অলস্পোর্ট ডেস্ক: আইপিএল দিয়ে নিজের ক্রিকেট জীবন শুরু করেছেন রিঙ্কু সিং । কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর এই ব্যাটসম্যান ২০২৩ আইপিএল-এ তাঁর শক্তিশালী ব্যাটে মন জিতে নিয়েছেন ক্রিকেট প্রেমিদের। পাশাপাশি তাঁর অসাধারণ খেলা দিয়ে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন জাতীয় দলে।
নিজের কঠোর পরিশ্রম দিয়ে রিঙ্কু সিং আসন্ন এশিয়া কাপের দলে নিজের জায়গা পাঁকা করেছেন। এবছর সেপ্টেম্বরে চিনে বসতে চলেছে এশিয়া কাপের আসর। সেখানে ভারতীয় দলের জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে তাঁকে। তার আগে অগস্টে আয়ারল্যান্ডে টি২০ সিরিজে জাতীয় দলে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন এই ২৫ বছরের ব্যাটসম্যান। রিঙ্কু তাঁর জীবনে এই মুহূর্তকে স্বপ্ন বলছেন। তিনি তাঁর এই আবেগপ্রবন যাত্রার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন সবার সঙ্গে।
রিঙ্কু বলেছেন, ‘‘সবটা স্বপ্নের মত লাগছে। আমি জাগতে চাই না এত তাড়াতাড়ি। এটা একটা অসাধারণ অনুভুতি যা আমার পক্ষে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমি একজন আবেগপ্রবন মানুষ। যখনই আমি আমার অভিভাবকদের সঙ্গে খেলা নিয়ে কথা বলি, শেষটা হয় কান্না দিয়ে। ’’
২০২৩ আইপিএল–এ গুজরাত টাইটান্সের বিপক্ষে ম্যাচ রিঙ্কুর জীবন বদলে দেয়। এই ম্যাচে পরপর পাঁচ বলে পাঁচটা ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি কলকাতাকে জয় এনে দেন। সেই ম্যাচের পর থেকে বেড়ে যায় রিঙ্কুর জনপ্রিয়তা।
রিঙ্কু বলেন, ‘‘আমি কেকেআর -এর হয়ে ছ’বছর খেলছি। আমি প্রথমে আমার এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। ব্যর্থ হয়েছি বারবার। গত বছর আমি আমার দলের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। মুম্বইতে কেকেআর -এর একাডেমিতে আমি অভিষেক নায়ার স্যারের সঙ্গে অনেক ব্যাটিং অনুশীলন করেছি। সেই কঠোর পরিশ্রমই আমাকে ফলাফল দিয়েছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘অন্য কোনও ফ্রাঞ্চাইজি এতবার ব্যর্থ হওয়ার পরেও আমাকে দলে রাখত না। কিন্তু কেকেআর দলের নির্বাচক এবং অভিষেক স্যার হয়ত আমার মধ্যে কিছু দেখেছিলেন। আমি ঠিক জানি না আমি প্রতিদিন নেটে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা ব্যাট করি এবং নতুন নতুন জিনিস শিখি। আমার মনে হয় এই তিন বছরে আমি একজন অল রাউন্ডার ব্যাটসম্যান হয়ে উঠতে পেরেছি। আইপিএল-এ আমি খুব ভাল খেলেছি। তাঁর পুরস্কার হিসেবে আমাকে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছি।’’
আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন জসপ্রীত বুমরাহ। অনেকদিন পর নিজের চোট কাটিয়ে দলে ফিরছেন বুমরাহ। এই সিরিজ শুরু হতে চলেছে ১৮ আগস্ট।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার