অলস্পোর্ট ডেস্ক: রবিবারটা ভাল গেল না ভারতের কোনও ক্রিকেট দলেরই। বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের বড়দের হারের পর অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ফাইনালেও হেরে গেল ভারতের ছোটরা। যদিও পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ পারফর্মেন্স করেই ফাইনালে পৌঁছেছিল ভারতের ছেলেরা। ফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। শেষে এসে আটকে গেল ভারত। এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। প্রথমে ব্যাট করে পাঁচ বল বাকি থাকতে ১৯৮ রান করে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রান করে অলআউট হয়ে যায় ভারত। ৫৯ রানে হেরে রানার্স হয়েই থাকতে হল ছোটদের ভারতকে।
রবিবার দুবাইয়ে এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম তিন ব্যাটার জাওয়াদ আবরার ২০, কালাম সিদ্দিকি ১ ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিম ১৬ রা করে আউট হয়ে যান। এর পর চার ও পাঁচ নম্বরে নেমে রানের গতি বাড়ান মহম্মদ শিহাব ও রিজান হোসেন। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৪০ ও ৪৭ রান। এর পর দেবাশিস দেবা ১, ফরিদ হাসান ৩০, সামিযুন বসির ৪, আল ফাহাদ ১, ইকবাল হোসেন ১ রান করে আউট হন। ১১ রানে অপরাজিত থাকেন মারুফ মৃধা।
ভারতের হয়ে দুটো করে উইকেট নেন যুধাজিৎ গুহ, চেতন শর্মা ও হার্দিক রাজ। একটি করে উইকেট নেন কিরণ চোরমালে, কেপি কার্তিকেয় ও আয়ুশ মাত্র। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি ভারতের। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কোনও ব্যাটারই লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য বড় রান করতে পারেননি। ১৯৯ রানের লক্ষ্যে ভারতের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান মাত্র ২৬। যা দিয়ে একদিনের ক্রিককেটে ২০০ রান কাছে পৌঁছনো অসম্ভব। পারেওনি ভারতের ছোটরা।
এদিন ভারতের হয়ে ওপেন করতে নেমে দুই ওপেনার আয়ুশ মাত্রে ১ ও বৈভব সূর্যবংশী ৯ রান করে আউট হয়ে যান। এর পর আন্দ্রে সিদ্ধার্থ ২০, কেপি কার্থিকেয় ২১, অধিনায়ক মহম্মদ আমান ২৭, নিখিল কুমার ০, হরবংশ পাঙ্গালিয়া ৬, কিরণ চরমালে ১, হার্দিক রাজ ২৪, চেতন শর্মা ১০ রান করে আউট হন। ৫ রানে অপরাজিত থাকেন যুধাজিৎ গুহ। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন ইকবাল হোসেন ও আজিজুল হাকিম। দুই উইকেট আল ফাহাদের। একটি করে উইকেট মারুফ মৃধা ও রিজান হোসেনের। ম্যাচ ও টুর্নামেন্টের সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের ইকবাল হোসেন ইমন।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার