অলস্পোর্ট ডেস্ক: একটি নতুন ভিডিও অ্যাঙ্গেল শেষ পর্যন্ত বার্বাডোজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে সূর্যকুমার যাদবের চাঞ্চল্যকর ক্যাচ নিয়ে আলোচনার সমাপ্তি ঘটাতে পারে। বাউন্ডারি লাইনে সূর্যকুমারের অত্যাশ্চর্য ক্যাচ এতটাই কাছাকাছি ছিল যে এটি একটি বিতর্ক তৈরি করেছিল। শেষ ওভার থেকে ১৬ রান প্রয়োজন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। স্ট্রাইকে ডেভিড মিলার ছিলেন। শেষ ওভারে বল করতে এসেছিলেন হার্দিক পাণ্ড্যে। তাঁর একটি ফুল টস শট নেন মিলার রং। সূর্যকুমার লং অফে বাউন্ডারি লাইনের ভিতরে বলটি ধরতে সক্ষম হন, কিন্তু শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেননি। তবে তিনি বাউন্ডারি লাইন ক্রস করার আগে বলটি শূন্যে ছুঁড়ে দেন। এখানেই শেষ নয়, বল মাটি স্পর্শ করার আগেই তিনি বাউন্ডারর ভিতরে ফিরে এসে সেই বল ধরে নেন।
ক্যাচের বেশ কয়েকটি ভিডিও অ্যাঙ্গেল সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এবং অনেকে দাবি করেছে যে এটি একটি ন্যায্য ক্যাচ ছিল না। তবে, সদ্য প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে এটি পরিষ্কার ও ন্যায্য ক্যাচ ছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন যে ভারতীয় দলকে অন্যায্য সুবিধা দেওয়ার জন্য দ্বিতীয় ইনিংসের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে বাউন্ডারি কুশন বাইরে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল।
ভারতীয় ইনিংসের সময়ও বাউন্ডারি কুশন লাইনের বাইরে থাকায় অভিযোগটি ভুল ছিল। তাজা ভিডিওটিও তা নিশ্চিত করে।
খেলার জন্য বাছাই করা পিচের উপর নির্ভর করে ম্যাচের আগে বাউন্ডারির দড়ির অবস্থান পরিবর্তন করাটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা।
“দেশের জন্য সেই মুহূর্তে বিশেষ কিছু করতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ… ঈশ্বরের পরিকল্পনা ছিল,” সূর্যকুমার পিটিআইকে ক্যাচটি সম্পর্কে বলেছিলেন।
অনেক পুরানো সময়ের ভক্তদের কাছে, এই ক্যাচটি ১৯৮৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কপিল দেবের নেওয়া অবিশ্বাস্য একটি স্মৃতি ফিরিয়ে দিয়েছিল। ভিভ রিচার্ডস মদন লালের ডেলিভারিতে টপ-এজ করেন এবং কপিল মিড-অন থেকে পাশ কাটিয়ে ক্যাচটি ধরেন। তবে তখন এত টেলিভিশনের কারিগরিও ছিল না, সোশ্যাল মিডিয়ার বাড়াবাড়িও ছিল না।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার