অলস্পোর্ট ডেস্ক: আইপিএল ২০২৪-এর ফাইনালে টস জেতা একটা বড় ভূমিকা নিতে পারে, এটা সবাই জানে। কিন্তু তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রবিবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্যাট কামিন্স। তাই টস হেরে খুব একটা ক্ষতি হয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্সের। কারণ প্রথমে বোলিং পেয়ে কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা টস জিতলেও প্রথমে বোলিংই করতেন। তাই টস হারের দুঃখ নেই। কিন্তু প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল হায়দরাবাদের টপ অর্ডার থেকে মিডল অর্ডার। কেকেআর বোলারদের দাপটে কেউ বড় রানে পৌঁছতে পারলেন না। গ্যালারিতে তখন হতাশ মুখে বসে দলের মালকিন। সব ম্যাচ শেষে যাঁর অভিব্যক্তি বার বার ভাইরাল হয়েছে। কখনও জিতে উচ্ছ্বাস আবার কখনও হেরে হতাশা। এদিন তাঁকে প্রথম থেকেই হতাশায় ডুবে যেতে দেখা গেল। কারণ তাঁর দল আইপিএল ফাইনালের ইতিহাসে সব থেকে কম রান করার রেকর্ড করে ফেলেছে।
উল্টোদিকে এদিন কেকেআর গ্যালারিতে হাজির ছিলেন দলের সব মালিক পক্ষ। জুহি চাওলা, জয় মেহতা, শাহরুখ খান, গৌরি খান, আরিয়ান, সুহানা, আব্রাম—সকলেই হাজির হয়েছিলেন দলের জয় দেখতে। শেষ ম্যাচে প্রথম কোয়ালিফায়ারে আহমেদাবাদে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন শাহরুখ খান। হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল। যাঁকে এই মরসুমে প্রায় সব ম্যাচেই গ্যালারিতে দেখা গিয়েছে দলকে সমর্থন করতে। এদিন তাঁর আশা নিয়ে সংশয় থাকলেও ম্যাচ শুরুর আগেই তিনি হাজির হয়ে যান। মুখে ছিল মাস্ক। কিন্তু দলের সাফল্যে উচ্ছ্বাসে কোনও খামতি ছিল না। এদিন ফাইনাল ম্যাচ দেখতে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর ও রাজকুমার রাও। নতুন সিনেমার প্রচারে এই দু’জনকে আজকাল সব জায়গায় এক সঙ্গে দেখা যাচ্ছে।
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদের অভিষেক শর্মা ২, ত্রাভিস হেড ০, রাহুল ত্রিপাঠী ৯, আইদেন মারক্রাম ২০, নীতিউশ কুমার রেড্ডি ১৩, হেনরিচ ক্লাসেন ১৬, শাহবাজ আহমেদ ৮, আব্দুল সামাদ ৪, জয়দেব উনাদকট ৪ ও প্যাট কামিন্স ২৪ রান করে আউট হন। কলকাতার হয়ে তিন উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল। দুটো করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক, হর্ষিত রানা, সুনীল নারিন। একটি করে উইকেট নেন বৈভব অরোরা ও বরুণ চক্রবর্থী। এদিন উইকেটের পিছনে যেমন তৎপর ছিলেন গুরবাজ তেমনই ফিল্ডিংয়ে রমনদীপ। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ ফিল্ডিং করেছেন রমনদীপ। যার ফলে পাওয়ার প্লে-তেই চার উইকেট চলে যায় হায়দরাবাদের। এর মধ্যেই সুনীল নারিনের বলে বাউন্ডারিতে নিশ্চিত ক্যাচ ফেলেন মিচেল স্টার্ক। শেষ উইকেটের ক্যাচটি অবশ্য জমা পড়ে তাঁরই হাতে। পরের বলেই উইকেটের পিছনে ক্যাচ ফেলেন বরুণ চক্রবর্থী। তাও ১৮.৩ ওভারে ১১৩ রানে অল-আউট হয়ে যায় হায়দরাবাদ।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার