অলস্পোর্ট ডেস্ক: গত কয়েকবছর ধরেই চেষ্টাটা চলছিল। আইএসএল-এ খেলার লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল কলকাতার তিন প্রধানের তিন নম্বর দল মহমেডান । আইএসএ-এ প্রথম খেলার ছাড়পত্র পায় মোহনবাগান। তার পর ইস্টবেঙ্গল। আর এবার সেই দলে জায়গা করে নিল মহমেডানও। তবে রীতিমতো নিজেরে ফুটবলের ময়দানে প্রমান করে। শনিবার ঘরের সমর্থকদের থেকে দূরে শিলংয়ের মাঠে শেষবেলার ভাগ্য পরীক্ষায় নেমেছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। প্রতিপক্ষ ছিল শিলং লাজং। তাঁদের ২-১ গোল হারিয়ে এতদিনের লক্ষ্যে পৌঁছে গেল মহমেডান।
এশিয়ান সব থেকে পুরনো এমন ক্লাব মহমেডন যারা এখনও একইভাবে ফুটবল মাঠ দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। দুই বছর আগে আই লিগ জয়ের কাছে এসেও স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এবার প্রথম থেকেই দাপট দেখিয়েছে মহমেডান। যার ফল ২২ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে মহমেডানকে। রাশিয়ার প্রিমিয়ার লিগ দল স্পার্তাক মস্কোকে সাফল্য দেওয়ার পর ভারতের মাটিতে পা রেখেছিলেন তিনি। সেই আন্দ্রে শেরনোশভের হাত ধরেই বাজিমাত মহমেডানের। যিনি ২০২১-২২ মসুমে মহমেডানকে দ্বিতীয় স্থানে নিয়ে গিয়েছিল। ২০২১ ডুরান্ড কাপের ফাইনালেও পৌঁছেছিল। এই মরসুমে পরে অবশ্য তিনি ফিরে গিয়েছিলেন অন্য দলের দায়িত্ব নিয়ে। এই বছর আবার তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়। আর সেটা একদম সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল তা নিয়ে আর কোনও সংশয় থাকল না।
এই মরসুমে মহমেডানকে সাফল্য এনে দেওয়ার পিছনে সব থেকে বড় ভূমিকা নেন দুই বিদেশি হন্ডুরাসের এডে হার্নান্ডেজ ও আর্জেন্টিনার অ্যালেক্সিস গোমেজ। পিছিয়ে ছিলেন না ভারতীয়রাও। ডেভিড লালানসাঙ্গাকে নিয়ে বড় নামী দলগুলো কম টানাটানি করেনি। কিন্তু তিনি থেকে গিয়েছেন মহমেডানেই। এই মরসুমে তাঁর নামের পাশে লেখা হয়েছে ১১ গোল। সঙ্ঘে তিনটি অ্যাসিস্ট। এদিন দলের হয়ে গোল করলেন অ্যালেক্সিস ও কোজলভ।
লিগ চ্যাম্পিয়ন হতে হলে মহমেডানের দরকার ছিল মাত্র এক পয়েন্ট। যার মানে এই ম্যাচ ড্র করলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত ছিল। কিন্তু একবারও মনে হয়নি মহমেডান সেই এক পয়েন্টের জন্য খেলছে। মহমেডানে সঙ্গে এই লক্ষ্যে দৌঁড়চ্ছিল আরও বেশ কয়েকটি দল। তার মধ্যে অন্যতম গোকুলাম, শ্রীনিধির মতো নাম। এদিনের ম্যাচ খেলতে নামার আগে মহমেডানের ছিল ২২ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট। চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করেই নেমেছিল দল। কারণ দ্বিতীয়স্থানে থাকা শ্রীনিধি মহমেডানের থেকে পাঁচ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে।
এদিন খেলা শুরুর এক মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যায় মহমেডান। গোল করেন অ্যালেক্সিস। প্রায় মাঝমাঠ থেকে এগিয়ে আসা গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন অ্যালেক্সিস। এর পর ব্যবধান ধরে রাখতে কিছুটা রক্ষনাত্মক হয়ে পড়ে মহমেডান। সেই সুযোগে গোলের জন্য ঝাঁপাতে শুরু করে লাজং। ১৫ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতায় ফের লাজং। এর পর ৫২ মিনিটে জয়ের গোলটি করেন পরিবর্ত হিসেবে নামা কোজলভ। এর পর আর চেষ্টা করেও সমতায় ফিরতে পারেনি লাজং এফসি।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার