অলস্পোর্ট ডেস্ক: ভারতীয় বংশোদ্ভূত অলরাউন্ডার সিমি সিং, যিনি আয়ারল্যান্ডের হয়ে ৩৫টি ওডিআই এবং ৫৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন, বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন৷ টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রিকেটার, যিনি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন, বর্তমানে গুরুগ্রামের একটি হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে ক্রিকেটার একটি লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য অপেক্ষা করছেন যা হাসপাতালে করা হবে। মোহালিতে জন্মগ্রহণকারী সিমি অনূর্ধ্ব-১৪ এবং অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে পঞ্জাবের হয়ে খেলেছেন কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ দলে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হন। তিনি হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়ার জন্য আয়ারল্যান্ডে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং ২০০৬-এ তিনি পেশাদার হিসেবে ডাবলিনের মালাহাইড ক্রিকেট ক্লাবে যোগ দেন। তিনি ৩৯টি ওডিআই উইকেট এবং ৪৪টি টি-টোয়েন্টি উইকেট নিয়ে আয়ারল্যান্ডের অন্যতম প্রধান ক্রিকেটার হয়ে ওঠেন। ২০২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওডিআই সেঞ্চুরিও করেছেন তিনি।
ক্রিকেটারের অবস্থা নিয়ে মুখ খুললেন সিমি সিংয়ের শ্বশুর পারবিন্দর সিং।
“পাঁচ-ছয় মাস আগে, যখন সে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে ছিল, তখন সিমি এক অদ্ভুত ধরনের জ্বরে আক্রান্ত হতে থাকে। যেটা হঠাৎ হঠাৎ আসত আবার চলে যেত, সেখানে তার শারীরিক পরীক্ষা করান, কিন্তু চেক-আপে কিছুই ধরা পড়েনি। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান যে তারা অন্তর্নিহিত কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না এবং তাই তারা ওষুধ শুরু করবেন না,” পারবিন্দর টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন।
“চিকিৎসা প্রক্রিয়াটি দেড়ি হচ্ছিল এবং সিমির স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছিল, তাই আমরা ‘ভাল চিকিৎসার’ জন্য তাকে ভারতে চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিমি জুনের শেষের দিকে মোহালিতে আসে, এবং বিভিন্ন চিকিৎসকদের সাথে পরামর্শের পর তার চিকিৎসা পিজিআইতে শুরু হয়, জুলাইয়ের শুরুতে চণ্ডিগড়ে টিবি (যক্ষ্মা) এর চিকিৎসা করা হয়েছিল এবং পরে তাকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তার টিবি ছিল না।”
“তার জ্বর না কমলে, আমরা তাকে দ্বিতীয় মতামতের জন্য মোহালির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে, আমাদের বলা হয়েছিল যে সিমির টিবি নেই, তবে ওষুধের কোর্স – ছয় সপ্তাহ – সম্পূর্ণ করতে হবে। টিবির ওষুধের সঙ্গে সঙ্গে তার আবার জ্বরও বাড়তে থাকে এবং অগস্টের শেষ সপ্তাহে তাকে আবারও আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তার স্বাস্থ্যের ক্রমাগত অবনতি হতে থাকে এবং পিজিআই চিকিৎসকরা সনাক্ত করেন যে তার লিভার কাজ করা বন্ধ করে দিচ্ছে তারা আমাদের সিমিকে মেদান্ত, গুরুগ্রামে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, কারণ তার কোমায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি ছিল, ৩ সেপ্টেম্বর মেদান্তে এসেছি,” তিনি যোগ করেছেন।
রিপোর্ট অনুসারে, সিমি এখন লিভার ট্রান্সপ্লান্টের জন্য অপেক্ষা করছেন এবং তাঁর স্ত্রী – আগমদীপ কৌর – তাঁর লিভারের একটি অংশ দান করতে সম্মত হয়েছেন।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার