অলস্পোর্ট ডেস্ক: এক ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি। দুই পক্ষের দুই তারকার ব্যাট থেকে সেঞ্চুরি এল ঠিকই কিন্তু বিরাট ব্যাটে শেষ হাসি হাসল এক দলই। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে আট উইকেটে হারিয়ে ভাল জায়গায় পৌঁছে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। টস জিতে হায়দরাবাদকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ব্যাঙ্গালোর। প্রথমে ব্যাট করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান তোলে হোম টিম। জবাবে ব্যাট করতে নেমে চার বল বাকি থাকতেই দুই উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান তুলে ভাল জায়গায় চলে গেলেন বিরাট কোহলিরা।
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভাল করতে পারেনি হায়দরাবাদের প্রথম দিকের ব্যাটাররা। দুই ওপেনারপ অভিষেক শর্মা ১১ ও রাহুল ত্রিপাই ১৫ রান করে আউট হয়ে যান। তিন নম্বরে নেমে একই অবস্থা অধিনায়ক আইদেন মারক্রামের। ১৮ রান করে ফিরে যান তিনিও। এর পর দলের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন এনরিক ক্লাসেন। তাঁর দুরন্ত ইনিংসের সৌজন্যেই বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করতে পারে সানরাইজার্সরা।
৫১ বলে আটটি বাউন্ডারি ও ছ’টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন ক্লাসেন। ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন হ্যারি ব্রুক। ৫ রানে আউট হন গ্লেন ফিলিপ্স। ২০ ওভারে হায়দরাবাদ থামে ১৮৬-৫-এ। ব্যাঙ্গালোরের হয়ে জোড়া উইকেট মিশেল ব্রেসওয়েল। একটি করে উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ, শাহবাজ আহমেদ ও হর্ষল প্যাটেল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দাপট দেখাতে শুরু করেন বিরাট কোহলি। ফাফ দু’প্লেসিকে সঙ্গে করে জয়ের রাস্তাটা পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন তিনিই। ব্যাঙ্গালোরের দুই ওপেনারের দাপটে ফিঁকে দেখাচ্ছিল হায়দরাবাদের বোলারদের। বিশেষ সুবিধেও করতে পারেননি কেউ। পুরো ম্যাচে মাত্র দুই উইকেটই তুলতে পেরেছিল। ৬৩ বলে ১২টি বাউন্ডারি ও চারটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১০০ রানের ইনিংস খেলেন বিরাট। যোগ্য সঙ্গত দু প্লেসির। ৪৭ বলে ৭১ রান করেন তিনি।
এর পর আর কিছুই করার ছিল না। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৫ ও মিশেল ব্রেসওয়েল ৪ রানে অপরাজিত থাকেন। চার বল বাকি থাকতেই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ব্যাঙ্গালোর। হায়দরাবাদের হয়ে একটি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার ও অভিষেক শর্মা।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com