অলস্পোর্ট ডেস্ক: প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আট উইকেটে হেরেছিল ভারত। আর এ বার অজিদের কাছে ল্যাজেগোবরে হয়ে হারল ২০৯ রানে। এই লজ্জাজনক হারের পর অবশ্য সাংবাদিকদের সামনে খুব বেশি হাহুতাশ করতে দেখা যায়নি রোহিত শর্মা-কে। বরং দলের প্লেয়ারদের কাঁধে নানা দোষ চাপানোর পাশাপাশি, রোহিত বড় দাবি করে বসলেন। পরের বার থেকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তিনটি ম্যাচ করার দাবি তুললেন ভারত অধিনায়ক।
অজিদের কাছে হারের পর অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলে দেন, ‘গত দু’বছর ধরে অনেক পরিশ্রম করে আমরা ফাইনালে উঠেছিলাম। কিন্তু মাত্র একটা ম্যাচেই ফাইনালে খেতাবের ফয়সালা হয়ে গেল। আমি চাইব, ফাইনাল অন্তত তিন ম্যাচের হোক। পরের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেই ফাইনাল তিন ম্যাচের করা হলে, সেটাই চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণের ক্ষেত্রে একেবারে সঠিক হবে।’
এর পাশাপাশি ফাইনাল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রোহিত। আসলে দু’টি ফাইনালই হয়েছে। সেই সঙ্গে ইংল্যান্ডেই। রোহিত বলেছেন, কেন জুনেই ফাইনাল হতে হবে। ফাইনালও খেলা হতে পারে মার্চেও। এমন কী যে কোনও জায়গায় ফাইনাল খেলা যেতে পারে বলেও দাবি করেছেন তিনি। রোহিত বলেছেন, ‘জুন মাসেই শুধু বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে হবে। এর কোনও মানেই নেই। আর এটি শুধুমাত্র ইংল্যান্ডে নয়, বিশ্বের যে কোনও জায়গায় খেলা যেতে পারে।’
সিরিজ জেতার থেকে চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ, সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন রোহিত শর্মা। প্রসঙ্গত, ২০১৭, ২০১৯, ২০২১ এবং ২০২৩ পরপর চারটি বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়াকে ভারত হারালেও, আসল জায়গায় বাজিমাত করলেন স্টিভ স্মিথরাই। অজিরাই টেস্টে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হল। ওভালে ফাইনালে হার নিয়ে রোহিত বলেন, ‘প্রথম ইনিংসে আমরা মোটেও ভাল ব্যাট করিনি। সেটা বড় ফারাক গড়ে দিল। আমরা লক্ষ্যে টার্গেটে পৌঁছতে চেয়েছিলাম ঠিকই, তবে খারাপ শট খেলে আউট হয়েছি। ব্যাটিংয়ের জন্য ভাল পিচ ছিল। পাঁচ দিনই উইকেট ব্যাটিংয়ের উপযুক্ত ছিল। কিন্তু আমরা সেটা ব্যবহার করতে পারিনি। টেস্টে সাধারণত চতুর্থ এবং পঞ্চম দিনে উইকেট যে চরিত্র নেয় সেটা ছিল না। তাই আমরা ভেবেছিলাম রানটা তাড়া করতে পারব। আমাদের টপ ছয় ব্যাটারের মধ্যে অনেকেরই এই পরিবেশ এবং পরিস্থিতিতে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল। অস্ট্রেলিয়ার যেমন হেড এবং স্মিথ খেলে দিল। কিন্তু আমাদের ব্যাটাররা সেটা করতে পারেনি।’
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার