সুচরিতা সেন চৌধুরী: এবার সামনে কেকেআর। তাও আবার কলকাতার ঘরের মাঠে। এই ইডেন গার্ডেন্স সব সময়ই রোহিত শর্মার লাকি গ্রাউন্ড। এখানে ব্যাট হাতে অনেক সাফল্য রয়েছে রোহিতের। শনিবার তাঁর সেই ঝলক আবার দেখা যাবে কিনা তা সময়ই বলবে, তবে এদিন মাঠে নামলেও ব্যাট করতে দেখা গেল না ভারত অধিনায়ককে। দলের সবার সঙ্গে কথা বললেন, উপদেশ দিলেন এবং শেষ বেলায় হালকা দৌঁড় ছাড়া আর কিছুই করতে দেখা গেল না তাঁকে। অন্যদিকে অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্যেও ব্যাট বা বল কিছুই করলেন না এদিন। তিনিও দৌঁড়লেন মাঠ জুড়ে। এদিন অনুশীলনে ছিলেন না যশপ্রীত বুমরাহও। এই তিন জনই টি২০ বিশ্বকাপগামী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, যে কারণে তাঁদের নিয়ে ঝুঁকি নাও নেওয়া হতে পারে।
যেহেতু মুম্বই ছিটকে গিয়েছে আইপিএল থেকে সে কারণেও তাঁদের নিয়ে সাবধানেই এগোবে ফ্র্যাঞ্চাইজি। এমন বার্তা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে। এদিন অনুশীলনের পরে সমর্থকদের অটোগ্রাফও দিলেন। বেশ খোশমেজাজেই রয়েছে মুম্বই দল। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ড্রেসিংরুমের প্রশংসাও করে গেলেন কোয়েৎজে। যেখানে সব থেকে সফল ভারতীয় ব্যাটার অবশ্যই সূর্য কুমার যাদব। যাঁকে এদিন দেখা গেল দীর্ঘ সময় ব্যাট করতে।
তিনি বলছিলেন, ‘‘ড্রেসিংরুমের মুড খুবই ভাল। দারুণ সব প্লেয়াররা রয়েছে। দারুণ অধিনায়ক। হার্দিক খুব ভাল অধিনায়ক। ও ওর পরিকল্পনা নিয়ে নিশ্চিত থাকা।’’ অধিনায়ক বিতর্ক নিয়েই মরসুম শুরু করেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শেষ পর্যন্ত সেই বিতর্ক থেকে গেল তাদের সঙ্গে। পাশাপাশি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের হারের ব্যর্থতা। হার্দিক, রোহিতদের ব্যর্থতা দলের উপর প্রভাব ফেলল ব্যাপকভাবে। সব মিলে মরসুমটা মোটেও ভাল গেল না মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের।
যদিও কোয়েৎজে ছিটকে যাওয়া নিয়ে ভাবছেন না। বরং যে ক’টা ম্যাচ রয়েছে সেগুলোতে সেরাটা দিয়েই মরসুম শেষ করতে চাইছেন তিনি। আসলে চাইছে দল। বলছিলেন, ‘‘টুর্নামেন্টের বাইরে চলে যাওয়াটা আসল বিষয় নয়। আমরা তাও নিজেদের খেলাটাই খেলব।’’ তবে তিনিও মেনে নিলেন, এই মরসুম সত্যিই বোলারদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে মজা করে বললেন, ‘‘বোলারদের জন্য মজার চ্যালেঞ্জ ছিল।’’ আর সেই মজা নিয়েই শনিবারের ম্যাচে কলকাতার দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও সুনীল নারিনকে আটকাতে চাইবেন তিনি, স্পষ্ট করে দিলেন।
এদিন পাশাপাশি তাঁর মুখে শোনা গেল যশপ্রীত বুমরাহর প্রশংসাও। তাঁর সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগ করে নেওয়াটাও শিক্ষনীয় বলে মনে করছেন তিনি। মরসুমের প্রায় শেষ মুহূর্তে এসে তিনি কী লিখলেন বুমরাহর থেকে? বলছিলেন, ‘‘যশপ্রীত বুমরাহর সব থেকে ভাল দিক ওর সারল্য ও নির্ভুলতা। আর এটাই ওর থেকে শিক্ষনীয়।’’
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার