সুচরিতা সেন চৌধুরী: রবিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের মধ্যে আইপিএল ২০২৪-এর ম্যাচে তার বিতর্কিত আউট-এর পর মাঠ থেকে বেরনোর আগেই তর্কাতর্কিতে জড়িয়েছিলেন তিনি। তবে সেখানেই তিনি থামেননি। ম্যাচ শেষে বিরাটকে দেখা যায় আবারও ডাগআউটে দাঁড়িয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলতে। আম্পায়াররাও ঠান্ডা মাথায় তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন কেন এবং কীভাবে তিনি আউট হন। তাতেও যে স্বস্তি পেয়েছেন বিরাট তেমনটা নয়। বরং এই আউট নিয়ে চলতি আইপিএল-অর সব থেকে বড় বিতর্কটা তৈরি হয়েছে।
বিরাট যতই এই আউট নিয়ে উত্তেজিত হোক না কেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি কিন্তু বিষয়টা নিয়ে একদমই ভাবতে নারাজ। কাউকে দোষারোপও করছেন না তিনি। তিনি পোস্ট ম্যাচ কথোপকথনে বলেন, “এটা অদ্ভুত ঘটনা। তবে নিয়ম তো নিয়মই, যে জায়গায় বিরাট এবং আমি ভেবেছিলাম বল তার কোমরের ওপরে ছিল। আম্পায়ারদের সেটা মনে হয়নি।’’
আরসিবি ইনিংসের তৃতীয় ওভারে, কোহলি হর্ষিত রানার ফুল-টস বলে শট নেন এবং তা ক্যাচ হয়। কলকাতা দল ততক্ষণে বিরাটকে আউট করার উৎসব শুরু করে দিয়েছে। কোহলি দ্রুত রিভিউ নেন, কারণ তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে বলটি তাঁর কোমরের উপরে ছিল। রিপ্লে দেখে তৃতীয় আম্পায়ার মাইকেল গফ সিদ্ধান্ত নেন যে উচ্চতা হ্রাসের কারণে এটি একটি ন্যায্য ডেলিভারি ছিল। এই প্রসঙ্গে হর্ষিত রানাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বলে এঁড়িয়ে যান।
তিনি বলেন, ‘‘আউট দেওয়া না দেওয়া আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত, সেখানে আমার কিছু বলার থাকতে পারে না। এতে আমার বলার কিছুই থাকতে পারে না।’’ তবে বিরাট কোহলির জন্য আলাদা করে কোনও পরিকল্পনা ছিল না বলেই জানিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘‘সব ব্যাটসম্যানদের জন্য যেমন থাকে তেমনই পরিকল্পনা ছিল, বিরাট ভাইয়ের জন্য আলাদা কোনও বোলিং পরিকল্পনা ছিল না আমাদের।’’
এদিকে এই হর্ষিত রানার বলেই বিতর্কীত আউটের স্বীকার হন কোহলি, যে সিদ্ধান্তে দৃশ্যতই বিরক্ত ছিলেন। আরসিবির হয়ে ম্য়াচের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন এই ম্যাচে না খেলা টপলে। তিনি অবশ্য বিরাটের আউট নিয়ে বলেন, ‘‘এখানে একটা গ্রে এরিয়া রয়েছে। বলের উচ্চতা নিয়ে এক এক জনের এক এক রকম মত হতে পারে। বলের উচ্চতা কতটা হবে সেটা ব্যাটারের উচ্চতার উপরও নির্ভর করে। সব মিলে এই আউটে একটা প্রশ্ন রয়েছে। দল হতাশ তো বটেই, মাত্র এক রানে আমরা হেরে গিয়েছি।’’
আইসিসি প্লেয়িং কন্ডিশনের আইন ৪১.৭.১ অনুসারে, “পপিং ক্রিজে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা স্ট্রাইকারের কোমরের উচ্চতা থেকে পিচ ছাড়াই যে কোনও ডেলিভারি, যা পাস হয় বা পাস হয়ে যায়, তা অন্যায্য বলে গণ্য হবে, তা হোক বা না হোক। এতে স্ট্রাইকারের শারীরিক আঘাত হতে পারে। বোলার যদি এমন ডেলিভারি করেন তাহলে আম্পায়ার অবিলম্বে নো বল করার সংকেত দেবেন।”
কোহলি নিশ্চিত ছিলেন যে বলটি তাঁর ব্যাটে লাগার সময় তাঁর কোমরের উপরে ছিল। তবে রিপ্লেতে দেখা যায় যে বলটি ডিপ করছিল এবং যদি তিনি তাঁর স্বাভাবিক ব্যাটিং অবস্থানে দাঁড়িয়ে থাকতেন তবে এটি তাঁর কোমরের নীচে নেমে আসত। সিদ্ধান্তটি বোলারের পক্ষে যায় কারণ কোহলি ব্যাটিং ক্রিজের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং রিপ্লে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এটি একটি ন্যায্য ডেলিভারি ছিল।
তবে কোহলি কোনওভাবেই এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হতে পারেননি।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার