অলস্পোর্ট ডেস্ক: সোমবার রীতিমতো মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। মহমেডানের হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ খেলতে নামার আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তার আগে সকালে টসও করেন। কিন্তু ড্রেসিংরুমে ফেরার পর অসুস্থ বোধ করেন। সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তিনি চেয়েছিলেন ঢাকায় ফিরে চিকিৎসা করাতে। তার জন্য ঢাকা থেকে উড়িয়েও আনা হয়েছিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্ট। কিন্তু সেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ওঠার সময় জ্ঞ্যান হারান তিনি। তার পর আর তাঁকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। স্থানীয় কেপিজে হাসপাতালেই শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপড়তায় তাঁর চিকিৎসা। বসানো হয় স্টেন্ট। দীর্ঘ টানাপড়েনের পর জ্ঞ্যান ফেরে তামিমের। তবে আপাতত তাঁকে সেখানেই চিকিৎসাধীন থাকতে হবে।
মঙ্গলবার হাসপাতালের বেডে শুয়েই ফেসবুকে নিজের কথা লিখেছেন তামিম। সেখানে নিজের শরীরের অবস্থার কথা জানানোর পাশাপাশি নিজের একটি অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন। সেখানে তিনি লেখেন, হৃদয়টাই আসল, কখন যে সেটা কাজ করা বন্ধ করে দেবে কেউ জানে না। তিনি লেখেন, ‘‘গতকাল যখন দিন শুরু করেছিলাম তখন কি আমি জানতাম আমার সঙ্গে কী হতে চলেছে। সবার দোয়ায় আমি ফিরে এসেছি।’’

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে সোমবার খেলতে নেমেছিল মহমেডান ও শাইনপুকুর। সকালে বিকেএসপিতে টসও করেন দুই দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও রায়ান রাফসান। তখন ঘড়িতে সময় সকাল ন’টা। টসের আগে ওয়ার্ম আপ করার সময় থেকেই অসুস্থ বোধ করছিলেন। কিন্তু ভেবেছিলেন গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে। সেটা বলেওছিলেন তিনি। টস করে ড্রেসিংরুমে ফিরে সেই অস্বস্তি আরও বেড়ে যায়। তখন মাঠে না নেমে তাঁকে বিশ্রাম করতে বলা হয়। কিন্তু আরও অসুস্থ হয়ে পড়ায় আর ঝুঁকি নেয়নি তাঁর দলের কর্মকর্তারা। সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে ছাড়াই খেলা শুরু হয়।
একটা সময় এমন পরিস্থিতি হয়েছিল যখন কোনও কিছুতেই সাড়া দিচ্ছিলেন না তামিম। হাসপাতালের পথে পুরো সময়টাই তাঁর বুকে পাম্প করতে থাকেন মহমেডানের ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী। হাসপাতালে তাঁকে লাইফ সাপোর্টেও রাখা হয়। তবে সব লড়াই জিতে তিনি আপাতত ঝুঁকির বাইরে।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার