অলস্পোর্ট ডেস্ক: ইডেন গার্ডেনের পর লক্ষ্য ছিল চেন্নাইয়েই ব্যবধান আরও বাড়িয়ে রাখা। সেই লক্ষ্যেই এদিন দল সাজিয়েছিল সূর্যকুমারের ভারত। যদিও চোটের জন্য বাধ্য হয়েই বাইরে রাখতে হয়েছিল নীতীশ কুমার রেড্ডি ও রিঙ্কু সিংকে। এদিন তাঁদের জায়গায় দলে আসেন ধ্রুব জুড়েল ও ওয়াশিংটন সুন্দর। নীতীশ পুরো সিরিজের জন্যই ছিটকে গিয়েছেন। রিঙ্কু আপাতত দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে খেলতে পারছেন না। তবে কলকাতায় সিরিজের প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচ যে সহজ হবে না তা শুরু থেকেই বোঝা গিয়েছিল। শনিবারও টস জিতে প্রথমে ইংল্যান্ডকেই ব্যাট। করতে পাঠিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। প্রথমে ব্যাট করে ভারতের সামনে ১৬৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল ইংল্যান্ড। টান টান উত্তেজনার শেষ কয়েক ওভারে ভারতকে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে দিলেন একাই তিলক ভর্মা। ২ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল ভারত।
পাঁচ ম্যাচের টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ইংল্যান্ডের রানকে ভরসা দিল অধিনায়ক জোস বাটলারের ব্যাট। যদিও সেদিনের ৬৮ রানের কাছে এদিনের ৪৫ কিছুটা পিছিয়েই।তবে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান এটিই। এদিনও প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নেন অর্শদীপ সিং। এটা যেন ক্রমশ অভ্যেসে পরিণত করেছেন তিনি। তবে এদিন আর উইকেটের সংখ্যা বাড়াতে পারেননি তিনি। ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিল সল্ ট৪ ও বেন ডাকেট ৩ রান করে আউট হয়ে যান। তিন নম্বরে নেমে আগের দিনের মতোই দলের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন অধিনায়ক।
বাটলারের ৪৫ ছাড়া হ্যারি ব্রুক ১৩, লিয়াম লিভিংস্টোন ১৩, জেমি স্মিথ ২২, জেমি ওভারটন ৫, ব্রাইডন কার্স ৩১, আদিল রশিদ ১০ রান কে আউট হন। ১২ রানে জোফরা আর্চার ও ৫ রানে মার্ক উড অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভারে ইংল্যান্ড থামে ১৬৫-৯-এ। গত ম্যাচের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। ভারতে হয়ে এদিন দুটো করে উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল ও বরুণ চক্রবর্থী। একটি করে উইকেট নেন অর্শদীপ সিং, হার্দিক পাণ্ড্যে, ওয়াশিংটন সুন্দর, ও অভিষেক শর্মা।
১৬৬ রানের লক্ষ্যে শুরুতে ধাক্কা খায় ভারত। যে অভিষেক শর্মা প্রথম ম্যাচে জয়ের রাস্তা প্রসস্ত করে দিয়েছিলেন এদিন তিনি বিশেষ কিছু করতে পারেনি ব্যাট হাতে। বল হাতে এক উইকেট পেলেও এদিন ব্যাটে তাঁর আসে মাত্র ১২ রান। প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ আর এক ওপেনার সঞ্জু স্যামসন। করেন মাত্র ৫ রান। এর পর অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়ে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের হাল ধরার চেষ্টা করেন তিলক ভর্মা। প্রথম ম্যাচেও তাঁর যথেষ্ট অবদান ছিল ভারতের জয়ের রানে। যদিও সূর্যকুমার সেই সাহায্য করতে পারলেন না। প্রথম ম্যাচের রানেরর কাতাই খুলতে পারননি, দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁর সংযোজন মাত্র ১২ রান।
এর পর ধ্রুব জুড়েল ৪, হার্দিক পাণ্ড্যে ৭ রান করে ফিরে যান। একাই লড়াই চালিয়ে যান তিলক ভর্মা। সাত নম্বরে নেমে কিছুটা ভরসা দেন ওয়াশিংটন সুন্দর। কিন্তু ২৬ রান করে ফিরে যান তিনি। তখনও ভারতের ৩৮ বলে ৫০ রান দরকার জিততে হলে। ছয় উইকেট চলে যাওয়ায় লক্ষ্যটা অনেকটাই কঠিন হয়ে যায় ভারতের জন্য। ২ রানে ফিরে যযান অক্ষর প্যাটেল। এর মধ্যেই ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৯ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরিটি করে ফেলেন তিলক ভর্মা। পর পর ছক্কা হাঁকিয়ে এক ওভারে ১৯ রান নিয়ে ভারতের লক্ষ্যকে ২৪ বলে ২১ রানে নিয়ে আসেন তিনি। হারিয়ে যাওয়া জয়ের স্বপ্ন আবার নতুন করে দেখতে শুরু করে ভারত।
৬ রানে আর্শদীপ আউট হয়ে যাওয়ায় আবার ধাক্কা খায় ভারতের জয়ের স্বপ্ন। যদিও ম্যাচ তখনও ৫০-৫০। পুরো দায়িত্বটাই এসে পড়ে তিলক ভর্মার উপর। সেই সময় শুধু দরকার একটা যোগ্য সঙ্গতের। যে শুধু উল্টোদিকে উইকেটটা ধরে রাখবেন আর স্ট্রাইক রোটেট করতে সাহায্য করবেন। যা করলেন রবি বিষ্ণোই। শেষ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৬ রান। প্রথম বলে ২ রান নিয়ে পরিস্থিতি নিজেদের হাতে রাখলেন ভারতের ব্যাটাররা। এবং দ্বিতীয় বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চার বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নিল ভারত বা বলা যায় তিলক ভর্মা। ৫৫ বলে চারটি বাউন্ডারি ও পাঁচটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৭২ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি। ৯ রানে অপরাজিত থাকলেন রবি বিষ্ণোই।
ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট নেন ব্রাইডন কার্স। একটি করে উইকেট নেন জোফরা আর্চার, মার্ক উড, জেমি ওভারটন, আদিল রশিদ ও লিয়াম লিভিংস্টোন।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার