অলস্পোর্ট ডেস্ক: অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ) ম্যাচ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে, দোহায় তাদের গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে কাতারকে দেওয়া বিতর্কিত গোলের তদন্ত চেয়ে। এআইএফএফ-এর সূত্রের খবর অনুযায়ী, “গোলটির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত” করার জন্য বলা হয়েছে যেটি দক্ষিণ কোরিয়ার রেফারি কিম উ-সুং অনুমতি দিয়েছিলেন যদিও কাতারের কাছে ভারত ১-২ গোলে হেরে গিয়েছে মঙ্গলবার বিন হামাদ স্টেডিয়ামে এই বিতর্কিত গোলের কারণেই।
এই গোল ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি করেছে ভারতীয় ফুটবলের অন্দরে। এই ম্যাচটি জিতলে ভারত ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে প্রথমবখরের মতো জায়গা করে নিতে কিন্তু তা থেকে বঞ্চিত করা হল ভারতকে।
“আমরা ম্যাচ কমিশনারের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি এবং পুরো বিষয়টির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চাইছি,” বলেছেন এআইএফএফ কর্মকর্তা।
ম্যাচ কমিশনার ছিলেন ইরানের হামেদ মোমেনি। এই ভূমিকার জন্য নিযুক্ত আধিকারিককে ম্যাচের সংগঠনের তত্ত্বাবধান করতে হবে এবং খেলা চলাকালীন ফিফার নিয়মগুলি মেনে চলছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
৭৩তম মিনিটে, আবদুল্লাহ আলাহরাকের ফ্রি-কিক থেকে ইউসেফ আয়েম হেডার করার চেষ্টা করেন, যা রক্ষা আটকে দেন ভারত অধিনায়ক ও গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধু।
কিন্তু সেই বল গুরপ্রীতের হাত থেকে ছিটকে গেলেও তিনি তা গোলের আওতার বাইরে বের করে দিতে সক্ষম হন। এবং বল লাইন পেরিয়ে বাইরে চলে যায়। সেই সময় হাশমি হোসেন সেটিকে বাইরে থেকে ভিতরে নিয়ে আসেন এবং আইমেন সেটিকে জালে জড়িয়ে দেন। লাইভ টেলিকাস্টে যা বার বার দেখানো হয় এবং স্পষ্ট হয়ে যায় বল বাইরে থেকে ভিতরে আনা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, যেহেতু বলটি দৃশ্যত মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিল, তাই ম্যাচটি বন্ধ করা উচিত ছিল এবং তারপরে এই ক্ষেত্রে কর্নার-কিক দিয়ে পুনরায় শুরু করা উচিত ছিল কারণ সান্ধু ছিলেন শেষ খেলোয়াড় যিনি বলটি বাইরে যাওয়ার আগে সংস্পর্শে আসেন।
কিন্তু তেমনটা না করে রেফারি গোল দিয়ে দেন। স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় খেলোয়াড়রা হতাশায় ফেটে পড়েন। ভারতীয় ফুটবলাররা প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও, রেফারি সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।
ভারতের কোচ ইগর স্টিমাচ পরে এই বলে তার হতাশা প্রকাশ করেছিলেন যে “বিতর্কিত” গোলটি তার দলের স্বপ্নকে হত্যা করেছে। সান্ধু এটিকে একটি “দুর্ভাগ্যজনক ফলাফল” বলে অভিহিত করেছেন।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার