করবে না। ভারত যদি প্রথম ওয়ানডে-তে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারে, তাহলেই তাঁরা শীর্ষ র্যাঙ্কিংয়ে পৌঁছে যাবে। ভারত ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও তাঁরা ১ নম্বরেই থাকবে।
এদিকে ভারতের ‘ম্যান অফ দ্য মোমেন্ট’, মহম্মদ সিরাজের এশিয়া কাপ ফাইনালের ম্যাজিকাল (৬/২১) স্পেল নিয়ে চর্চার শেষ নেই। এদিন সিরাজ বিসিসিআই ডট টিভির একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে আউট-সুইং ডেলিভারি করার জন্য অনেক অনুশীলন করেছি। আমার আউট সুইংগুলি ভালই হচ্ছিল, তাই আমি ক্রিজে ইনসুইং দেওয়ারও চেষ্টা করি। আমি যা পরিকল্পনা করেছিলাম, তা একেবারে নিখুঁত হয়েছে। এটি আমার করা সেরা স্পেল।’’
তিনি বলেন, ‘‘এটা আমার জন্য একটা বড় প্রাপ্তি, বিশেষ করে যেহেতু এটা ফাইনাল ম্যাচ ছিল। আমার এই কৃতিত্ব আমাকে ওডিআই বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাস জোগাতে অনেক সাহায্য করবে।’’
‘‘সত্যি বলতে এটি একটি ম্যাজিকাল স্পেল ছিল, আমি স্বপ্নেও ভাবিনি এটা। আমার প্রথম উইকেটে, যে মুহূর্তে আমি দেখলাম আমি বল সুইং করতে পেরেছি, আমি বুঝতে পেরে গিয়েছিলাম যে আমার উইকেটে হিট করার দরকার নেই। আমি শুধু একটা নির্দিষ্ট জায়গায় বল ফেলে গিয়েছি এবং বাকিটা বল কথা বলেছে,’’ তিনি যোগ করেন।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার