Sunday, November 16, 2025
No menu items!
Google search engine
Homeক্রিকেটকলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মাসে ৪ লক্ষ টাকা স্ত্রী ও মেয়ের জন্য দিতে...

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মাসে ৪ লক্ষ টাকা স্ত্রী ও মেয়ের জন্য দিতে হবে শামিকে

অলস্পোর্ট ডেস্ক: সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না মহম্মদ শামির। ভারতীয় দলে ফেরা তো হচ্ছেই না সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা আরও বড় আকাড়ে সামনে চলে এসেছে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আইনি লড়াইয়ের মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটারকে তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের ভরণপোষণের জন্য মাসে মাসে ৪ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ২০২৩ সালে জেলা দায়রা আদালতের আদেশের ভিত্তিতে নির্ধারিত ১.৩০ লক্ষ টাকার ভরণপোষণের পরিমাণ আগের চেয়ে অনেক বেশি।

বিচারক আদেশের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন যে শামির উপার্জন, তাঁর মেয়ের ভবিষ্যৎ এবং বিচ্ছেদের আগে তাঁর স্ত্রী হাসিন জাহান যে জীবন উপভোগ করতেন, তার কথা মাথায় রেখেই এই অঙ্কের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

“বিপক্ষ/স্বামীর আয়, আর্থিক তথ্য এবং উপার্জন প্রমাণ করে যে তিনি বেশি অর্থ প্রদানের অবস্থানে আছেন। আবেদনকারী স্ত্রী যিনি অবিবাহিত রয়েছেন এবং সন্তানের সাথে স্বাধীনভাবে বসবাস করছেন, তিনি বিবাহিত জীবনের মতো সমান পরিমাণে ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকারী এবং যা তার ভবিষ্যৎ এবং সন্তানের ভবিষ্যতকে যুক্তিসঙ্গতভাবে সুরক্ষিত করে,” বলা হয়েছে।

“অতএব, যদিও এটি সত্য যে অতিরিক্ত পরিমাণ আর্থিক ত্রাণ প্রদানের প্রশ্নই ওঠে না, খুব কম পরিমাণ অর্থ প্রদানও গ্রহণযোগ্য নয়,” বিচারককে উদ্ধৃত করে টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে।

হাসিন জাহান ৪ লক্ষ টাকা ভরণপোষণ চূড়ান্ত করার জন্য আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই অঙ্কটি তাদের মেয়েকে একটি উন্নত স্কুলে ভর্তি করতে সাহায্য করবে, যা আগে সম্ভব ছিল না।

“গত সাত বছরে আমার অধিকারের জন্য লড়াই করতে গিয়ে আমি প্রায় সবকিছু হারিয়েছি। আমি আমার মেয়েকে একটি ভালো স্কুলে ভর্তি করতে পারিনি। আমি আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ,” আদেশের পর জাহান বলেন।

তবে জাহান মূলত যে আর্কথিক অনুদানের জন্য আবেদন করেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে নিজের জন্য প্রতি মাসে ৭ লক্ষ টাকা এবং তাঁর মেয়ের জন্য অতিরিক্ত ৩ লক্ষ টাকা।

জাহান ২০১৪ সালের এপ্রিলে তাদের বিয়ের চার বছর পর, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে যাদবপুর থানায় শামি এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন, যেখানে ২০০৫ সালের নারী সুরক্ষা (পিডব্লিউডিভি) আইনের ১২ ধারার অধীনে “প্রচণ্ড শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন” এবং তাঁর নাবালিকা মেয়ের প্রতি “উদাসীনতা ও অবহেলার” অভিযোগ করা হয়েছিল।

পারিবারিক সহিংসতার পাশাপাশি, তিনি শামির বিরুদ্ধে যৌতুক হয়রানি এবং ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগও করেছিলেন এবং অভিযোগ করেছিলেন যে শামি তার পরিবারের খরচ চালানোর জন্য আর্থিক দায়িত্ব গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছেন।

খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com

অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটা

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments