Saturday, December 14, 2024
No menu items!
Google search engine
Homeক্রিকেটপ্রয়াত ইংল্যান্ড ক্রিকেটার গ্রাহাম থর্পের মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তাঁর স্ত্রী

প্রয়াত ইংল্যান্ড ক্রিকেটার গ্রাহাম থর্পের মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তাঁর স্ত্রী

অলস্পোর্ট ডেস্ক: প্রাক্তন ইংল্যান্ড ক্রিকেটার গ্রাহাম থর্প সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। গত দুই বছরে তার খারাপ স্বাস্থ্যের কারণে বিষন্নতা এবং উদ্বেগের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। যা তাঁকে ক্রমশ হতাশার দিকে ঠেলে দিয়েছিল। তার স্ত্রী আমান্ডা সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন। ৫৫ বছর বয়সী থর্প ৫ অগস্ট প্রয়াত হন। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক থর্পের মৃত্যুর কথা জানানো হয়। এখন তাঁর স্ত্রী প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল আথারটনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে প্রকাশ জানিয়েছেন যে এর আগে তাঁর নিজের সঙ্গে দীর্ঘ মানসিক এবং শারীরিক যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে তাঁকে যেতে হয়েছে। তিনি তাঁর নিজের জীবন নিজেই নিয়েছেন।

“একজন স্ত্রী এবং দুই কন্যা থাকা সত্ত্বেও যাঁদের তিনি ভালোবাসতেন এবং যারা তাঁকে ভালোবাসতেন তাঁরাও তাঁকে ভাল রাখতে পারেনি,” থর্পের স্ত্রীকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে।

“সাম্প্রতিক সময়ে তিনি খুব অসুস্থ ছিলেন এবং তিনি সত্যিই বিশ্বাস করতেন যে তাকে ছাড়া আমরা আরও ভাল থাকব। আমরা বিধ্বস্ত যে সে এর মধ্যে দিয়ে গেল এবং নিজের জীবন নিয়ে নিল।” থর্পের স্মরণে গত শনিবার ফার্নহাম ক্রিকেট ক্লাব এবং চিপস্টেড ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যে একটি ম্যাচ শুরুর আগে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে তাঁর স্ত্রী এবং তাদের কন্যা কিটি (২২) এবং এমা (১৯) উপস্থিত ছিলেন।

“গত কয়েক বছর ধরে, গ্রাহাম বিষন্নতা এবং উদ্বেগে ভুগছিলেন। এটি তাঁকে ২০২২ সালের মে মাসে তাঁ নিজের জীবন নেওয়ার গুরুতর প্রচেষ্টার ফলে তাঁকে দীর্ঘদিন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে থাকতে হয়েছিল,” তিনি বলেন।

তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন যে তাঁর কাজ থাকা সত্ত্বেও থর্প হতাশায় ভুগতেন।

“আশার ঝলক এবং পুরানো গ্রাহামকে ফিরে পাওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও, তিনি হতাশা এবং উদ্বেগে ভুগছিলেন, যা মাঝে মাঝে খুব গুরুতর হয়ে উঠত। আমরা তাকে একটি পরিবার হিসাবে সমর্থন করেছি এবং অনেক চিকিৎসার চেষ্টা করেছি কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেগুলির মধ্যে কিছুই কাজ করেনি,’’ তিনি বলেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে পরিবার এখন তার নামে একটি ফাউন্ডেশন শুরু করার কথা ভাবছে। থর্পের মেয়ে কিটি বলেন যে একটা সময়ের পর তিনি আর সেই চেনা মানুষটা থাকতেন না, আর সেখান থেকে বেরতেও পারতেন না।

“তিনি জীবনকে ভালোবাসতেন এবং তিনি আমাদের ভালোবাসতেন কিন্তু তিনি কোনও উপায় দেখতে পাননি। তাকে ক্রমশ জীবন থেকে সরে যাওয়া দেখাটা হৃদয়বিদারক ছিল,” তিনি বলেন।

“বাবার শরীরে আটকে থাকা এই ব্যক্তিকে দেখতে অদ্ভুত ছিল। তাই আমরা খুশি যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে বাবার জীবনের অনেকগুলো সুন্দর দিক দেখতে পেরেছি। আমি আনন্দিত যে সবাই তাকে কীভাবে মনে রেখেছে, ঠিক তাই, তিনি একজন অসাধারড়ণ চরিত্র ছিলেন,” কিটি যোগ করেছেন।

খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com

অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments