Thursday, February 13, 2025
No menu items!
Google search engine
Homeক্রিকেটআইপিএল ২০২৩-এর শেষ চারে যেতে পারেন কারা

আইপিএল ২০২৩-এর শেষ চারে যেতে পারেন কারা

অলস্পোর্ট ডেস্ক: আইপিএল ২০২৩ প্লে-অফে দৌঁড়ে রয়েছে অনেকেই। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে সম্মুখসমরে একাধিক দল। কারা যাবে প্লে-অফে এখন সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। তার আগে দেখে নেওয়া যাক কীভাবে দলগুলি শেষ চারে পৌঁছতে পারে? আইপিএল ২০২৩-এর ১০ দলের প্লে-অফ পরিস্থিতির উপর এক নজর। বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ এবং দিল্লি ক্যাপিটালস। দেখে নেওয়া যাক কার কতটা সম্ভাবনা রয়েছে।

গুজরাট টাইটান্স

১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা দারুণ জায়গায় রয়েছে। এই মুহূর্তে, হার্দিক পাণ্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন দলটির প্লে অফে পৌঁছনো প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু তারা যদি বাকি সব খেলায় হেরে যায় তাহলে তাদের নেট রান রেটের উপর নির্ভর করে চতুর্থ স্থানে জায়গা হতে পারে। শেষ তিনটি ম্যাচে একটি জয় পেলেই প্রতিযোগিতার শেষ চারে তাদের জায়গা নিশ্চিত হয়ে যাবে।

চেন্নাই সুপার কিংস

দিল্লির বিরুদ্ধে জয়ের সঙ্গেই ধোনির দল তাদের অবস্থান আরও মজবুত করে নিয়েছে। এখন প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত করতে চেন্নাইয়ের মাত্র একটি জয় দরকার। ১২টি ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দল এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে জয় তাদের প্লে-অফ নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট।

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স

এটি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের খুবই পরিচিত কাহিনী। কারণ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা একটি খারাপ শুরুর পরেই দারুণভাবে প্রত্যাবর্তন করেছে। মঙ্গলবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে তাদের জয়ের পর, এমআই দু’টি জয়ের সঙ্গে প্লে-অফে পৌঁছতে পারে যা তাদের ১৬ পয়েন্টে নিয়ে যাবে। এটি তাদের নেট রানরেট (-০.২৫৫) উন্নত করবে। বাকি তিনটি ম্যাচে জয় তাদের সেরা দু’য়ে পৌঁছে দিতে পারে তবে জয় পেলেই শুধু হবে না তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যান্য দলের ফলের উপর।

লখনউ সুপার জায়ান্টস

বেঙ্গালোরের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের জয়ের ফলে লখনউয়ের সমীকরণটা বেশ পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। ১১ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে, তারা বর্তমানে চতুর্থ (নেট রানরেট +০.২৯৪) এবং যোগ্যতা অর্জন করতে তাদের বাকি তিনটি ম্যাচের সবক’টি জিততে হবে। একটি হার তাদের সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দিতে পারে কিন্তু যদি অন্য দলের ফলাফল এবং নেট রান রেট তাদের পক্ষে যায়, তবে দলের টুর্নামেন্টের পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছানোর একটি ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজস্থান রয়্যালস

আরআর-এর পরের তিনটি ম্যাচ কেকেআর, আরসিবি এবং পিবিকেএস-এর বিপক্ষে, যা দলের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য নিখুঁত রাস্তা। তিনটি ম্যাচেই জিততে পারলে তারা যোগ্যতা অর্জনের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং সেই পথেই তাদের কিছু প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিটকে যাবে। সঞ্জু স্যামসন অ্যান্ড কোম্পানির নেট রান রেটে চতুর্থ স্থানে নেমে আসতে পারে। এখন তাদের ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট রয়েছে, নেট রানরেট +০.৩৮৮।

কলকাতা নাইট রাইডার্স

কেকেআর-এর জন্য এটি একটি জটিল মরসুম ছিল এবং ১১ ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে তারা (নেট রানরেট -০.০৭৯)। এখান থেকে তাদের সমস্ত ম্যাচ জিততে হবে। এই পরিস্থিতিতে তাদের ১৬ পয়েন্টে পৌঁছতে হবে তবে তাদের নেট রান রেটের উপর নির্ভর করতে হবে। কেকেআরের পুরো টুর্নামেন্টে উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়েই যাত্রা চলছে।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর

দরকার তিন ম্যাচে তিনটি জয়। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট থেকে সব ম্যাচ জিতলে তাদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ১৬-তে। এর পর বিচার হবে নেট রান রেট যেটা এখন -০.৩৪৫। তারা কলকাতার এখন যা পরিস্থিতি তাতে বাকি সব ম্যাচ জেতা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। জয় তাদের ১৬ পয়েন্টে নিয়ে যাবে এবং তার পর নির্ভর করবে নেট রান রেটের উপর। তবে, এই মরসুমে তাদের অ্যাওয়ে ফর্ম বেশ ভাল এবং তাদের শেষ তিনটি ম্যাচই বাইরের মাঠে।

পঞ্জাব কিংস

কেকেআর-এর মতো একই পরিস্থিতির মুখে আর একটি দল – তিনটি ম্যাচে তিনটি জয় তাদের প্লে-অফের দৌঁড়ে রাখবে। বর্তমানে ১১ ম্যাচে তাদের ১০ পয়েন্ট রয়েছে। এর পর দেখা হবে নেট রান রেট পঞ্জাবের যা এখন -০.৪৪১। এই মুহূর্তে অন্যান্য দলগুলি তাদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে।  তবে তাদের দুটো হোম ম্যাচেই বদলাতে পারে পঞ্জাবের ভাগ্য।

সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ

১০টি খেলায় ৮ পয়েন্ট নিয়ে ন’নম্বরে রয়েছে হায়দরাবাদ। নেট রানরেট -০.৪৭২। বাকি দলগুলোর থেকে এক ম্যাচ কম খেলেছে হায়দরাবাদ। ১৬ পয়েন্টে পৌঁছতে তাদের বাকি চারটি ম্যাচের সবক’টি জিততে হবে। তবে তাদের রান রেট সমস্যায় ফেলবে। পরবর্তী প্রতিপক্ষ সবই কঠিন তাদের জন্য। সবাইকে হারিয়ে রান রেটে পৌঁছলেও তাকিয়ে থাকতে রহবে অন্যদের দিকে। তাও হায়দরাবাদের জন্য এই রাস্তা মোটেও সহজ নয়।

দিল্লি ক্যাপিটালস

ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বাধীন দল পয়েন্ট টেবিলের শেষ স্থানে রয়েছে এবং তাদের বাকি সমস্ত খেলা জিততে হবে এবং যোগ্যতা অর্জনের জন্য অন্যান্য দলের উপর খুব বেশি নির্ভর করতে হবে। সিএসকে-র বিপক্ষে হার তাদের আশায় একটি বড় ধাক্কা ছিল কারণ তারা এখন সব ম্যাচ জিতলেও ১৪ পয়েন্টে পৌঁছাতে পারে এবং শেষ চারে পৌঁছতে মিরাক্কেল হতে হবে।

খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments