সুচরিতা সেন চৌধুরী: আইপিএল ২০২৪ মানেই হাই-স্কোরিং ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত ইডেনের মাঠে তাতে কিছুটা বাধা পড়ল। ২০০ রান এই মরসুমে খুব স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। শুরুটা করে দিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তার পর একে একে সব দলই সেই লক্ষ্য ছাঁপিয়ে গিয়েছে। এই ইডেনের মাঠেই টি২০ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডও করে ফেলেছে পঞ্জাব কিংস। কিন্তু এক ম্যাচ পরেই বদলে গেল পিচের চরিত্র। রান আটকে গেল ১৫০-র ঘরে। এই জন্যই হয়তো টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। প্রথমে ব্যাট করে কলকাতার সামনে ১৫৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখে দিল্লি। ২১ বল বাকি থাকতেই জয়ের রান তুলে নেয় কলকাতা। সাত উইকেটে জয় নিয়েই মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে কেকেআর। ৩ মে মিশন মুম্বই।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ১৫৪-৯-এ থামে দিল্লি ক্যাপিটালস। দিল্লির হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান নয় নম্বরে নামা কুলদীপ যাদবের। এদিন দিল্লির হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন পৃথ্বী শ ও জ্যাক ফ্রেজার। গত ম্যাচে বাইরে বসতে হয়েছিল পৃথ্বীকে। এই ম্যাচে ফিরেও হতাশই করলেন তিনি। মাত্র ১৩ রানে ফিরে গেলেন প্যাভেলিয়নে। আর এক ওপেনার জ্যাকও ফিরলেন ১২ রানে। লের টপ অর্ডার থেকে মিডল অর্ডার কেউই ভরসা দিতে পারলেন না ব্যাট হাতে।
তিন নম্বরে নেমে ১৮ রান করে ফিরলেন অভিষেক পোড়েল। চার নম্বরে নেমে ৬ রানে আউট হলেন শাই হোপ। এর পর অক্ষর প্যাটেল ও অধিনায়ক ঋষভ পন্থ কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করলেন ঠিকই কিন্তু বড় রান এল না কারও ব্যাট থেকে। পন্থ ২৭ ও অক্ষর ১৫ রানে ফিরে গেলেন প্যাভেলিয়নে। এর পর ত্রিস্তান স্টাবস ৪, কুমার কুশাগ্রা ১ ও রসিখ সালাম ৮ রানে আউট হলেন। শেষ পর্যন্ত লড়াই দিলেন কুলদীপ। ২৬ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি। ২০ ওভাকে ১৫৩-৯-এ থামল কলকাতা।
এদিন বল হাতে আন্দ্রে রাসেল ছাড়া সকলেই উইকেট পেলেন। শেষ ওভারে বল করতে এসে এক ওভারে ১০ রান দিলেন তিনি। তবে এদিন বলে ভরসা দিলেন বরুণ চক্রবর্থী। চার ওভার বল করে মাত্র ১৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নিলেন। দুটো করে উইকেট নিলেন বৈভব অরোরা ও হর্ষিত রানা। একটি করে উইকেট মিচেল স্টার্ক ও সুনীল নারিনের। এদিন বেশ কয়েকটি নিশ্চিত ক্যাচও ফেলল কেকেআর।
অনেকদিন পর কম রানের লক্ষ্যে নেমে সহজ জয়ের সরণীতে হাঁটল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ৯ ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের দু’নম্বর জায়গাটা পোক্ত করল কেকেআর। ওপেন করতে নেমে এদিন আবারও হাফসেঞ্চুরি হাঁকালেন ফিল সল্ট। ৩৩ বলে সাতটি বাউন্ডারি ও পাঁচটি ওভার বাউন্ডাকি হাঁকিয়ে ৬৮ রান করলেন তিনি। ১৫ রান করে আউট হলেন সুনীল নারিন। এই মরসুমে এই প্রথম তিন নম্বরে নেমে হতাশ করলেন রিঙ্কু সিং। মাত্র ১১ রান করে ফিরে গেলেন প্যাভেলিয়নে। এর পর খেলার হাল ধরলেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার।
চার ও পাঁচ নম্বরে নেমে দলের জয় নিশ্চিত করলেন দুই আইয়ার। ২৩ বলে তিনটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকলেন শ্রেয়াস। আইপিএল-এ করে ফেললেন ৩০০০ রান ও টি২০ ক্রিকেটে ৫৫০০ রান। অন্যদিকে ২৩ বলে দু’টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি মেরে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকলেন ভেঙ্কটেশ। ২২ বলে তিন রান থেকে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করলেন ভেঙ্কটেশ। এদিন দুরন্ত ক্যাচও ধরলেন তিনি। ১৬.৩ ওভারে ১৫৭-৩-এ শেষ করল কলকাতা। দিল্লির হয়ে জোড়া উইকেট নিলেন অক্ষর প্যাটেল। এক উইকেট লিজাড উইলিয়ামস। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে থেকে গেল দিল্লি। কলকাতা ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দু’য়ে।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার