অলস্পোর্ট ডেস্ক: চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএল ২০২৫-এ অধিনায়ক এমএস ধোনির প্রত্যাবর্তনটা সুখকর হল না। এই মরসুমে এখনও সেই চেনা সিএসকে-কে দেখা যায়নি। প্রতিপক্ষ যখন কলকাতা নাইট রাইডার্স তখন একটা আশা তো ছিলই। কারণ গতবারের চ্যাম্পিয়নরাও আগামীতে বড় কিছু করার মতো ইঙ্গিত দিতে পারেনি। সেই অবস্থায় শুক্রবার চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠ চিপকে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। টস জিতে প্রথমে হোম টিনকেই ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন কেকেআর অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধসের মুখে পড়ে সিএসকে ব্যাটিং। ওভার শেষ হওয়া পর্যন্ত হাল ধরতে পারেনননি কেউই। যার ফল আইএসএল-এর ইতিহাসে চিপকের মাঠে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড করে ফেলল চেন্নাই। ৫৯ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল কলকাতা। টানা পাঁচ ম্যাচ হারের হতাশার রেকর্ড করে ফেলল চেন্নাই।
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ৪ ও দেভন কনওয়ে ১২ রান করে আউট হয়ে যান। এর পর রাহুল ত্রিপাঠী ১৬ , বিজয় শঙ্কর ২৯, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ১, রবীন্দ্র জাডেজা ০, দীপক হুদা ০, এমএস ধোনি ১ ও নুর আহমেদ ১ রান কে আউট হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত লড়াই করার চেষ্টা করেন পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামা শিভম দুবে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন। দলের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান এটিই। ৩ রানে অপরাজিত থাকেন আনশূল কাম্বোজ। ২০ ওভার শেষে কোনও রকমে শতরানের গণ্ডি পার করতে সক্ষম হয় সিএসকে। ৯ উইকেটে ১০৩ রানে শেষ হয় চেন্নাইয়ের ইনিংস।
কলকাতার বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি চেন্নাই ব্যাটাররা। তিন উইকেট তুলে নেন সুনীল নারিন। দুটো করে উইকেট নেন হর্ষিত রানা ও বরুণ চক্রবর্থী। একটি করে উইকেট নেন বৈভব অরোরা ও মইন আলি। লক্ষ্য খুব বেশি না হলেও তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই সতর্ক ছিলেন কেকেআর ব্যাটাররা। কিন্তু তাতেও উইকেট হারাতে হল কলকাতাকে। তবে শেষ পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখল রাহানেরা। গত ম্যাচে ঘরের মাঠে লখনউয়ের বিরুদ্ধে হারের পর ইডেনের পিচ নিয়ে নতুন করে মুখ খুলেছিলেন কেকেআর অধিনায়ক। যদিও ইডেনের পিচ বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছিল প্রথম ম্যাচ থেকেই বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে হারের সঙ্গেই। এই জয় তাতে কিছুটা প্রলেপ দেবে নিশ্চিত।
১০৪ রানের লক্ষ্যে কলকাতার হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন কুইন্টন ডে কক ও সুনীল নারিন। তিনটি ছক্কার সঙ্গে ১৬ বলে ২৩ রান করে প্যাভেলিয়নে ফিরতে হয় তাঁকে। কাম্বোজের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এর পর নারিনের সঙ্গে ব্যাট করতে নামেন স্বয়ং অধিনায়ক। মাত্র ১০৪ রান করতে প্যাভেলিয়নে ফিরতে হয় নারিনকেও। শেষ পর্যন্ত রিঙ্কু সিংকে সঙ্গে নিয়ে খেলা শেষ করেন স্বয়ং অধিনায়ক। ৪৪ রানে নুর আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে সুনীল নারিন ফেরার পর কলকাতার জিততে দরকার ছিল মাত্র ১৯ রান। যে লক্ষ্যে সহজেই পৌঁছে যায় কেকেআর। রাহানে ২০ ও রিঙ্কু ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১০.১ ওভারে দুই উইকট হারিয়ে ১০৭ রান তুলে নেয় কলকাতা। সঙ্গে এই মরসুমে কলকাতার এক ম্যাচে হার, এক ম্যাচে জয়ের ধারার বজায় থাকল।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার





