অলস্পোর্ট ডেস্ক: আরও একবার স্বপ্নের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলা ফুটবল দল। মাঝে মাত্র একটা ম্যাচ। আর সেটা জিতে নিতে পারলেই ছয় বছর পর আবার সন্তোষ ট্রফি ঘরে তুলবে বাংলা। অতীতেও এমন একটা সময় এসেছিল কিন্তু সব বাধা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলার ফুটবল। আরও একবার সেই ট্রফির সামনে দাঁড়িয়ে সঞ্জয় সেনের দল। অনেক বিতর্ককে পিছনে ফেলে এবার বাংলা সিনিয়র ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব সঞ্জয় সেনের হাতে তুলে দিয়েছিল আইএফএ। আর প্রথম ম্যাচ থেকেই সেই ভরসার মান রেখেছেন বাংলার সফল কোচ। এবার ফাইনালটা জিততে পারলেই ষোলকলা পূর্ণ হয়ে যাবে। সেমিফাইনালে সার্ভিসেসের ৪-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে বাংলা।
রবিবার হায়দরাবাদের বালাযোগী স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলা দল। দ্বিতীয়ার্ধে তাতে আরও এক গোল যোগ হয়। তাঁর মধ্যেই অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর একটা মরিয়া চেষ্টা করে সার্ভিসেস। যে সার্ভিসেসকে গ্ৰুপের ম্যাচে ১-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলা। তাদের হারিয়েই ফাইনালের দরজা খুলল।
১৭ মিনিটে দূরপাল্লার শটে প্রথম গোলটি করেন মনোতোষ মাজি। এর পরের দুটো গোল যদিও প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে। প্রথমে ২-০ করে ব্যবধান বাড়ান রবি হাঁসদা। আর একদম শেষ মুহূর্তে ৩-০ করেন নরহরি শ্রেষ্ঠা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে যখন আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলার কথা ছিল তখন খেলা থেকেই যেন হারিয়ে যায় বাংলা। এক কথায় প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকায় অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস বিপদে ফেলে সঞ্জয় সেনের ছেলেদের।
অসংখ্য ভুল পাসও থেকে প্রতিপক্ষকে লড়াইয়ে ফেরার সুযোগ করে দেয় বাংলার মাঝমাঠ। যে সুযোগ ভাল মতই কাজে লাগায় সার্ভিসেস। ৫৩ মিনিটে সার্ভিসেসের ব্যবধান কমানো পর্যন্তও ঠিক ছিল কিন্তু বাংলার ভুল এই পর্যায়ে পৌঁছয় যে ৭২ মিনিটে জুয়েল আহমেদের আত্মঘাতী গোল করে বসে। ৩-২ হয়ে যায় ফল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে ৪-২ করেন রবি। ম্যাচের সেরাও হলেন রবি।
ফাইনালে কেরল ও মণিপুরের মধ্যে যে জিতবে তাদের মুখোমুখি হবে সঞ্জয় সেনের দল। ফাইনাল ৩১ ডিসেম্বর।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার