অলস্পোর্ট ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ স্পিনার নাথান লিয়ঁ বাদ পড়লেন ইংল্যান্ড এর বিরুদ্ধে অ্যাসেজ ২০২৩ থেকে। লর্ডসে টেস্ট চলাকালীন দ্বিতীয়দিন ফিল্ডিং করার সময় পায়ের কাফ মাসেলের পেশি ছিঁড়ে যায় তাঁর। ক্র্যাচে ভর দিয়ে হাঁটতেও দেখা যায় তাঁকে। তারপরও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ছিলেন তিনি। একটি বাউন্ডারিও হাঁকিয়েছিলেন। তাঁর এই সাহসে মুগ্ধ ক্রিকেট বিশ্ব। কেউ কেউ আবার সমালোচনা করতেও ছাড়েননি।
চলতি পাঁচ ম্যাচের অ্যাসেজে ২-০-তে এগিয়ে প্যাট কামিন্সের দল। এজবাস্টন টেস্টে ২ উইকেটে জয়ী হয়েছিলেন তাঁরা। এরপর লর্ডসেও ৪৩ রানে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়ান দল। তবে জয়ের সঙ্গে বড় ধাক্কাও খেল অজিরা।
আগামী ৬ জুলাই থেকে লর্ডসে শুরু হবে অ্যাসেজের তৃতীয় ম্যাচ। তবে চোটের জন্য লিয়ঁর পক্ষে আর টেস্টে নামা সম্ভব হবে না। তাঁর পরিবর্তে স্বপ্নের রাস্তা খুলে গেল টড মারফির। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২২ বছর বয়সি এই স্পিনার মারফির অভিষেক এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। তাঁকে নিয়েই আবার নতুন করে দল গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
অ্যাসেজকে এবারের মতো বিদায় জানানোর সময় মারফির প্রশংসা করেছেন লিয়ঁ। তিনি চান যাতে টড মারফি নিজেকে প্রমাণ করে নিজের জাত চেনাতে পারেন। চলতি বছরে ভারতে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ১৪ উইকেট পেয়েছিলেন মারফি। তাঁর গড় ছিল ২৫.২১। স্টার ব্যাটার বিরাট কোহলিকেও চারবার আউট করেছিলেন তিনি। একটি সাক্ষাৎকারে লিয়ঁ বলেছেন ‘‘ওর বোলিংয়ের যা বিকল্প রয়েছে, তা আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটের জন্য যথেষ্ট ভাল। যা ইংল্যান্ড ব্যাটারদেরকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেবে। এ ছাড়া তাঁর কাছেও সুযোগ থাকছে নিজের ছাপ রেখে যাওয়ার।’’
রিসার্ভ ব্যাটার ম্যাট রেনশঁ একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি এই মুহূর্তে দলে না থাকলেও স্ট্যান্ডবাই প্লেয়ার হিসাবে দেশেই থাকছেন। যদি আবার কেউ চোট পেয়ে ছিটকে যান তা হলে যাতে দ্রুত পরিবর্ত হিসেবে তাঁকে ডেকে নেওয়া যায়। প্রথম দুই টেস্টের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া শুধুমাত্র একটি পরিবর্তন করেছে। স্কট বোল্যান্ডের পরিবর্তে মিচেল স্টার্ককে দলে আনা হয়েছে। ১৬ জনের দলে কোনও পরিবর্তকে এখনই ডাকা হচ্ছে না। কুইন্সল্যান্ড উইকেটকিপার জিমি পিয়ারসন দলের সঙ্গে রয়েছেন জোশ ইনগলিসের কভার হিসেবে। কারণ তিনি বার্মিংহ্যাম টেস্টের পরই বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন তাঁর প্রথম সন্তানের জন্মের কারণে।
লর্ডস টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম একাদশে থেকেই অনন্য রেকর্ড করেছেন লিয়ঁ। তিনি টানা ১০০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। বিশ্বের ষষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ইতিহাসে নিজের নাম লিখিয়ে ফেলেছেন তিনি।
১০০তম টেস্ট খেলার সময় লিয়ঁ বলেছিলেন, “টানা ১০০টি টেস্ট খেলতে পেরে আমি গর্বিত। আমার মনে এই পরিসংখ্যান থেকে যাবে। অনেক চড়াই-উতড়াই অতিক্রম করেছি।বোঝাই যাচ্ছে প্রচুর টেস্ট ম্যাচ খেলে ফেলেছি। আমার মাথায় কেন চুল নেই সেটাও বোঝা যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “কোনও অ্যাথলিট দীর্ঘ সময় ধরে সফল হওয়ার জন্য, তাঁর আশেপাশের মানুষগুলিকেও অসাধারন হতে হয়। আমার দল এবং পরিবারের সদস্যদের অসংখ্য ধন্যবাদ। তাঁদের ভলোবাসা ও যত্নে আজ এখানে এসেছি।”
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার