অলস্পোর্ট ডেস্ক: গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ এদিনের ম্যাচের নায়ক হয়ে গেলেন জোড়া পেনাল্টি বাঁচিয়ে। লিওনেল মেসির খারাপ দিনে আর্জেন্টিনাকে উদ্ধার করলেন তিনি। পেনাল্টি শুট-আউটে ইকুয়েডরকে হারিয়ে বৃহস্পতিবার কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল আর্জেন্টিনা। লিসান্দ্রো মার্টিনেজের হেডার হাফ টাইমের দশ মিনিট আগে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে এগিয়ে দিয়েছিল কিন্তু কেভিন রদ্রিগেজ ইকুয়েডরের হয়ে স্টপেজ-টাইমে দলকে সমতায় ফিরিয়ে ম্যাচকে অতিরিক্ত সময়ে এবং তার পর টাইব্রেকারে নিয়ে যায়। মেসি প্রথম পেনাল্টি মিস করেন, তাঁর শট বারে লাগে। কিন্তু মার্টিনেজের বীরত্বের জন্য ধন্যবাদ, আর্জেন্টিনা শুট-আউটে ৪-২ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় এবং সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে, যেখানে তারা শুক্রবার ভেনেজুয়েলা এবং কানাডার মধ্যে ম্যাচের বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।
মেসির মিস ২০১৬ সালের কোপা ফাইনালে চিলির কাছে শ্যুট-আউটে হারের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছিল কিন্তু সৌভাগ্যবশত গোলরক্ষক মার্টিনেজ তার নিজের অতীতের পুনরাবৃত্তি করার মেজাজে ছিলেন।
তিনি অ্যাঞ্জেল মেনা ও অ্যালান মিন্ডা শট বাঁচিয়ে দেন দুর্দান্ত ডাইভিংয়ের মাধ্যমে এবং নিকোলাস ওটামেন্ডি চতুর্থ গোলটি করে দলকে জয় এনে দেন।
২০২১ সালের কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার পেনাল্টি শুটআউটে ৩-২ গোলে জয়ে মার্টিনেজ তিনটি স্পট-কিক বাঁচিয়েছিলেন এবং কাতারে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ফাইনালে জয়ের জন্য তাঁর দু’টি সেভ বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিল।
ইকুয়েডরের জন্য স্বাভাবিকভাবেই হতাশার দিন ছিল কারণ তারা সমানে সমানে ম্যাচটি খেলে এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁডায় এমিলিয়ানো। ফেলিক্স সানচেজের দল দারুণভাবে শুরু করেছিল, মাঝমাঠে বলের আধিপত্য বিস্তার করে এবং মাঝে মাঝেই আর্জেন্টিনার রক্ষণ পরীক্ষার মুখে ফেলে দেন।
ময়সেস কাইসেডো প্রথম সুযোগ পেয়েছিলেন, এনার ভ্যলেন্সিয়ার থেকে তাঁর হেডার আর্জেন্টিনার কিপার মার্টিনেজ সহজেই আটকে দেন। তারপর ময়সেসের একটি মাপা পাস থেকে জেরেমি সারমিয়েন্টোর গোলে শট নেন কিন্তু মার্টিনেজ সেটিও বাঁচিয়ে দেন এবং কেন্ড্রি পায়েজের শট অল্পে জন্য বারের উপর দিয়ে চলে যায়।
আর্জেন্টিনা ধীরে ধীরে খেলায় ফিরতে শুরু করে ম্যাচের আধঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর থেকে। ২৮ মিনিটে এঞ্জো ফর্নান্দেজ ডান দিক থেকে নাহুয়েল মোলিনার ক্রসে হেড করলে প্রথম ওপেনিং হয়।
সাত মিনিট পরে, তারা এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। ফার্নান্দেজ শীঘ্রই লিড দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু পিছনের পোস্টে লাগে বাঁ-পায়ের শট এবং আর্জেন্টিনা এক গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায়।
৬২ মিনিটে ইকুয়েডরকে লাইফলাইন দেয় যখন রদ্রিগো ডি পল বক্সের ভিতরে বল পাস দেন কিন্তু ভ্যালেন্সিয়ার শট পোস্টের বাইরে ধাক্কা খায়।
স্টপেজ টাইমে, জন ইয়েবোহর ক্রস থেকে কেভিন রদ্রিগেজের হেড ১৫ বারের কোপা চ্যাম্পিয়নদের হতবাক করে দিয়ে আর্জেন্টিনার সহজ জয় আটকে দেয়।
এই গোলকে ‘ভার’ পর্যালোচনার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। জর্ডি ক্যাসেডো পিছনের পোস্টে অফসাইড পজিশনে ছিলেন কিনা সেটা নিশ্চিত করার জন্য। গোল দেওয়া হয় ইকূয়েডরকে।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার