অলস্পোর্ট ডেস্ক: প্রথম দুই ম্যাচে ১১ গোলের পর শেষ ম্যাচের গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ বাংলা দল। তবে ড্র ম্যাচ শেষে সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে পৌঁছে গেল বাংলা। গত মরসুমে যেটা পারেনি। সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে সমালোচনার পর এবার বাংলা ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা আইএফএ সন্তোষ ট্রফির জন্য বাংলা দলের কোচের দায়িত্ব দিয়েছে সফল কোচ সঞ্জয় সেনের হাতে। কল্যাণীতে সন্তোষ ট্রফির যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের শুরুটা ভালই করেছিল বাংলা। দুই ম্যাচে ক্লিনশিট রাখতেও সমর্থ হয়েছিল। এক কথায় গোলের বন্যা বয়ে গিয়েছিল দুই ম্যাচে। যার ফলে শেষ ম্যাচ নিয়ে প্রত্যাশাও অনেক বেশি ছিল। কিন্তু একদিনের ব্যবধানে খেলা হওয়ায় কিছুটা ক্লান্তি গ্রাস করেছিল দলের ছেলেদের। যার ফলশেষ ম্যাচে বিহারের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করেই থামতে হল বাংলাকে।
প্রথম ম্যাচে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে উত্তর প্রদেশের বিরুদ্ধে ৭-০ গোলে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল বাংলা। এই ম্যাচে মনতোষ মাঝি ও রবি হাঁসদা, দু’জনে মিলে সাত গোল করেছিলেন। দু’জনের পা থেকেই এসেছিল হ্যাটট্রিক। কিন্তু শেষ ম্যাচে সেই গোলের ঝলক দেখা গেল না। প্রথমার্ধের পেনাল্টি মিসেই যেন গুটিয়ে গেল বাংলা দল। যদিও প্রথম দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয়ের ফলে বাংলা দল গ্রুপের শীর্ষে থেকেই শেষ করল। আপাতত সামনে মূল পর্ব। এই তিন ম্যাচ থেকে ভুলত্রুটি শুধরেই মূল পর্বে নামতে চাইবেন কোচ সঞ্জয় সেন।
দুই ম্যাচ পর ছয় পয়েন্ট নিয়ে গ্ৰুপ শীর্ষে থেকেই বিহারের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে নেমেছিল বাংলা। মূল পর্বে যেতে হলে বাংলার জন্য ড্র-ই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু হারলে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কারণ এই ম্যাচে বিহার জিতে গেলে দুই দলের পয়েন্ট সমান হয়ে যেত। সেক্ষেত্রে ম্যাচের ফলের উপর গ্ৰুপ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হয়। এই অবস্থায় কোনোভাবেই ম্যাচ হারার জায়গায় যেতে চায়নি বাংলা। সেকারণেই কি একটু বেশি রক্ষণাত্মক গেম প্ল্যান তৈরি করেছিলেন কোচ?
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার