সুচরিতা সেন চৌধুরী: ১২ বছর পর জাতীয় স্তরের টুর্নামেন্ট জয়ের পরের ম্যাচই যখন হয় ডার্বি তখন অনেকটা টেনশন থাকে বটে। মেনে নিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তা বলে হাল ছেড়ে দেওয়ার কোনও জায়গা নেই। বরং লক্ষ্য জয়ের ধারা ধরে রাখার। এই অবস্থায় ইস্টবেঙ্গলের সামনে বড় সমস্যা দুই বিদেশির না থাকা। সদ্য ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন বোরহা হেরেরা ও সিভেরিও টোরো। তাঁদের বিকল্প নিশ্চিত হয়ে গেলেও এত দ্রুত ভিসা পেয়ে সব রেজিস্ট্রেশন সেরে ভারতে পৌঁছনো সম্ভব নয়। সেই অবস্থায় চার বিদেশির উপরই আস্থা রাখতে হবে লাল-হলুদ কোচকে। বলছেন, “এটা তো সমস্যা বটেই। কিন্তু কাউকে তো আমি জোড় করে আটকে রাখতে পরি না। যার রয়েছে তাদের উপর আমার ভরসা আছে।”
এই পরিস্থিতিতে দলের ফর্মেশনেও যে পরিবর্তন আসবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মাঝ মাঠে বোরহার পরিবর্ত কে হতে পারে তা নিয়ে জল্পন রয়েছে। তার মধ্যে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে কার্ডের জন্য শৌভিক চক্রবর্তীর না থাকা। সব মিলে সমস্যায় ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ। যদিও ইস্টবেঙ্গলের বেঞ্চ থেকে বা কলকাতা লিগ খেলা বেশ কয়েকজন যে সিনিয়র দলে এই সময় ঢুকে পড়বেন তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নই। সে কথা মেনেও নিলেন কুয়াদ্রাত। তিনি বলছিলেন, “সুপার কাপের ছয় জন বিদেশি খেলানোর নিয়ম ছিল আর এখানে চার জন। আমার চার জনের উপর পুরো আস্থা রয়েছে। এছাড়া জুনিয়রদের থেকেও কেউ কউ জায়গা পাবে দলে। যেভাবে সায়ন উঠে এসেছে। ”শৌভিক প্রসঙ্গে কোচ বলেন, “এখনও পর্যন্ত ও দারুণ খেলেছে। শৌভিকের খেলায় আমরা খুব খুশি কিন্তু ও খেলতে পারবে না তাই সমস্যার সমাধান রয়েছে আমাদের সেটা খুঁজে বের করতে হবে।”
তবে ইস্টবেঙ্গলের উইনিং কম্বিনেশন যে বদলাতে চলেছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ সুপার কাপে ছয় বিদেশি খেলানো সম্ভব ছিল। আইএসএল-এ চার বিদেশির অনুমতি। আর ইস্টবেঙ্গলের হাতেও রয়ে চার বিদেশি। সেই অবস্থায় বিদেশির পরিবর্তে বিদেশি নামানোর আর কোনও জায়গা থাকছে না। অন্যদিকে জাতীয় দলের সাত প্লেয়ার ফিরে আসায় আগের থেকে অনেকবেশি শক্তিশালী এই মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল কোচ মেনে নিচ্ছেন, নতুন কোচ আসায় বিষয়টি অবশ্যই অন্যরকম হবে। তিনি বলছিলেন, “জাতীয় দলের ফুটবলাররা তো ফিরছে সঙ্গে নতুন কোচও এসেছে। যার স্ট্র্যাটেজি আলাদা হবে।”
একদিকে কোচ সাফল্যকে উপভোগ করছেন চুটিয়ে। অন্যদিকে সেই সাফল্যকে সামনে রখে এখনই আইএসএল-এ বাজিমাত কররাার কথা ভাবচেন না। এটাই হয়তো প্র্যাকটিকালিটি। যখন তিনি বলছেন, “এবার আমাদের চোখে চোখ রেখে বলার সুযোগ এসেছ আমরাও চ্যাম্পিয়ন।” আবার বলছেন, “এখনই আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জায়গায় আমরা নেই। লিগ টেবলের আট নম্বরে রয়েছিল। আগে তো ডার্বি জিতি তাহলে কিছুটা কাছে যেতে পারব, ছয়ে উঠতে পারব। মোহনবাগানের থেকে আট পয়েন্ট পিছনে রয়েছি।”
ইস্টবেঙ্গল কোচ যখন সমর্থকদের প্রশংসায পঞ্চমুখ তখন তাঁদের অত্যধিক চাহিদা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা। বলছিলেন, “ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা খুব ডিমান্ডিং। ওরা। সবয় চায় ডার্বি জিততে। সুপার কাপ ফাইনালে গিয়েও ডার্বি জেতার দাবি করছিল। রাস্তায়, গাড়িতে সব সময়। তবে যখন অনুশীলন মাঠের বাইরে হাজার হাজার সমর্থককে দেখি তখন ভাল লাগে।”
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার